চলুন ঘুরে আসি ইউনাইটেড সিটির শেফ'স টেবিলে পর্ব-১(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদেরকে নিয়ে যাব বসুন্ধরা আবাসিক এর খুব কাছে ১০০ ফিট মাদানী এভিনিউতে অবস্থিত ইউনাইটেড সিটির শেফ'স টেবিল এ। এ জায়গাটি খুবই সুন্দর। এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলাধুলা সহ অনেক ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। জায়গাটি গুলশানের নতুন বাজার মোড় থেকে ৪/৫ মিনিটের গাড়ি চালানোর দূরত্বে অবস্থিত। ঢাকার মধ্যে এত সুন্দর খাওয়া-দাওয়া ঘোরাঘুরি এবং খেলাধুলার ব্যবস্থা এর আগে এত সুন্দরভাবে কোথাও দেখি নাই। তাই আমার কাছে এই জায়গাটি এ পর্যন্ত ঢাকার মধ্যে খুবই স্বল্প দূরত্বে ঘুরার জন্য এবং একটি দিন অতিবাহিত করার জন্য সবচেয়ে পছন্দের জায়গা বলে মনে হয়েছে। তাই আমার বিশ্বাস আপনারা যদি এই জায়গাটি ভিজিট করেন আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে। বিশেষ করে আপনাদের বাচ্চাদের অনেক বেশী ভালো লাগবে এবং আপনার দিন শেষে মনে হবে একটি সুন্দর দিন আপনি অতিবাহিত করলেন। আজকে আমার সাথে আপনারা জায়গাটি ঘুরে দেখতে পারবেন। জায়গাটি এত বড় যে একদিনে ছবির মাধ্যমে আপনাদের ঘুরিয়ে দেখানো সম্ভব নয়। তাই আমি কয়েকটি খণ্ডের মাধ্যমে আপনাদের দেখাবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এখানে গাড়ী পার্কিং এর সুব্যবস্থা রয়েছে।
এটি শেফ'স টেবিলে ঢুকার প্রধান সিঁড়ি। এখান দিয়ে উঠেও আপনি ভিতরে যেতে পারেন।
উপরে উঠার পর এরকম একটি সুন্দর জায়গা দেখতে পাবেন যেখানে ছোট ছোট গাছ লাগানো রয়েছে।
তাছাড়া আপনারা উপরে উঠতে না চাইলে নিচ দিয়ে এই রাস্তা দিয়েও ভিতরে যেতে পারবেন।
উপরে উঠার পর আপনারা এরকম একটি খোলা জায়গা দেখতে পারবেন। যার সাইডে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রেষ্টুরেন্টগুলো আপনাদেরকে দ্বিতীয় পর্বে দেখাবো।
আপনারা চাইলে এ রাস্তা দিয়ে উপরে উঠতে পারেন। বাচ্চাদের স্ট্রলার অথবা বয়স্ক লোকের হুইলচেয়ার হলে এখান দিয়ে খুব সহজেই উপরে উঠানো যাবে।
এটি হলো দ্বিতীয় ছাউনি।
এই রাস্তা দিয়ে আপনারা ঐখানে যেতে পারবেন। অথবা চাইলেও নিচ দিয়েও যেতে পারবেন।
এ জায়গাটি খুবই নিরিবিলি। এর আশেপাশের কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
এটি দ্বিতীয় ছাউনিতে উঠার ভেতরের দিকে সিঁড়ি।
আজ এ পর্যন্তই। আজকে আপনাদেরকে শেফ'স টেবিল এর পরিবেশের কিছু ছবি শেয়ার করলাম। এর পরের দিনে রেষ্টুরেন্টগুলোর খাবারের দাম এবং ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
আপু,জায়গাটা তো বেশ সুন্দর। আমার কাছে এটি খুবই ভালো লেগেছে।বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে এটি অনেকেরই পছন্দের হয়ে উঠবে। আর পরিবেশটাও খুব সুন্দর। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়ার পার্টের ছবি শেয়ার করেছি। বাকি ছবিটি শেয়ার করলে বুঝতে পারবেন যে রেস্টুরেন্টটা কত সুন্দর। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্টের টাইটেল ইউনাইটেড সিটি পড়ে আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি ইংল্যান্ডের কোনো জায়গা। কিন্তু পরে দেখি না এটা বাংলাদেশে। জায়গা টা অনেক সুন্দর দেখছি। প্রাকৃতিক এবং কৃএিম উভয় পরিবেশই খুবই সুন্দর। যাইহোক দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ছিল।।
আসলে ওই জায়গায় গেলে আপনার এটি বাংলাদেশ মনে হবে না। আপনি বিদেশ এর একটি ফিলিংস পাবেন। জায়গাটি এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর ছিল।
সত্যি অনেক সুন্দর
সত্যি অনেক সুন্দর সব মিলে মনে হচ্ছে কোন এক বাইরের উন্নত দেশে চিত্র।পরিবেশটাও আমার কাছে অনেক শান্ত বলে মনে হচ্ছে।অনেক সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে।শুভকামনা আপু আপনার জন্য
এই কথাটি আমি আমার হাসবেন্ডকে বলেছিলাম। এই জায়গাটি অনেকটা বিদেশের মতো লাগছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ঢাকা শহরে এত সুন্দর একটি জায়গা আছে তা আমি জানতাম না। জানলে যখন ঢাকায় গিয়েছি তখন একবারের জন্য হলেও জায়গাটিতে ঘুরতে যেতাম। খুবি সুন্দর একটি জায়গা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে জায়গাটা আমাদেরকে ঘুরে দেখানোর জন্য। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া এই সুন্দর জায়গাটা আছে আমি নিজেই জানতাম না। গতকালই প্রথম গিয়েছিলাম। গিয়ে এত ভাল লেগেছে যে মনে হয়েছে বারবার এখানে আসা যাবে। তাছাড়া আমার বাসার এত কাছে যে চাইলেই চলে যাওয়া যাবে।
এইবার যেতে পারেনি তো কি হয়েছে পরেরবার আসলে অবশ্যই যাবেন। খুব ভাল লাগবে আপনার আশা করি।
আপু বসুন্ধরা আবাসিক এর কাছে যে এত সুন্দর জায়গা আছে আপনার পোস্ট না দেখলে জানতেই পারতাম না। সত্যি বলতে কি ওই দিকটায় আমি কখনো যাইনি। ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। আপনার উপস্থাপনা ও চমৎকার। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভাইয়া ওই দিকটা একটু ব্যাক সাইড। লোকজন কম যাতায়াত করে। এজন্য রেস্টুরেন্টটি মনে হয় অত বেশি পরিচিত না। কিন্তু তারপরও অনেক লোকজন ছিল রেস্টুরেন্টে। খুব সুন্দর রেস্টুরেন্টের পরিবেশ। একবার গেলে বারবার যেতে মন চাইবে। এরপরের বার একবার যাওয়ার চেষ্টা করবেন খুব ভালো লাগবে।
ওয়াও শেফস টেবিল এ জায়গাটি খুবই সুন্দর এবং মনোরম ।একটা নিরিবিলি ও দেখার মতোপরিবেশ । দেখে খুবই ভালো লাগলো । এখানে ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে ছুটির দিনে খুব ভালো লাগবে । আপনি এখানে ঘুরতে গিয়েছেন এখানকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন এবং সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ইউনাইটেড সিটির শেফ'স টেবিলে পর্ব-১ সম্পর্কে অনেক কিছু শেয়ার করেছেন দেখছি আমার কাছে জায়গাটা দেখে মনে হচ্ছে বাহিরের কোন একটি রাষ্ট্র আমাদের দেশে এত সুন্দর একটি জায়গা আছে আপনার পোস্ট টি না দেখলে বুঝতেই পারতাম না খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখতে খুব ভালো লাগছিল পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু
আসলে শেপ'স টেবিল টা একটু ব্যাক সাইডে। এ জন্য লোকজন এটি সম্বন্ধে কম জানে। আমিও ঐদিনই প্রথম গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছে তাই ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জায়গাটি যে অনেক সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আপনার মাধ্যমে ইউনাইটেড শেফস টেবিলের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। কখনো যায়নি তবে দেখে তো মনে হলো একবার যাওয়া দরকার। বিনোদনের জন্য সুন্দর একটি জায়গা। তবে স্থানের নামটি আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে আপু। যায়হোক ভালো সময় পার করেছেন পরিবারকে নিয়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপু সত্যি জায়গাটা বেশ সুন্দর ।বাচ্চাদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়া ঘোরাঘুরির জন্য খুবই সুন্দর একটি জায়গা ।আমার কাছেতো খুবই ভালো লেগেছে ।কখনো যাওয়ার সুযোগ হলে নিশ্চয়ই একদিন যেয়ে ঘুরে আসবো ।আর আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একবার ঢাকায় আসেন আপনাকে ঘুরতে নিয়ে যাব। খুব ভালো লাগবে জায়গাটি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।