চলুন ঘুরে আসি ইউনাইটেড সিটির শেফ'স টেবিলে পর্ব-২ (১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আবার চলে আসলাম ইউনাইটেড শেফ'স টেবিলের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। আপনাদের সকলের প্রথম পর্বটি ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই। আশা করি দ্বিতীয় পর্বটিও ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাব এখানকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, কি কি ধরনের খাবার পাওয়া যায় এবং খাবারের দাম।
এখানে আপনি সব ধরনের খাবার পাবেন চাইনিজ, ইটালিয়ান, পাঞ্জাবি, আফগানি আরো অনেক ধরণের খাবার। শুরুতে একটি কথা আপনাদেরকে বলে রাখি এখানকার খাবার গুলো একটু এক্সপেন্সিভ মনে হয়েছে আমার কাছে। অবশ্য এত সুন্দর একটি পরিবেশে আপনাকে দিবে খাবার তো একটু এক্সপেন্সিভ হবেই। উপরের দোকানগুলো থেকে নিচের দোকানগুলোতে তুলনামূলকভাবে দাম কম ছিল। একজনের একবার খাবার খেতে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেগে যাবে। আপনি ক্রিসপি চিকেন, বার্গার, পিৎজা শর্মা, জুস চা-কফি, আইসক্রিম থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবার পাবেন। আসলে কোন ধরনের খাবার এখানে নেই সেটি হল প্রশ্ন? এটি অনেকটা বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কের ফুডকোর্টের মত।
এটি প্রথম ছাউনি। এর ভেতরে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আমরা এই ছাউনিতে খাবার খেয়েছিলাম।
আর এটি হলো দ্বিতীয় ছাউনি। এখানেও একই রকমভাবে রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
এই দোকানটিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের জুস এবং মিল্কশেক খেতে পারবেন। মিল্ক শেক এর দাম ৩৭০ টাকা থেকে শুরু।
এই দোকান থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের থাই খাবার খেতে পারবেন।
এখানে উপরে বসে খাবার চেয়ারগুলো ছবি দেখতে পাচ্ছেন আপনারা।
এখানে প্রতিটি দোকানের সামনে তাদের মেনু এভাবে দেওয়া আছে। আপনারা চাইলে এখান থেকেও খাবার অর্ডার দিতে পারবেন।
বাম পাশের দোকান থেকে আপনারা চাইলে পাঞ্জাবি খাবার খেতে পারবেন। ডান পাশের দোকান থেকে চাইনিজ খাবার।
আপনারা চাইলে নিচেও বসে খাবার খেতে পারবেন। নিচে বসার পরিবেশটা খুব সুন্দর।
এই দোকান থেকে আপনারা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারবেন। কেক দই থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছু।
এই দোকানটি আমার কাছে বেশ মজা লেগেছে। এটি প্রথম ছাউনির একদম মাঝে রয়েছে। এই দোকানে বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস, সালাদ, নুডলস,পাস্তা সাজিয়ে রাখা আছে। আপনারা আপনাদের মন মতো খাবার একটি বাটিতে উঠিয়ে নিবেন। তারপর সেই বাটিটির ওজন করা হবে। প্রতি কেজির দাম ৮৭০ টাকা।
এটি একটি আফগানি খাবারের দোকান। আমরা প্রথমে এই দোকানের খাবার খেয়েছিলাম। এখানকার খাবারের স্বাদ সত্যিই অসাধারণ ছিল।
আফগান দোকানের মেনু এটি।
আমরা এখানে ৪২ নম্বার খাবারটি অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু আমার বাচ্চা দুটি ছোট ছিল সেজন্য আমরা ১:২ অর্ডার করেছিলাম।
আমাদের খাবার চলে এসেছে। আমরা এখন খাবার খাব। এই ফাঁকে আপনারা একটু আশেপাশে ঘুরে আসুন।
এই দোকানে আপনারা চিকেন ফ্রাই, রাইস, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক্সসহ আরো অনেক কিছু পাবেন। আমরা এখানে আইসক্রিম খেয়েছিলাম।
এই আইসক্রিম গুলো ১২০ টাকা করে।
এছাড়াও আমরা চা, কোলড্রিংস আরও টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করেছি। সেগুলোর ছবি শেয়ার করলাম না। কারণ ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। এর পরবর্তী পর্বে আপনাদেরকে দেখাবো এখানে বেশ কিছু দোকান রয়েছে যেখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনাকাটা করতে পারবেন। তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
খুব ভালো লাগলো ইউনাইটেড সিটির দ্বিতীয় পর্বটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । এই পর্বের মাধ্যমে এই জায়গাটির সম্পর্কে আমাদের আরেকটু ধারণা হয়েছে । আসলে জায়গাটির চারপাশের পরিবেশ সাজানো-গোছানো খুবই সুন্দর।
জি ভাইয়া চারপাশের পরিবেশ খুবই চমৎকার। পরবর্তী পর্বগুলোতে চমৎকার পরিবেশের আরো কিছু ছবি দেখতে পারবেন। ভাল লাগবে আশা করি।
আপনার প্রথম পর্বের পোস্ট টা আমি দেখেছিলাম। আজকের টাও অনেক সুন্দর হয়েছে। জায়গা টা অনেক সুন্দর। কেউ যদি আপনার এই পোস্ট টা পড়ে ওখানে যায় তাহলে তার আর কোনো ঝামেলা হবে না। আপনি প্রতিটা জায়গা অনেক সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন এবং লিখেছেন।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের যাতে একটু সুবিধা হয় সেজন্য আমি পোস্টটিকে ঐভাবে সাজিয়েছে। আপনাদের ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। পরবর্তী পর্বগুলোর সাথেই থাকবেন আশা করি।
আপু আপনার ইউনাইটেড সিটির দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ইউনাইটেড সিটিতে। আসলে চারপাশের পরিবেশ টা খুবই সুন্দর। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ইউনাইটেড সিটির বেশ কিছু জিনিস জানতে পারলাম। আপনার পোষ্টে ইউনিভার্সিটি দেখে আমার খুবই যেতে ইচ্ছে করছে। আশা করি আমি অবশ্যই একদিন যাব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসবেন। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমি প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দ্বিতীয় পর্ব টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। রেস্টুরেন্ট ভেতরে পরিবেশটা অনেক সুন্দর। বেশ সুন্দর সুন্দর খাবার রয়েছে। খাবার গুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করতেছে আপু। সত্যি সুন্দর একটি পরিবেশ। যদি সময় পাই তাহলে একদিন ঘুরে আসবো। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বটি দেখার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ভাইয়া অবশ্যই সময় করে একবার ঘুরে আসবেন। ভাল লাগবে আশা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই সুন্দর তো জায়গাটা আপনার প্রথম পর্বটাও দেখে ভাল লাগছে আজকের পর্বটাতো আরো বেশি ভালো লাগছে মজার মজার সব খাবার দেখতে পাচ্ছি। আমার তো দেখেই লোভ লাগছে ।এখানে গেলে বাচ্চারাও অনেক খুশি হবে মনে হচ্ছে ।আপনাদের ওদিকে কখনো গেলে আমাকে একবার নিয়ে যেয়েনতো আপু। খুব ভালো লাগলো দেখে রেস্টুরেন্টটা।
বাচ্চাদের জন্য পর্ব সামনে আসছে। অপেক্ষা করুন। তখন আরও যেতে চাইবেন। আমাদের এদিকে আসেন অবশ্যই একবার নিয়ে যাবো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনার ইউনাইটেড সিটির দ্বিতীয় পর্বটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সবকিছু। আপনার বর্ণনা ধরণ দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে অনেকগুলো ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এগুলোর খুব সুন্দর করে বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাদের ভাল লাগার জন্যই পোস্টটি করা। ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
শেফস টেবিল এর কিছু মুহূর্ত এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আপনি আজকে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি দোকানের খাবার এবং সেখানে যাবতীয় যা যা বিদ্যমান সেগুলো তুলে ধরেছেন আপনার আজকের এই পোস্টে। আপনার পোষ্ট থেকে জায়গাটি সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু তথ্যগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সময় পেলে একবার গিয়ে ঘুরে আসবেন। খুবই ভালো লাগবে । ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব দেশের খাবার এক জায়গায় চলে এসেছে। তবে খাবারের দাম গুলো আমার কাছেও একটু বেশিই মনে হল। বসার ব্যবস্থা এবং আশেপাশের পরিবেশটাও অনেক সুন্দর। সব মিলিয়ে বেড়ানো এবং খাবার জন্য বেশ ভাল একটা জায়গাই বলতে হবে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া খাবারের দাম গুলো একটু বেশিই ছিল। এত সুন্দর একটি পরিবেশ সব মিলিয়ে এই দাম গুলো মেনে নেওয়া যায়। সব সময় তো আর যাওয়া না। মাঝেমধ্যে একটু ভালো সময় কাটানোর জন্য একটু দাম বেশি না হয় দেয়াই গেল।
এই তো দেখছি বিদেশের মতো রেস্টুরেন্ট আপু । খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে রেস্টুরেন্ট গুলো ছাউনির নিচে অবস্থিত দেখে । খাবারের মান দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভালো । আফগান রেস্টুরেন্টের দোকান দেখতে পেলাম ,আপনি কিনেছেন দেখছি । আজকের পর্বটি উপভোগ করলাম আপু
জি ভাইয়া জায়গাটি বিদেশের মতোই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।