আমার আনন্দের কিছু মুহূর্ত
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমার কিছু আনন্দের মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। শপিং করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনলাইনে সব সময় কিছু না কিছু কিনতেই থাকি। কেনাকাটা শেষ হয়ে গেলেও খুঁজে খুঁজে বের করি যে আবার নতুন কি অর্ডার করা যায়। নতুন নতুন জিনিস বাসায় না আসলে ভালোই লাগে না। আমি জানি না আমার মত এরকম বাজে অভ্যাস আর কারো আছে কিনা। যখন কোন একটা জিনিস অর্ডার দেই তখন কিছু মনে হয় না। কিন্তু পরে মনে হয় যে শুধু শুধু এটা না কিনলেও পারতাম। কোন একটা জিনিস পছন্দ হলে মনে হয় যে এখন যদি শখ আল্লাদ পূরণ না করি তবে কবে করবো। এই ভেবে অর্ডার দিয়ে দেই। যতক্ষণ পর্যন্ত হাতের টাকা শেষ না হয় ততক্ষণ আমার কেনাকাটা চলতেই থাকে। যাই হোক যেই আনন্দের অনুভূতি শেয়ার করতে আসলাম তা না করে অন্য আলাপ করে যাচ্ছি আপনাদের সঙ্গে।
বেশ কিছুদিন আগে আমার ম্যারেজডে ছিলো। তখন হাজবেন্ড গিফট দিতে চেয়েছিল। ভালো কিছু কেনার মত খুঁজে পাচ্ছিলাম না সেজন্য বলেছিলাম যে পরে যখন মনে হবে তখন চেয়ে নেব। আমি গহনা খুব একটা পরে থাকতে পারিনা। কিছুদিন পর ভালো লাগে না খুলে ফেলি। পরার মধ্যে শুধু পায়ের নুপুর এবং গলার চেইন পরা হয়। গত রোজার ঈদে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পায়ের নুপুরটি হঠাৎ ছিঁড়ে গিয়েছিল। ভাগ্য ভালো যে খাটের উপর পড়েছিল তা না হলে অন্য কোথাও পরলেতো আর খুঁজেই পেতাম না। সেই নুপুর ঠিক করার জন্য গিয়েছিলাম ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে। এখান থেকেই কিনেছিলাম নুপুরটি। ওখানে যাওয়ার পর হাতের একটি ব্রেসলেট খুব পছন্দ হয়ে গেল। দোকানদার বলছিল নুপুরটি পুরনো হয়ে গিয়েছে সেল করে নতুন একটি নেয়ার জন্য। তাই ভাবলাম যে নুপুরটি দিয়ে আর কিছু টাকা এড করে ব্রেসলেটটি নিয়ে নেই। হাজবেন্ডেরও খুব পছন্দ হলো ও রাজি হয়ে গেল দিয়ে দেওয়ার জন্য।
বসুন্ধরা আবাসিকের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর পরিবেশটা খুব সুন্দর। বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা রয়েছে। যাতে মায়েরা আরাম করে গয়না দেখতে পারে। বাচ্চাদেরকে খেলার জায়গায় ঢুকিয়ে দিয়ে আমিও ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম ব্রেসলেটের বিল করতে করতে। হঠাৎ করে গলার চেইনটি পছন্দ হয়ে গেল। অনেকদিন ধরে শখ ছিল এরকম একটা চেইন এর। হাজবেন্ডকে বলার পর দেখলাম যে ও বলছে যে পছন্দ যেহেতু হয়েছে নিয়ে নাও। আমাকে আর কে পায়। প্রথমে ভাবছিলাম যে একসঙ্গে এত কিছু নিব কিনা। পরে ভাবলাম যে দিতে যখন রাজি হয়েছে নিয়ে নেয়াই ভালো।
উপরের টি হল হাতের ব্রেসলেট আর নিচের টি হলো গলার চেইন। চার লেয়ারের চেইন।
এতকিছু কিনলাম কিন্তু আমার নুপুর তো আর কেনা হলো না। আমার খুবই পছন্দের ছিল নুপুর। তাই কয়েকদিন পরে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে হাতের পুরনো একটি ব্রেসলেট ছিল সেটি চেঞ্জ করে এই নুপুরটি নিয়ে নিয়েছি আর কিছু টাকা ভরে।
চেইনটি এক ভরি এক আনা। দাম পড়েছে সব সহ ১০৮০০০ টাকা। ব্রেসলেট কি ৮ আনা দাম পড়েছে ৪৮ হাজার টাকা। পায়ের নুপুরটি ৭ আনার একটু বেশি। দাম পরেছে ৪৬ হাজার টাকা আমি আমার পুরনো নুপুর এবং বেসলেট টি দিয়ে ৫২০০০ টাকা পেয়েছি। আর বাকি আমার এক লাখ ১৫০০০০ টাকা যোগ করতে হয়েছে। এক নুপুর সারাতে গিয়ে হাজবেন্ডের দেড় লাখ টাকা একবার খরচ করিয়ে নিয়ে এসেছি। যদিও হাসবেন্ড খুশিই হয়েছে আমার খুশি দেখে।
এই ছিলো আমার আনন্দের মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আমার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।আমাদের মাঝে আপনার এত সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ❤️❤️
কপাল ভালো যে বিয়ে সাধি এখনো করি নি। না হলে এত সুন্দর চেইন দেখলে বউ নিশ্চিত বায়না করতো 😅। আর আমার অবস্থা টাইট হয়ে যেত। তবে বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা টা বেশ সুন্দর করেছে আপু। আচ্ছা আপু ম্যারেজ ডের ডেট টা কবে? এর পর থেকে দাওয়াত তো মিস করা যাবে না 😉। হিহিহিহি। ভাইয়াকে আর বাচ্চাদের নিয়ে সব সময় ভালো থাকেন এই দোয়াই করি। আর হ্যাঁ টাকা পয়সা একটু বেশি জমিয়ে নিন, আপনাকে নিয়ে শপিং এ যাব একদিন । 😀
আমার কাছে টাকা পয়সা জমলে তো কাজই হতো। তাহলে বড়লোক হয়ে যেতাম। যতক্ষণ হাতে টাকা থাকে ততক্ষণ কিছু না কিছু কিনতে থাকি।
বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছিলেন দেখছি। সেখানে বাচ্চাদের খেলার খুবই সুন্দর জায়গা ছিল। আপনি আপনার বাচ্চাকে সেখানে রেখে পছন্দ মত গহনা কিনেছিলেন। চেইনটি যেহেতু এক ভরি এক আনা ছিল, তাই এটির দাম পড়েছে সব সহ ১০৮০০০
টাকা। আর বেসলেট কিনেছিলেন ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে। সবকিছু কিনে অনেক খুশি হয়েছিলেন, আর আপনার খুশি দেখে ভাইয়াও অনেক খুশি হয়েছিল। আনন্দের এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।