উত্তরা মোমেন্টো রেস্টুরেন্টে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বাচ্চাটির নাম ছিল আরাদ রহমান ইহান। এক সাইডে বাচ্চার এরকম একটি ছবি ছিল। খুব ভালো লাগছিল দেখতে। তাই একটি ছবি তুলে নিলাম।
আমরা যখন গাড়ি থেকে নামলাম তখন গেটের সামনে এই গাড়িটি সাজানো ছিল। যে বিয়ের বৌভাত হচ্ছিল এই রেস্টুরেন্টটিতে তাদের গাড়ি এটি।
১৪ তলার রেস্টুরেন্ট এর ভেতরের কিছু ডেকোরেশন এর ছবি। নিচের ছবিটি বুফে খাবারের ব্যবস্থা জায়গা। তখন খাবার টাইম শেষ হয়ে গিয়েছিলো। রাতের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। উপরের ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কিরকম কাছাকাছি টেবিলগুলো রয়েছে।
আমার হাজবেন্ডের এক কলিগ আছেন উনি আবার খুব ছবি তোলার জন্য অস্থির। নিচে প্রথমে বেশ কিছু ছবি তুলে লোকজন ভিড়ের জন্য সুবিধা করতে না পারায় সবাইকে নিয়ে ছাদে চলে গিয়েছিলো। ছবি তোলার জন্য ছাদে গিয়ে অবশ্য ভালো হয়েছিলো এত সুন্দর ডেকোরেশনটা দেখতে পারলাম।
আকাশ মেঘলা ছিল এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল । এজন্য ওয়েদারটা খুবই চমৎকার ছিল।
এই ছবিটি ১৪ তলার ছাদ থেকে তোলা। নিচের দিকে তাকালেই খুব ভয় লাগছিল। আমি ভয়ে ভয়ে এই ছবিটা তুলেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
১৪ তলার ছাদ থেকে তোলা ঐ ফটোগ্রাফি টা বেশ চমৎকার লাগছিল আবার ভয়ও করছিল। রেস্টুরেন্টের যে বর্ণনা গুলো দিলেন সবমিলিয়ে মোটামুটি বলা যায়। লোক সমাগম আমার নিজেরও ভালো লাগে না। জায়গা কম তারপর আবার বিয়ের অনুষ্ঠান। যাইহোক ভালো ছিল আপু। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এত ছোট একটি রেস্টুরেন্ট আবার বিয়ের অনুষ্ঠান । এর জন্যই এত বেশি লোকজন ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাগ্যিস খাবারের ছবিগুলো তুলতে পারেননি, তা না হলে তো খাবারের ছবিগুলো দেখে এদিকে আমাদের মুখ দিয়ে জল পরা শুরু হয়ে যেত 😅। রেস্টুরেন্টের টেবিলগুলো সত্যিই খুব কাছাকাছি ছিল। আর ছাদের ভিউ টা এক কথায় চরম সুন্দর লাগছিল। ডেকোরেশন টা বেশ ভালো। এরকম সুন্দর জায়গায় একটু বৃষ্টিতে ভিজলে মন্দ হয় না আপু। আমি হলে তো ভিজেই যেতাম।
বৃষ্টি খুব বেশি ছিল না। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। হালকা ভেজা তো হয়েছে এই ছবি তুলতে গিয়ে। আর খাবার ছবি তুলতে গেলে হাজবেন্ডের পিটানি খেতে হতো।
ঠিকই বলেছেন আপু রেস্টুরেন্টটির লোকসংখ্যা বেশি আবার তুলনামূলক ছোট ।আরো বড় হলে নিশ্চয়ই ভালো লাগতো আপনার।তবে সাদের এবং ভিতরের ছবিগুলো ভালোই ছিল।টেবিল গাদাগাদি করে দেওয়া ছোট হওয়ার কারণে।আকিকার অনুষ্ঠানের বাবুর ছবিটা সুন্দর নামটাও অনেক সুন্দর আপু।১৪ তলার ছবিটি তুলতে ভয় পাওয়ার কথা আসলেই, তবে দারুন ছিল ছবিটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাবুটার নাম আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। আনকমন মনে হয়েছে। ছবিটাও খুব সুন্দর লাগছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ৷ আসলে গাদাগাদি পরিবেশ আমারও তেমন ভালো লাগেনা ৷ মোটামুটি ভালো একটু জায়গা থাকলে বেশ ভালো লাগতো বোধায় রেস্টুরেন্ট টি ৷ যাই হোক খাবারের ছবি না তুলে বেশ ভালোই করেছেন , লোভ লেগে যেতে খাবারের প্রতি ৷ রেস্টুরেন্টেটি ভিতরের এবং ছাদের পরিবেশটা কিন্তু আমাল কাছে ভালোই লেগেছে ৷ অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
রেস্টুরেন্টের ছাদের পরিবেশটা আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। বুফে খাবার ছাদে হলে আবার একটু সমস্যা। নিচে নেমে বারবার এসে খাবার নিয়ে যেতে হতো।
আপু উত্তরা মোমেন্টো রেস্টুরেন্টে আরাদ রহমান ইহানের আকিকার অনুষ্ঠানের বেশি কিছু ছবি দেখলাম। আর আপনার বর্ণনার সাথে রেস্টুরেন্টের খুবই মিল ছিল। ভিতরের চেয়ার গুলো খুব কাছাকাছি ছিল। আর ভিতরের পরিবেশ থেকে ছাদের পরিবেশ টা সুন্দর ছিল। ১৪ তলা থেকে যে ছবিটা সেয়ার করেছেন সেটা অনেক সুন্দর হয়েছে। সর্বপরি খুব ভাল একটি পোষ্ট ছিল। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভেতরের থেকে ছাদের পরিবেশটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছিল ছাদটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
খাবারের ছবিগুলো না তুলে ভালই করেছেন। তুললে আমাদের অনেক বেশি লোভ লাগতো 😜। মোমেন্টো রেস্টুরেন্টের কথা আমিও খুব শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। রেস্টুরেন্টের ভিউ টা আসলেই খুব সুন্দর। অনেক উপর থেকে ছবি তুলতে আমারও খুব ভয় লাগে। মনে হয় কখন যেন হাত থেকে মোবাইল টা পরে যাবে😆।
আপনি মোবাইলের চিন্তা করেন আমার তো মনে হচ্ছিল যে আমিই না পরে যাই মাথা ঘুরে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৪ তলার উপরে থেকে নিচের দিকে তাকালে আসলে ভয় লাগারই কথা। তবে রেস্টুরেন্ট আর ছাদের ডেকোরেশন মোটামুটি ভালোই লাগছে
।আপনার ছবি দেখে বুঝতে পারছি আপনার অস্বস্তি কারণটা এটার সবারই অস্বস্তি হওয়ার কথা টেবিলগুলো এতো কাছাকাছি। আকিকার বেবি টার নাম টা অনেক সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টেবিলগুলো কাছাকাছি হলেও আমরা ভেতরে বসেছিলাম । ভেতরে আলাদা জায়গা ছিল। সেখানে বাইরের লোক ছিল না। এজন্য খুব একটা সমস্যা হয়নি । ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার হাজবেন্ডের বন্ধুর ছেলের আকিকা সত্যিই অনেক চমৎকার ভাবে অতিবাহিত করেছেন এবং নামটি অনেক চমৎকার হয়েছে। এছাড়াও উত্তরার এই রেস্টুরেন্টে কখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনার রিভিউ দেখে যেতে ইচ্ছা করছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নামটি আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। রেস্টুরেন্টটি আমার কাছে মোটামুটি মানের মনে হয়েছে। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভিতরের চাইতে আমার কাছে ছাদের ব্যবস্থাটাই বেশি ভালো লাগলো। এমন উচু জায়গায় এমনিতেও বসে থাকতে ভালো লাগে। বুফের জন্য কত খরচ করতে হবে সেটা লিখলে ভালো হতো। আর বরাবরের মতই আপনাদের ছবি না দেখে হতাশ হলাম আপু।
আমার ছবি দেখতে চাইলে কিছুদিন আগে আমি একটা পোস্ট করেছিলাম। ৩৬৫ দিনে ৩৬৫ টি পোস্ট। সেখানে গিয়ে দেখতে পারেন। হতাশ হবেন না আশা করি😜।
হতাশ হবার কি আছে!!! আপনি তো আমার আপু।
ভাইয়া আমি তো দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। সেজন্য জানিনা যে একেকজনের কত করে পরেছে। জানলে জানিয়ে দিতাম। ধন্যবাদ।
যদিও এটা রেস্টুরেন্ট কিন্তু আমি প্রথমে এটা রেসর্ট ভেবেছিলাম। পরে দেখলাম ১৪ তলা রেস্টুরেন্ট। আর ছাদের উপর লাউঞ্জের ব্যাবস্থা আছে। দিনের বেলায় এই লাউঞ্জগুলো যতটা না ভালো লাগে রাতের বেলা বেগুনী-গোলাপী আলোর আভায় কেমন একটা মায়াময় পরিবেশ তৈরি করে।যদিও অনুষ্ঠান টি কিসের ছিলো সেটা বুঝলাম না। কোন বাচ্চার জন্য অনুষ্ঠান ছিলো সেটা বুঝলাম। তার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।আর এটা একদমই ঠিক যে কোন রেস্টুরেন্টে একসাথে দুটো প্রোগ্রাম থাকলে আর যথেষ্ট জায়গা না থাকলে খুব অসুবিধা হয়।
আপু বাচ্চা হওয়ার পরে বাচ্চার আকিকা দিতে হয়। সেই আকিকার অনুষ্ঠান ছিল এটি। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।