গাজরের পায়েসের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে গাজরের পায়েস এর রেসিপি শেয়ার করবো। শীতকাল আসলে গাজর খাওয়ার ধুম পরে যায়। অবশ্য সারা বছরই গাজর পাওয়া যায় কিন্তু শীতকালের গাজর অনেক বেশি খাওয়া হয়। বিশেষ করে সবজিতে, ভাজিতে অথবা গাজরের পায়েস, হালুয়া কত কিছু যে বানানো যায় তার ঠিক নেই। আজকের গাজরের পায়েস তৈরি করার পর এত সুন্দর কালার এসেছে যে দেখে আমার নিজেরই সাথে সাথে খেতে ইচ্ছা করছিলো। এর আগে কখনো গাজরের পায়েস রান্না করিনি। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম যে গাজর দিয়ে কিছু একটা বানাবো। তারপর ভাবলাম যে গাজর দিয়ে পায়েস রান্না করি। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আজকের গাজরের পায়েস। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গাজর--৪ টি
গুঁড়া দুধ-- ৩ টেবিল চামচ
চিনি-- পরিমাণমতো
ঘি --২ টেবিল চামচ
এলাচ --৩ টি
লবণ-- ১ চিমটি
প্রথমে গাজরগুলোকে এভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে ঘি দিয়ে দিয়েছি। তারপর এলাচ তিনটি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে গাজর গুলোকে দিয়ে দিয়েছি।
গাজর গুলোকে ভালোমতো ভেঁজে নিবো। যতক্ষণ না গাজরগুলোর পানি শুকিয়ে যাবে ততক্ষণ ভাঁজতে হবে।
চুলায় আরেকটি ফ্রাইপ্যানে দুধ বসিয়ে নিবো। দুধগুলোকে জ্বাল দিয়ে ঘনো করে নিবো।
দুধগুলো জ্বাল দিতে দিতে যখন ঘনো হয়ে যাবে তখন ভেঁজে রাখা গাজরগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিবো।
গাজরগুলো দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিবো। তারপর পরিমাণ মতো চিনি এবং এক চিমটি লবণ দিয়ে দিবো।
একটি গ্লাসে সামান্য একটু পানি নিয়ে তার মধ্যে গুড়া দুধ গুলো দিয়ে গুলিয়ে নিবো। তারপর ফ্রাইপানের মধ্যে দুধগুলো দিয়ে দিবো।
তারপর আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিবো। পায়েস মোটামুটি ঘনো হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিব।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
গাজর দিয়ে প্রস্তুত করা সবজি ভাজি ভর্তা সব রকমই খেয়েছি কিন্তু আপনার মাধ্যমে আজকে দেখতে পেলাম ইউনিট রেসিপি পায়েসের। আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি না দেখলে বুঝতেই পারতাম না যে গাজর দিয়ে পায়েস প্রস্তুত করা যায় আর সেটি খেতে খুব মজাদার হবে।
আমার তো দেখেই খুব লোভ হচ্ছে একবার বাসায় প্রস্তুত করে খেতে হবে।।
আমার গাজরের পায়েস দেখে যেহেতু আপনার লোভ লাগছে তাহলে আপনি বাসায় রান্না করে খেতে পারেন । ধন্যবাদ আপনাকে।
সম্পূর্ণ নতুন ধরনের একটা রেসিপি আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি দেখতে পেলাম আপু। এর আগে আমি কোনদিন গাজরের পায়েস দেখিনি। আমি চিন্তা করে ফেলেছি আপনার দেখানো ধাপগুলো অবলম্বন করে একদিন গাজরের পায়েস রান্না করব।
আমিও এই প্রথম গাজরের পায়েস রান্না করেছি। খুবই মজা লেগেছিল খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি ইউনিক পারফেক্ট একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। গাজরের পায়েসের রেসিপি দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। এভাবে কখনো খাইনি। আজকে আপনার রেসিপি দেখে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম। অবশ্যই বাসায় সময় করে আপনার রেসিপি তৈরি করবো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
কি আর করার ভাইয়া এই পায়েসতো আর খেতে পারছেন না। এই রেসিপি ফলো করে বাসায় বানিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি গাজরের পায়েসের নাম শুনেছি আজ কখনো খাওয়া হয়নি। আজ আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসল। মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আমিও আপনার রেসিপি দেখে একবার তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নাম যেহেতু শুনেছেন একবার বাসায় বানিয়ে দেখলে বুঝতে পারতেন যে কতটা সুস্বাদু। আমার রেসিপি ফলো করে বানাতে পারেন খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
গাজরের পায়েস বানানো যায় সেটা আমি আজকে প্রথম জানতে পারলাম। এর আগে তো শুধু গাজরের হালুয়া বানানোর কথা শুনেছি আজকে পায়েস বানানোর রেসিপিটাও দেখে নিলাম। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন ও ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই সুন্দর গাজরের পায়েস রান্নার ইউনিক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আজকে আমার রেসিপির মাধ্যমে গাজরের পায়েস রান্না নিশ্চয়ই শিখে নিয়েছেন। বাসায় চেষ্টা করতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো খুব চমৎকারভাবে গাজরের পায়েসের রেসিপি করেছেন। তবে আমি কখনো গাজরের পায়েস খাইনি। এই প্রথম দেখলাম গাজরের পায়েস। দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। তবে আমরা সব সময় নৃত্য প্রয়োজনে গাজর খেয়ে থাকি। আমিও চেষ্টা করব বাসায় গাজরের পায়েস বানানোর জন্য। সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি ভাইয়া এই রেসিপি ফলো করে আপুকে বানিয়ে দিতে বলবেন। খুব ভালো লাগবে খেতে। খুবই মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম।গাজরের হালুয়া খেলেও পায়েস কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি।কালার টা দেখে আমারো খেতে ইচ্ছা হচ্ছে।খুবই লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
সবাই গাজরের হালুয়ায় খেয়ে থাকে। গাজরের পায়েস মনে হয় কেউ তেমন একটা খায় না। আমিও এবারই প্রথম বানিয়েছিলাম। খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
সারা বছর গাজর পাওয়া গেলেও তবে গাজরের সিজন হচ্ছে শীতকালে।আপনি ঠিক বলছেন আপু গাজর দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়।তবে আপনি যে গাজরের পায়েস করেছেন কালারটা কিন্তু দারুণ এসেছে।পায়েসের কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালের গাজর গুলোখেতে বেশি ভালো লাগে। সারা বছরের গাজর তেমন মজা পাওয়া যায় না। যাইহোক আপু ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গাজরের পায়েস নামটাই প্রথম শুনলাম, গাজর খেতে তো এমনিতে ভীষণ ভালোবাসি, পায়েসটা খেতেও তো আশা করি দুর্দান্ত লাগার কথা। পুরো আইডিয়াটা আমার দারুন লেগেছে আপু। একবার খবর দিলেই পারতেন। সব সময় লুকিয়ে লুকিয়ে খান। এগুলো একদম ঠিক না। যাই হোক কয়দিন পর বাড়ি গিয়ে একবার চেষ্টা করার ইচ্ছা আছে। উপকরণের ঝামেলা খুব একটা নেই দেখলাম । দেখা যাক কি হয়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রেসিপি তৈরি করতে খুব একটা বেশি উপকরণের প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে এর মধ্যে বাদাম কুচি দিতে পারেন তাহলে স্বাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।