ঈদ শেষে নিজের গন্তব্যে ফেরা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে নতুন পোস্ট নিয়ে। আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে ঈদে শশুর বাড়ি রংপুরে গিয়েছিলাম। প্রায় নয় দিন সেখানে ছিলাম। বেশ ভালোই আনন্দে কেটেছিলো। ঈদের পরদিন ঢাকা থেকে চাচা শ্বশুরের ফ্যামিলিও গিয়েছিলো। সবাই মিলে এই কয়দিন যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। তাছাড়া ঈদের একদিন পর মামাতো ননদের কাবিন ছিল। সেই অনুষ্ঠানেও বেশ মজা করেছি। ঈদ,বিয়ে, ঘোরাঘুরি আনন্দ সবকিছু শেষ করে অবশেষে আজকে বাসায় ফিরলাম। এখন থেকে আবারও রেগুলার রুটিনে ফিরে যেতে হবে। যদিও বাচ্চাদের স্কুল এ সপ্তাহ বন্ধ আছে। এই সুযোগে বাসার কিছু কাজ করে রাখা যাবে। তাছাড়া গ্রামে থাকার কারণে এই কয়দিন কমিউনিটির কাজ করতে খুবই অসুবিধা হয়েছে। গ্রামের নেটের খুব সমস্যা থাকে। তারপরও চেষ্টা করেছি কিছুটা করার।
যাওয়ার সময় খুব ভোরের রওনা দিয়েছিলাম জন্য জ্যাম ছাড়াই যেতে পেরেছিলাম। গাড়ি নিয়ে মাত্র সাড়ে সাত ঘণ্টায় বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তাই এবারও ইচ্ছা ছিলো যে সকাল সকাল রওনা দিয়ে দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার। কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে কিছুটা দেরি হয়ে যাওয়ায় আমরা আটটার সময় রওনা দিলাম। যেহেতু সরকারি ছুটি একদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে তাই আজকে রাস্তাঘাটে জ্যাম একদমই কম ছিল। আজকেও বেশ আরামেই আসতে পেরেছি। আমরা মাত্র চার ঘণ্টাতে বাড়ি থেকে ফুডভিলেজ এ পৌঁছে গিয়েছিলাম। বারোটার দিকে ফুড ভিলেজে নেমে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম।
রাস্তায় খুব বেশি জ্যাম না থাকলেও ফুডভিলেজ এ মোটামুটি ভিড় ছিলো। বাসের থেকে বেশি প্রাইভেট কারের কারণে ভিড় দেখলাম। বসার জন্য টেবিল পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একটা টেবিল ফাঁকা হতেই সেখানে বসে পরলাম। ছোট ছেলে অসুস্থ থাকায় ওর জন্য ভাত, মাংস অর্ডার দিলাম। বাকিরা পরোটা এবং মাংস খেলো। খাওয়া শেষে এক কাপ চা না খেলে জমে না। তাই সবাই চা খেয়ে নিলাম কিছুটা ফ্রেশ হওয়ার জন্য।
তারপর আবারও রওনা দিলাম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। বাকি রাস্তাও বেশ ভালোভাবে আসতে পেরেছি। মোটামুটি গাড়ি ছিল কিন্তু ও খুব বেশি জ্যামে পড়তে হয়নি। তিনটার মধ্যেই প্রায় উত্তরা পৌঁছে গিয়েছিলাম। ঢাকায় ঢোকার পর ড্রাইভারকে কিছুটা অস্থির লাগছিলো। কারণ এত দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানো আসলেই বেশ কষ্টকর। সেজন্য উত্তরায় এসে আমার হাজবেন্ড ড্রাইভারকে ছেড়ে দিলো। বাকি রাস্তা সেই ড্রাইভ করে এসেছে। ড্রাইভার ওখানে নেমে আবার বাড়িতে চলে যাবে। আমরা তিনটা পনেরোতে বাসায় সুস্থ মতো পৌঁছে গিয়েছিলাম।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যাক সব শেষে বাড়ি ফেরা হলো। তাও আবার যানযট মুক্ত হয়ে । আর বাড়িতে গিয়ে তো দেখছি এক সাথে ঈদ,বিয়ে, ঘোরাঘুরি আনন্দ সবকিছুই করলেন। মাঝে মাঝে আমারও মনে চায় এমন ঈদ আনন্দ গ্রামে যেয়ে উপভোগ করতে। কিন্তু কি করবো ভাগ্য যে আমার সহায় না। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু বেশ ভালোই আনন্দ হয়েছিল এবার। ধন্যবাদ আপনার গঠনমুলক মন্তব্যের জন্য।
দেখতে দেখতে ঈদের বেশ কিছুটা দিন পার হয়ে গেল। আবার যে যার মত নিজের গন্তব্য স্থলে রওনা দিয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট পড়ে। ঈদের মধ্যে কিছুটা সময় যে মুক্ত থাকে অনেক জায়গাতে। তবে যাই হোক সুন্দর অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশের ফটো ধারণার মধ্য দিয়ে শেয়ার করেছেন দেখে খুশি হলাম।
এইবারের সময়টা আসলেই দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল। যাইহোক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এটা যেন প্রতি বারের রুটিন। ঈদ শেষে আবার সেই কর্মব্যস্ত ঢাকা তে ফিরে আসা। ব্যাপার বেশ দুঃখজনক একটুও কষ্টও লাগে। আপনারা আরেকটু সকালে বের হতে পারলে ভালো হতো। তাহলে আরও দ্রুত পৌছে যেতেন বাড়িতে। যদিও রাস্তায় কোথাও জ্যাম ছিল না বললেন। মোটামুটি ভোগান্তি ছাড়াই পৌঁছে গিয়েছেন বলা যায়।
মানুষের জীবনইতো একটা রুটিনের মধ্যে আবদ্ধ। মাঝেমধ্যে এর ব্যতিক্রম হয় আর কি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সবাইকে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে আসতে হয় এটাই প্রকৃতির নিয়ম ।যাই হোক বেশ ভালোভাবে গ্রামে ঈদ কাটিয়ে আবার বাসায় ফিরেছেন ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো। এবারের ঈদ বেশ ইনজয় করেছেন মনে হচ্ছে ।আর এই গরমে জার্নি করাটাও ভীষণ কষ্টের । আবার ড্রাইভ করাটাও মনে হয় কষ্টের ।যাইহোক রাস্তা ফাঁকা থাকার কারণে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু গরমে জার্নি করা বেশ কষ্টকর। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এবার তো তাহলে ঈদের সাথে আরো বেশি মজা হয়েছে বিয়েটা থাকার কারণে । আবার আপনার চাচা শ্বশুরাও ঢাকা থেকে গিয়েছে তাহলে তো সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন । ঈদের এই সময়টাতে রাস্তাটা ফাঁকা থাকলে গিয়ে আরাম পাওয়া যায় । অফিস একদিন আগে খুলে যাওয়ার কারণে আপনারা ফাঁকা রাস্তা সুন্দরভাবে চলে আসতে পেরেছেন । তা ঠিকই অতো দূরের রাস্তা ড্রাইভার চালিয়ে আসা আসলেই কষ্টকর । ভালো করেছেন তাকে আগেই ছেড়ে দিয়ে ।
সবাই থাকার কারণে বেশ মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।