আমার লেখা প্রথম গল্প "পথ চলা" পর্ব -২
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম আমার প্রথম মিষ্টি প্রেমের গল্প পথ চলা এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। প্রথম পর্বতে রিয়া রোহানকে ফোন দিলে জিয়াউল স্যারের ফোন বেজে উঠে। ওখানেই শেষ করেছিলাম। আজকে তারপর থেকে। আশা করি আপনাদের আজকের পর্বও ভালো লাগবে।
পথ চলা
রিয়া নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছে না। রোহানকে ফোন দেওয়াতে স্যারের ফোন কেন বেজে উঠলো। স্যার তখন মোবাইলটি রিয়াকে দেখালো। রিয়া কি করবে ভেবে পাচ্ছিলো না। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রিয়া দৌড়ে পালালো সেখান থেকে। রোহান অনেক ডাকার পরও সে দাঁড়ালো না।
বারবার রিয়াকে ফোন দিল রোহান কিন্তু রিয়া মোবাইল ধরল না। কিছুক্ষণ পর মোবাইল বন্ধ করে দিলো। সেদিন আর রিয়া মোবাইল অন করলো না। এদিকে রোহান রিয়াকে একটি ম্যাসেজ পাঠালো।
"রিয়া
আমি মাত্র পড়ালেখা শেষ করে এখানেই শিক্ষকতা শুরু করেছি। এখনো স্টুডেন্ট ভাব রয়ে গিয়েছে। প্রথম যেদিন ক্লাসে ঢুকি সেদিন তোমাকে দেখে আমার খুব ভালো লেগে যায়। কিন্তু স্যার হয়ে কিভাবে তোমাকে সেই ভালো লাগার কথা জানাই। সেজন্যই নতুন একটি সিম নিয়ে তোমার নাম্বার জোগাড় করে তোমাকে ম্যাসেজ দেয়া শুরু করি। তারপর বাকিটা তো তুমি জানোই। আমার পুরো নাম জিয়াউল ইসলাম রোহান। তোমরা সবাই আমাকে জিয়াউল স্যার নামে চেনো। নিজেকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যখন একেবারেই না পেরেছি তখনই তোমার সাথে অন্য নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করেছি। এতে আমার কোন দোষ ছিল না। তুমি আমাকে ভুল বুঝনা।"
সারারাত রিয়া অনেক কান্নাকাটি করলো। সে কিছুতেই স্যারকে রোহান হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। পরদিন কলেজে একটি পরীক্ষা থাকায় বাধ্য হয়ে তাকে কলেজে যেতেই হয়। কলেজে যাওয়ার পরে সে বারবার ভাবছিল যেন স্যারের সঙ্গে তার দেখা না হয়। দ্বিতীয় ক্লাসের পরীক্ষাটা দিয়েই রিয়া ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। যাতে স্যারের ক্লাস তাকে করতে না হয়। স্যার ক্লাস এসেই রিয়াকে অনেক খুঁজলো। না পেয়ে জিজ্ঞাসা করেই বসলো যে রিয়া এসেছে কিনা। রিয়ার বন্ধুরা জানালো যে সে এসেছে। পরীক্ষা দিয়ে চলে গিয়েছে। স্যার তাদেরকে বলল যে রিয়াকে পেলে যেন অবশ্যই তার কাছে পাঠিয়ে দেয়। জরুরী কাজ আছে।
রিয়ার বন্ধুরা রিয়াকে স্যারের কথা বলে। রিয়া কিছুতে যেতে রাজি হয় না। তখন তার বন্ধুরা কিছুটা অবাক হয়। স্যার ডাকছে আর তুই যাবি না। কেউ যেন কিছু না বুঝতে পারে সেজন্য রিয়া স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চলে যায়। স্যার রিয়াকে ক্লাসে ডাকে। ক্লাসে গিয়ে রিয়া মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
স্যার-- কাল তুমি ওভাবে চলে গেলে কেন? আর ফোন বন্ধ করে রেখেছো কেন?
রিয়া-- মোবাইলে চার্জ ছিল না।
স্যার-- আমার ম্যাসেজ সিন করেছ কোন উত্তর দাওনি।
রিয়া এবার চুপ করে থাকে।
স্যার-- আমার কি দোষ ছিলো একবার বলবে। রিয়া কি বলবে ভেবে পায়না।
স্যার-- প্লিজ রিয়া এমন চুপ করে থেকো না কিছু একটা বলো।
রিয়া--ফোনে কথা বলবো বলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা আবার এর পরের পর্ব নিয়ে। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমার লেখা প্রথম গল্প || পথ চলা এর প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন.
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
প্রথম পর্ব করেছিলাম তাই দ্বিতীয় পর্বটি পড়ার পেতে আগ্রহ বেশি তারপরেও রোমান্টিক গল্প বলে পড়তে আরও বেশি আগ্রহ জন্মছে মনে। যাইহোক রিয়া যেহেতু তার শিক্ষকের উপরে রেগে আছে তাই ফোন রিসিভ করেনি ফোনের টেক্সট এর উত্তর দেয়নি। যাই হোক এবার রিয়ার সাথে ফোনে কি কথা হয় সেটা জানার কৌতুহল মনে জাগল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার গল্পটির দুই পর্বই পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার লেখা এই প্রথম গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আর আজকে দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। রিয়া যদি স্যারের কাছে না যেত তাহলে কিন্তু তার বন্ধুরা তাকে সন্দেহ করত। সে গিয়ে দেখছি কিছুই বলেনি। ফোনে কথা বলবে বলেছিল কিন্তু এর পরে কি হল তা জানার অপেক্ষায় আছি। আশা করছি আপনি এই গল্পটির পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।
ঠিক বলেছেন আপু সেজন্যই তো রিয়া স্যারের কাছে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
এই গল্পটি আপনার লেখা প্রথম গল্প হলেও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে গল্পটির প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব। আসলে রিয়া নিজের চোখে এটা বিশ্বাস করার কথাই না। কারণ সে ভেবেছিল হয়তো অন্য কেউ হবে যার সাথে সে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু পরে সে স্যারের ফোনে কল আসার পরে বুঝতে পেরেছিল। আসলে এই বিষয়টা কারো পক্ষেই এমনিতে মেনে নেওয়া সম্ভব না। এখন পরবর্তীতে কি হবে সেটাই ভাবছি শুধু।
আসলেই ভাইয়া এরকম সিচুয়েশনে রিয়া আর কি বা করতে পারতো। ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে রিয়া কলেজে গিয়েছিল শুধুমাত্র তার পরীক্ষা ছিল বলেই কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়েও সে ভাবছিল যেন স্যারের সাথে তার না দেখা হয়। কিন্তু অবশেষে তার স্যারের সাথে দেখা হয়ে যায়। আসলে স্যারের ডাক আরিয়া অমান্য করেছিল। সেই সময় তার বন্ধুরা একটু অবাক হয়েছিল। যাইহোক রিয়াদার শিক্ষকের উপরে অনেক রেগে ছিল। যেহেতু তার শিক্ষকের উপরে সে অনেক রেগে ছিল তাই ফোন রিসিভ করছিল না এবং মেসেজের উত্তরও দিয়েছিল না। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম রিয়ার শিক্ষকের সাথে কি হয় জানার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া রিয়া শিক্ষকের উপর রেগে আছে। এখন দেখা যাক এই রাগ দূর হয় কিনা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
রিয়া প্রচন্ড রাগ করেছে স্যারের উপর এবং রাগ করাটাও যৌক্তিক। কিন্তু রিয়া যেহেতু স্যারকে ভালোবেসে ফেলেছে, তাহলে পালিয়ে আর যাবে কোথায়। ঘুরেফিরে স্যারের সাথে কথা বলতেই হবে। স্যার পরিচয় লুকিয়ে কথা বলে ঠিক করেনি। আবার এটাও ঠিক যে,ভালোবাসলে সব ই করা যায়। গল্প কিন্তু পুরোপুরি জমে গিয়েছে আপু। পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আশা করি।