আলু, বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি। (১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। এই ব্লগের সবার বিভিন্ন মজাদার রেসিপি দেখে অনেক নতুন রেসিপি রান্না শেখা যায়। এজন্য আমিও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি রেসিপি পোস্ট করার। আজকে আমি আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রান্না আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। টেংরা মাছ খুবই সুস্বাদু একটি মাছ । এই মাছ যেভাবেই রান্না করা হয় না কেন খেতে খুবই মজা লাগে। ছোট টেংরা গুলো বিশেষ করে চচ্চড়ি করে খেতে বেশি ভালো লাগে। আর বড় টেংরাগুলো এভাবে ঝোল বা ভুনা করলে খেতে খুব মজা লাগে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে মূল রান্নায় চলে যাই।
আলু -- ১ টি
বেগুন -- ১টি
পেঁয়াজ কুচি -- ৩টি
কাঁচামরিচ -- ৩টি
পেঁয়াজ বাটা -- ২ টেবিল চামচ
হলুদের গুড়া -- ১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া -- ১চা চামচ
ধনে গুঁড়া -- ১চা চামচ
জিরা গুড়া -- ১চা চামচ
সরিষার তেল-- পরিমাণমতো
লবণ -- পরিমাণমতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমান মত তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
পেঁয়াজ মরিচ কুচি গুলো হাল্কা ভেঁজে নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ বাটা একটু কষিয়ে নিয়ে তারমধ্যে গুঁড়ামসলা গুলো সব দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
গুঁড়ামসলা গুলো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে তার মধ্যে মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
এখন মাছগুলো মসলা সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়ে আবারো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব।
 |  |
|---|
মাছগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
এখন ওই মসলার মধ্যে আলু এবং বেগুন কুচি দিয়ে দিয়েছি। তারপর মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।
 |  |
|---|
আলু বেগুন এর মধ্যে সামান্য একটু পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব। আলু বেগুন গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে এখন মাছগুলো আবার এর মধ্যে দিয়ে দিব।
 |  |
|---|
পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিব পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। রান্না প্রায় শেষের দিকে আসলে জিরা গুড়া দিয়ে দিব।
 |  |
|---|
এখন আমার রান্না প্রায় শেষ ঝোল কমিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছে।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photography | @tania |
|---|---|
| Phone | oppo reno5 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
যদিও বাজারে এখন বেশিরভাগ চাষ করা টেংরা। তবে এই বর্ষার সময়ে নদীর টেংরাও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। আর সেগুলোর সাদ বলে বোঝানো যাবে না। যাইহোক আলু বেগুন দিয়ে আপনার টেংরা মাছের রেসিপি দারুন লাগলো। ধন্যবাদ আপু
আমার হাসবেন্ড আবার চাষের মাছ কিনতে চায় না। এগুলো নদীর মাছ ছিল। খেতে খুবই মজাদার ছিল। ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদীর মাছ আসলে অনেক সুস্বাদু হয়।
এক কথায় অসাধারণ আপু। আপনি খুব সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। টেংরা মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে না ভাইয়া খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে আলু বেগুন দিয়ে রান্না করার কারণে স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার প্রিয় মাছ গুলোর মধ্যে টেংরা মাছ একটি। এভাবে আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছ ঝোল করে খেতে ভালো লাগে। তবে আমি বেশিরভাগ সময় পিয়াজ মরিচ দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করে খেতে পছন্দ করি। আপনার টেংরা মাছের রেসিপি দেখে বোঝাই যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমিও বেশিরভাগ সময় টেংরা মাছ ভুনা করে রান্না করি। কিন্তু সুমন ভাইয়া একদিন বলল যে আলু বেগুন দিয়ে খুবই মজা লাগে। তাই আমিও রান্না করে দেখলাম। আসলেই অনেক মজা লেগেছিল খেতে।
টেংরা মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ।বিশেষ করে আপনি ঠিকই বলেছেন ছোট টেংরার চচ্চরি খেতে খুবই দারুণ লাগে। টেংরা মাছ খেতে আমার কাছে অন্য রকম একটা স্বাদ লাগে। বিশেষ করে আলু দিয়ে বেগুন দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করলে সেটা খেতে তো খুবই মজাদার হয়। তাই আপনি আমাদের মাঝে খুবই মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোট টেংরা মাছের চচ্চড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। এই মাছগুলো একটু বড় ছিল সেজন্য এভাবে রান্না করেছিলাম। খেতে অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে টেংরা মাছ অনেক প্রিয় এবং সকলের অতি পছন্দের একটা মাছ। তার পরেও আলু বেগুন অর্থাৎ প্রিয় সবজিগুলোর কম্বিনেশনে তৈরি করেছেন অসাধারণ একটা রেসিপি। দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন মনে হয় এতে তার থেকেও বেশি ভালো লাগবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার রেসিপি নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দেখতে যেমন হয়েছে খেতে তার থেকেও বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল দারুন লোভনীয় হয়েছে আপু। টেংরা মাছ আমার খুবই প্রিয়। আর আলু ও বেগুনের সাথে যদি রান্না করা হয় তাহলে খেতে বেশি ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপি খেতে দারুন লাগবে। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গরম ভাতের সঙ্গে এই রেসিপি তো অসাধারণ লেগেছিল। আপনিও রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি খেতে ভারি মজা। সুস্বাদু এই রেসিপিটি দেখে টেংরা মাছ খেতে ইচ্ছে করছে। আমার পছন্দের একটি মাছ এই টেংরা। আপনার প্রতি ভালোবাসা ও শুভ কামনা থাকল।
টেংরা মাছ খেতে আসলেই ভাল লাগে। এভাবে আলু বেগুন দিয়ে রান্না করার আইডিয়াটি অবশ্য সুমন ভাইয়া আমাকে দিয়েছিল। খুব মজা হয়েছিল খেতে।
আলু, বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি দেখি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। আপনার রেসিপির উপস্থাপন এবং পরিবেশ আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে টেংরা মাছ আমার অনেক প্রিয় মাছ। আজকে আমি টেংরা মাছ দিয়ে খাবার খেয়েছি, ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে।
আমার রেসিপি উপস্থাপন এবং পরিবেশনা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
টেংরা মাছ আমার খুব পছন্দের একটা মাছ। আর টেংরা মাছ খুব সুস্বাদু মাছ। আপনি আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো, দেখে বুঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি করেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করাতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।