গ্রাম বাংলার আরো কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আবারো গ্রাম বাংলার প্রকৃতির কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যের কথা যতই বর্ণনা করা হোক না কেন ততই কম হয়ে যাবে। গ্রামে এত বেশি সবুজ প্রকৃতি থাকে যে দিকেই তাকাই মুগ্ধ হয়ে যেতে হয়। তাছাড়া সামনে খোলা মাঠ উপরে বিশাল আকাশ খুব সুন্দর দেখা যায়। শহরে আর খোলা মাঠ কোথায় পাওয়া যায়। বিল্ডিংয়ের ফাক দিয়ে খুব ছোট্ট আকাশ দেখা যায়। শুধুমাত্র গ্রামে গেলেই আকাশের বিশালতা উপলব্ধি করা যায়। যদিও গ্রামের সুযোগ সুবিধা অনেক কম থাকে তারপরও কিছুদিন সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো জায়গা। এজন্যই তো আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকি। অনেকদিন শহরে একটানা থাকলে কেমন দম বন্ধ লাগে। এজন্যই মাঝেমধ্যে গ্রামে গিয়ে একটু রিলাক্স হয়ে আসি। আর সেই সাথে আপনাদের সঙ্গে কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। আজকেও সেরকম কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
আজকে যে ছবিগুলো শেয়ার করবো সেই ছবিগুলো আমি রংপুরে গিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলেছি। কারণ এখন গ্রাম বলতে শুধু শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া হয়। অন্য কোন জায়গায় তেমন একটা যাওয়া হয় না। ছোটবেলায় তো গ্রামে দাদুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য পাগল থাকতাম। দাদু বাড়ির কথা উঠলেই এক পায়ে রাজি হয়ে যেতাম যাওয়ার জন্য। আর এখন বড় হওয়ার পর এমন অবস্থা যে কত বছর আগে গিয়েছি মনেই নেই।
উপরের ছবি দুটি পুকুর পাড় থেকে তুলেছি। এর আগে যে পুকুরে মাছ ধরেছিলাম সেই পুকুর পাড় থেকে। পাশেই ধান ক্ষেত। যতদূর চোখ যায় শুধু ধান ক্ষেত আর ধান ক্ষেত। তারপরে বিশাল আকাশ। এত ভালো লাগে দেখতে।
যেদিন ছবিগুলো তুলেছিলাম সেদিন আকাশে রোদ আর মেঘের খেলা হচ্ছিল। এই রোদ এই মেঘ এমন অবস্থা। যখন মেঘ হয় তখন মনে হচ্ছিল যে এখনই ঝুম বৃষ্টি নামবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার সূর্য উঁকি দিচ্ছিল।
ছোট্ট একটি খেজুর গাছ কাছ থেকে খুব ভালো লাগছিল দেখতে। এই খেজুর গাছই যখন বড় হয় তখন অন্যরকম সুন্দর লাগে দেখতে।
একটি গাছের ডালের ফাকা দিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। আসলে এ ধরনের ছবিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাহলেই ছবিটির আসল সৌন্দর্য বোঝা যায়। নিচের গাছটির নাম জানিনা। বেশ বড় বড় ছিল গাছের পাতাগুলো। খুব ভালো লাগছিল দেখতে।
পুকুরপাড় থেকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় দেখলাম যে উঠানে কিছু গাছ কেটে রেখে দিয়েছে শুকানোর জন্য। এগুলো ভালোমতো শুকিয়ে গেলে পরে মাটির চুলায় রান্না হবে এগুলো দিয়ে। নিচের গাছটি পুঁইশাক গাছ। এত কচি পুঁইশাক ধরেছিল মনে হচ্ছিল এখনই নিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলি।
এটি জংলি ফুল গাছ। রাস্তার সাইড দিয়ে এরকম জংলি গাছগুলোতে খুব সুন্দর ফুল ফুটেছিল।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
শহরের কোলাহল জীবন থেকে গ্রামের নিরব জীবন সকলেরই পছন্দ। মানুষ কর্মব্যস্ত তাই শহরে থাকে। কিন্তু সুযোগ পেলেই মনোরম পরিবেশ দেখতে গ্রামে ছুটে আসে। সবুজে শ্যামল ভরা এই গ্রাম বাংলার দৃশ্য শহরের মানুষকে কাছে টানে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের নিরব পরিবেশ আসলেই ভালো লাগে। তাছাড়া এরকম সবুজ শ্যামল দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই একটানা শহরে থাকাটা খুব কষ্টকর।মাঝে মাঝে গ্রাম থেকে ঘুরে আসাটা ফরজ হয়ে পড়ে।
গ্রামের চির সবুজ পরিবেশ যে কাউকে আকৃষ্ট করবে।ছবিগুলো খুব সুন্দর ছিল।দাদিবাড়ির অনেক ঘটনা মনে পরেছে।
শুভ কামনা রইলো আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের সবুজ পরিবেশ আসলেই আকৃষ্ট করে। মন ভরে যায় এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু মানুষ কর্ম ব্যস্ততার কারণে শহরে জীবন কাটালেও একটা সময় শান্তির খোঁজে গ্রামেই ফিরতে হয়। কিছুদিনের জন্য হলেও মনকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্য প্রত্যেকেরই গ্রামে আসা উচিত। কারণ গ্রামের মনোরম পরিবেশ মানুষের মনকে প্রশান্ত করে। আপনার এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে মনটা যেন জুড়িয়ে গেল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মনকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্য গ্রামে যাওয়া খুবই জরুরী। এরকম সুন্দর পরিবেশে কিছু সময় কাটালে মন মানসিকতা সবই ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার গ্রামের সবুজ ও আঁকাশ খুব ভালো লাগে।গ্রামের সবুজ খোলা মাঠ দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।ছোট বেলায় দাদা বাড়ি নানা বাড়ি যাওয়ার নাম শুনলেই জটপট রেডি হয়ে যেতাম।বার্ষিক পরীক্ষার শেষ হলেই গ্রামে যাওয়ার বায়না।কতদিন হলো গ্রামে যাওয়া হয় না।আপু আপনার শশুর বাড়ির গ্রামের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো।আসলে শহরের ইট পাথরের উঁচু উঁচু দালানের ভিড়ে গ্রামের একটু প্রশান্তি পেলে ভালই লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলায় গ্রামে যাওয়ার জন্য অন্যরকম একটা আকর্ষণ কাজ করত। বিশেষ করে আমার দাদু বাড়ির প্রতি বেশী আকর্ষণ ছিল । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রাম বাংলার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি কথা বলতে আমার কাছে শহরের চেয়ে গ্রাম অনেক ভালো লাগে। গ্রামে চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। আজকের আপনার ফটোগ্রাফি দেখে গ্রামে যেতে ইচ্ছে করছে। অনেক ভালো লাগলো আপু আজকের ফটোগ্রাফি দেখে।
আমার কিন্তু আবার তা না। গ্রাম ভালো লাগে কিন্তু গ্রামে অনেক বেশিদিন থাকলে আর ভালো লাগে না । তখন শহরে আসার জন্য মন কেমন করে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার ছোটবেলায় বেড়ে ওঠা গ্রামে।কিন্তু শহরে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে এখন গ্রামকে অনেক বেশি মিস করি।আপনার মত আমারও এই শহরের বন্দী জীবনে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে আসে তাই মাঝে মাঝে ছুটে চলে যায় শ্বশুরবাড়িতে অথবা বাবার বাড়িতে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো জাস্ট চোখ জুড়িয়ে গেল আপু।
গ্রামে যাওয়ার জায়গা হলে বেশ ভালই হয়। মাঝেমধ্যে সময় করে চলে যাওয়া যায়। আর এই প্রকৃতির সান্নিধ্যে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে আসা যায় । ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর কিছু কথা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যে কথাগুলো একদম চিরন্তন সত্য এবং বাস্তব। শহরে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থেকে কখনোই প্রকৃতিকে উপভোগ করা সম্ভব নয় প্রকৃতিকে উপভোগ করতে হলে অবশ্যই গ্রামে আসতে হবে। আসলে এই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রকৃতিকে উপলব্ধি করার জন্য একমাত্র গ্রামেই যেতে হবে। গ্রামের এত সুন্দর প্রকৃতি দেখে আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রায় সময় দেখি আপনি গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক ছবি সেয়ার করেন। ছবি গুলো দেখে মনে হয় আপনি গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সাথে মিশে গেছেন। সবুজ প্রাকৃতিক ছবি দেখতেও অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া যখনই শ্বশুর বাড়িতে যাই তখনই গ্রাম বাংলার ছবিগুলো শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু।গ্রামে এত বেশি সবুজ প্রকৃতি থাকে যে দিকেই তাকাই মুগ্ধ হয়ে যেতে হয়। গ্রামের পুকুর, মাঠ,ঘাট,বিল,শস্য শ্যামল ক্ষেত আরও অনেক কিছু দেখে প্রাণটা যেন জুড়িয়ে যায়। আর আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফিই অনেক দুর্দান্ত হয়েছে।আমারও ফটোগ্রাফির শখ আছে।এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
পুকুরের যদি পাশে ধানক্ষেত থাকে তাহলে তো কথাই নেই। খুবই চমৎকার একটা পরিবেশ তৈরি হয় যা দেখে আসলেই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।