সকালের নাস্তা খেতে পূর্বাচলে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সকালবেলায় বাচ্চাদের স্কুল থাকে। এজন্য খুব তাড়াহুড়া করে নাস্তা করে স্কুলে চলে যেতে হয়। নাস্তা ঠিকমতো খাওয়া হয়না। তাছাড়া সকালবেলা কাজের খালা এসে নাস্তা তৈরি করার জন্য বাইরে নাস্তা তেমন একটা খাওয়া হয় না। বাসায় নাস্তা প্রতিদিন খেতে খেতে একঘেয়েমি চলে আসে। রোজার আগে ছুটির দিন ঠিক করেছিলাম যে বাইরে নাস্তা করতে যাব। কাজের খালাকেও দেরি করে আসতে বলেছিলাম। তাছাড়া আমার উদ্দেশ্য ছিল পূর্বাচলের ওই দিকে গিয়ে কিছুটা ড্রাইভিং করবো। ড্রাইভিং মোটামুটি শিখে ফেলেছি। কিন্তু যেই ড্রাইভারের গাড়ি দিয়ে ড্রাইভিং শিখি তার গাড়িটা অনেক পুরনো এবং ছোট জন্য খুব সহজে চালাতে পারি। আমাদের গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রথমে খুব বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে। ড্রাইভার চাচার গাড়ি থেকে এই গাড়িটা একটু বড় এবং ভারী ও মনে হয়েছে। তাছাড়া হঠাৎ করে নতুন কোন গাড়ি চালাতে গেলে একটু এলোমেলো লাগে। চাচার গাড়ি যত সহজে চালাতে পেরেছি এই গাড়িটা অত সহজে চালাতে পারছি না। এখন নিয়মিত কিছুদিন আমাদের গাড়িটি চালিয়ে প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে হয়তো বিজি রোডে যেতে পারবো। সেই উদ্দেশ্যেই পূর্বাচলের দিকে গিয়েছিলাম। মোটামুটি ফাঁকা থাকে ঐদিকটা। এখনো বাড়িঘর সেরকম হয়নি। কিন্তু রাস্তা গুলো খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা।
শুরুতেই আমরা পূর্বাচল জয় বাংলার চত্বরে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে সকালে খুব সুন্দর খিচুড়ি এবং হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। তাই আমরা গিয়ে খিচুড়ি, হাঁসের মাংস অর্ডার দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের জন্য ডিম ভাজা, ডাল এবং পরোটা দিয়েছিলাম। যদিও ডিম ভাজা, হাঁসের মাংস আর পরোটার ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। কারণ একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল যেতে। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল তাই খাবার আসার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। যদি কেউ এদিকে গিয়ে থাকেন তাহলে সকালবেলায় অবশ্যই এই খিচুড়ি এবং হাঁসের মাংস খাবেন। খুবই মজা এই খাবারটি।
ওখান থেকে বেরিয়ে পাশের দোকানে চা খেতে গেলাম। দোকানের সামনে সবজির দোকান দেখে বেশ কিছু সবজি কিনে নিয়ে আসলাম।এখানকার সবজি গুলো খুবই টাটকা হয়ে থাকে। বাজারের সবজি থেকে অনেক বেশি ভালো। কিন্তু দামও বাজার থেকে অনেক বেশি। ভালো জিনিস একটু দাম দিয়ে খেতেও ভালো লাগে।
কেনাকাটা করে আমরা গাড়ি নিয়ে ভিতরের দিকে চলে গেলাম। বেশ কিছুক্ষণ আমি ড্রাইভিং করেছি। মোটামুটি ভালোই পেরেছি। কিন্তু আরও অনেক বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে। আশা করি আরো কিছুদিন চালালে মোটামুটি ভালোই বিজি রোডে চালাতে পারবো। তারপর সেখান থেকে বাসায় চলে এসেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
তাহলে আপুর রোজার আগে গাড়ির ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে নাস্তা করেছেন পূর্বাচলে গিয়েছেন। তবে সকালবেলা দেখতেছি বারি নাস্তা খেয়েছেন। তবে সকাল বেলা চিংড়ি মাছ হাঁসের মাংস ডিম পরোটা খাওয়ার মজাই আলাদা। যদি আপনি চিংড়ি মাছ এবং হাঁসের মাংসর নাস্তার ফটোগ্রাফি করেন নাই।তবে এটি ঠিক ভালো বাজার গুলোর দাম একটু বেশি হলে মন্দ নেই। যাই হোক ভালোর নাস্তা ও করেছেন এবং কিছু কেনাকাটা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য।
চিংড়ি মাছ কোথায় পেলেন ভাইয়া? এত সকালে চিংড়ি মাছ কই পাবো যে ছবি তুলবো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেলে একঘেয়েমি চলে আসে বাইরে একটু খাবার খেলে ভালই লাগে । আপনি তো দেখছি ভালোই ড্রাইভিং শিখে গিয়েছেন এখন অন্য গাড়িও চালাতে পারছেন । সাবধানে চালানোই ভালো ধীরে ধীরে সব কিছু শিখে যাবেন । ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে । খিচুড়ি দেখে খেতে মন চাইছে ।
মোটামুটি ভালোই শিখেছি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সকালের নাস্তা খেতে পূর্বাচলে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। সেই সাথে ড্রাইভিং করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো । প্রথম প্রথম ফাঁকা জায়গায় ড্রাইভিং করাই ভালো। তাহলে এক্সিডেন্টের ভয় কম থাকবে। বাজারের টাটকা সবজি গুলোর ফটোগ্রাফি দেখেও বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
অনেক প্র্যাকটিস করতে হবে আপু। তারপর বিজি রোডে চালাতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে।