রংপুর থেকে ঢাকায় আসা (নিজের গন্ডিতে ফেরা)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দিন আপনাদেরকে বলেছিলাম যে বাসায় আসার জন্য রংপুরে আসছি। আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব রংপুর থেকে ঢাকা আসার জার্নি। গ্রামের বাড়িতে যেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। অল্প কিছুদিন থাকার জন্য একদম পারফেক্ট। বিশেষ করে শ্বশুর বাড়িতে গেলে অনেক লোকজন থাকে অনেক বেশি মজা হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি এত দূরে হওয়ার কারণে এতদূর জার্নি করে যেতে ইচ্ছা করে না। সেজন্যই বছরে খুব কম যাওয়া হয়। দুই ঈদ ছাড়াও মাঝে এক দুইবার যাওয়া হয়। এবার বাচ্চার স্কুল পূজার ছুটি হওয়ার কারণে এবং রবিবার সরকারি ছুটির জন্যই আমরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম । এখন ফেরার পালা। রংপুরে গিয়ে মামার বাসায় আটটার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেলি। আমরা পৌনে নয়টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। কারণ ক্যান্টনমেন্টের ভিতর সাড়ে আটটার পরে আর অটো চলে না। মামা একটা অটোকে বলে রেখেছিল সে সাড়ে আটটার দিকে আসে।আমরা গোছগাছ করে বের হয়ে যাই। তা না হলে আর একটু পরে বের হলেও চলত। কারণ আমাদের গাড়ি ছিল দশটায়।



B0E6EAA6-11E4-490F-B6A1-4679C975FB40.jpeg


ক্যান্টনমেন্টের গেটে এসে সেই পুরোনো ঝামেলা অটো চেঞ্জ করার। কারন ভিতরের অটো বাইরে যেতে দেয় না। এক অটো থেকে অন্য অটোতে ওঠার সময় ক্যান্টনমেন্টের বাইরে গেটের এই ছবি দুটি তুলেছি। খুব সুন্দর লাগছিল দেখতে ।


766AE835-0597-4AEE-B77D-F1F54B49AA02.jpeg



B31D7FF9-F47F-4799-BA38-F73198B51AD4.jpeg


৯ঃ১৫ এর দিকে আমরা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে যাই। আমাদের বাস দশটা পনেরোতে ছাড়ে। স্লিপিং বাস হওয়ার কারণে গাড়িতে উঠে বাচ্চারা ঘুমিয়ে যায়। আমরাও টায়ার্ড ছিলাম আমরাও ঘুমিয়ে পরি। মাঝে সাড়ে তিনটার দিকে ফুড ভিলেজে বিরতি দিয়েছিল। আমরা অবশ্য ওয়াশরুমে গিয়েছি শুধু আর রাতে খাওয়া দাওয়া করিনি তেমন কিছু ।


0E16DCA1-3CE9-4561-AF20-738A13DDA6D6.jpeg


5F39B843-ACE0-488E-B1CF-413DAE47E504.jpeg



ফুড ভিলেজ থেকে রাস্তায় প্রচণ্ড রকম জ্যাম ছিল। ওই জায়গায় দুই ঘন্টা লেগেছে জ্যামের কারণে। সেজন্য সকালে আমাদের নামতে দেরি হয়েছে।


0C5186CA-32AC-4485-A5C5-BCAC616428B3.jpeg



আমাদের সাতটার সময় গাবতলীতে নামার কথা ছিল। কিন্তু সাড়ে ছয়টার সময়ও আমরা অনেক দূরে ছিলাম । সেজন্য সাড়ে ছয়টার দিকে আবারো হালকা একটা ব্রেক দেয় সবার ফ্রেশ হওয়ার জন্য।


1977434F-4286-4BBC-A74F-E2C944E5A620.jpeg


111CB444-FE51-4DE6-9030-263BFD80366D.jpeg


D44AB591-2ECF-44E0-B71C-A55F38103CF8.jpeg


সাড়ে ছয়টার দিকে চারপাশে একদম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য আর না ঘুমিয়ে এই সুন্দর ছবিগুলো তুলেছি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। উপরের ছবিটি দেখে খুবই হতাশ লেগেছে। এত সুন্দর একটি লেকের পাড়ে এমন ময়লা ফেলে রেখেছে । এসব ময়লার জন্যই ঢাকার আশেপাশের লেকগুলো এত নোংরা থাকে ।


F5D1BBA0-5EC9-4213-8F33-6856EDAC1632.jpeg


AD26D187-F776-4471-A246-5C0F8623E627.jpeg



যতই ঢাকার ভিতরে ঢুকছিলাম ততই সবুজ প্রকৃতি বাদ দিয়ে বিল্ডিংয়ে দেখা পাচ্ছিলাম। অবশেষে আমরা নয়টার সময় গাবতলীতে নামি।


F410FD27-8DB4-4BA0-9027-76C67EC56667.jpeg


গাবতলীতে নেমে আমরা একটি উবার নিয়ে বাসার দিকে রওনা দেই। বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দশটা বেজে গিয়েছিল। উবারে একটু ঝামেলা ছিল। বারবার থেমে যাচ্ছিল । যাই হোক ১২ ঘন্টার জার্নি শেষে সুস্থ মতো বাসায় পৌঁছতে পেরেছি তাই আলহামদুলিল্লাহ।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

গ্রামের বাড়ি আমার কাছেও খুবই মজা লাগে ।আপনি ঠিকই বলেছেন তা অল্প কিছুদিনের জন্য হলেই পারফেক্ট । আপনারা রংপুরে যেয়ে মামার বাসায় উঠেছেন এবং সেখান থেকে একটু আগে আগেই বেরিয়েছেন সেটা অবশ্য এক দিক দিয়ে ভালো হয়েছে।গাড়ি ছেড়ে যাবার ভয় নেই । ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বেশ ভালো জার্নি করেছেন এবং সকালে প্রকৃতির সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলেছেন । সবশেষে ১২ ঘন্টার জার্নি শেষ করে আপনি সুস্থভাবে বাসায় পৌঁছেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু স্লিপিং বাস হওয়ার কারণে খুব একটা কষ্ট হয়নি। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভালোই সময় পার হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

কোথাও ঘুরতে যেতে তো খুব ভালো লাগে। কিন্তু ফেরার সময় মন খারাপ হয়।তারপর ও ফিরতে হবে।আপনার ক্যান্টমেন্টের বাইরের ফটোগ্রাফি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা জার্নি করে সুস্থ ভাবে বাসায় ফিরেছেন শুনে ভালো লাগলো আপু। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু কোথাও ঘুরতে গেলে সেখান থেকে আসার সময় খুব মন খারাপ হয়। যাই হোক কি আর করার ফিরতে তো হবেই। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

রংপুর থেকে ঢাকা লং জার্নির আগে আপনারা মামাশ্বশুর এর বাসায় স্টে করেছেন ভাল হয়েছে তা না হলে কষ্ট হয়ে যেত বিশেষ করে বাচ্চাদের। সব ক্যনটনমেন্টের ভিতরে এ ধরনের অনেক রেস্ট্রিকশন থাকে। আপনার তোলা ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে। রাস্তার পাশে সবুজের সমারোহ দেখা যাচ্ছিল। অন্যান্য সিটি থেকে ঢাকায় সবুজ গাছগাছালির কমতি আছে। আপনারা ১২ ঘন্টা ট্রাভেল করেছেন মানে অনেক সময় তাও ভাল ঠিক ভাবে এসে পৌঁছাতে পেরেছেন। উবার মাঝে কিছুদিন ভাল সেবা দিচ্ছিল কিন্তু আবার ঝামেলা শুরু করেছে। বিশেষ করে উঠার সময় ভাড়া ডিসপ্লেতে যা দেখায় তার থেকে অনেকে বেশি ভাড়া আসে প্রায় সময়। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

১২ ঘন্টা তো শুধু বাস থেকে বাসায় পৌঁছাতে। তার আগে যে আরো দেড় ঘন্টা জার্নি করেছি। যাই হোক সব মিলিয়ে সুস্থ মতে পৌঁছাতে পেরেছি তাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

যাক দিনশেষে তাহলে নিজ গন্তব্যে পৌছে গেলেন ৷ এটা সত্যি বিরক্তিকর যে অটো চেন্স করার ঝামেলা ৷ শহর তো আমরা একদম ভালো লাগে না ৷

 2 years ago 

জি ভাইয়া নিজের গন্তব্যে অবশেষে পৌঁছতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

এই ব‍্যাপারটা আমিও খেয়াল করেছিলাম যতই ঢাকার দিকে যায় ততই যেন সবুজের পরিমাণ কমতে থাকে। ক‍্যান্টনমেন্ট এর নিয়মগুলো সাধারণত বেশ কঠোর হয়ে থাকে। যেটা আপনারা অন্তত অটো পরিবর্তন করার সময় বুঝতে পেরেছেন। বেশ অনেক টা সময় জার্নি করেছেন।।

 2 years ago 

ক্যান্টনমেন্টের নিয়ম গুলো কঠিন জন্যই ভিতরে এত চমৎকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। তা নাহলে তো অন্যান্য জায়গার মতো অবস্থা হতো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

ঢাকা চলে যাওয়ার আগে গোবিন্দগঞ্জে আসতে পারতেন।আমি সহ আরো অনেকেই ছিলাম।শুভ ভাইয়া তো ছিলই।
ভালোভাবে পৌছেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।এরপর আসলে অবশ্যই আমাদের এদিকে আসিয়েন আপু।
ভালোবাসা এবং শুভ কামনা জানাই 😊

 2 years ago 

ইন শাহ আল্লাহ ভাইয়া কোন এক সময় চলে আসবো। ধন্যবাদ আপনার নেমন্তনের জন্য।

 2 years ago (edited)

গাড়িতে উঠলেই মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয় যে কখন বাসায় যাবো কখন বাসায় যাব।
আর আপনার রংপুর থেকে ঢাকা ভ্রমণের গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পুরো পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

রাতের বেলায় এই রাস্তা টায় মাঝে মাঝেই জ্যাম হয় খুব। আমি যেদিন অসুস্থ শরীর নিয়ে রাতের গাড়িতে ফিরছিলাম মনে মনে ভয়ে ছিলাম খুব যদি জ্যামে আটকে যায় , ভালো যে পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই বগুড়া নেমেছিলাম। যাই হোক সুস্থ্ শরীরে সবাই যে পৌঁছেছেন এই অনেক। যদিও জার্নি টা অনেক হয়ে গেছে। আর ঢাকায় ঢুকতে খাল গুলোর পাশে এই নর্দমা দেখলে ইচ্ছে করে যে বোম মেরে যদি এসব উড়িয়ে দিতে পারতাম! কি আর বলবো।

 2 years ago 

যাওয়ার দিন এই জায়গায় জ্যাম পায়নি। কিন্তু আসার দিন অনেক জ্যাম ছিল। যার জন্যই অনেক সময় লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 2 years ago 

গিয়েছিলেন স্লিপার কোচ এ আবার ব্যাক ও করলেন স্লিপার কোচ এ। প্রথমে পরে ভাবলাম ৮ টার পর অটো কেন চলেনা। তারপর ছবি দেখে বুঝলাম রাত ৮ টা। যাক সুন্দর সুস্থ ভাবে ফিরতে পেরেছেন এটাই অনেক। শুভেচ্ছা রইলো আপু।

 2 years ago 

স্লিপিং কোচে যাওয়া আসার কারণে জার্নিটা খুব একটা কষ্ট হয়নি। আরামেই যেতে এবং আসতে পেরেছিলাম । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60836.32
ETH 2449.94
USDT 1.00
SBD 2.65