গ্যাংটক এর ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন সেন্টারের ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের দর্শনীয় স্থানের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি নিয়ে। বাকথ্যাং ওয়াটারফল দেখে আমরা গিয়েছিলাম ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন সেন্টারে। এটি মাঝারি আকারের একটি গ্রীন হাউজ। এখানে অ্যানথিয়াম লিলিয়াম নামক নানা প্রজাতির অর্কিডের অসংখ্য সমারা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের যেমন ফুল রয়েছে তেমন ফুলের ঘ্রাণে চারপাশ ভরে থাকে। এই গ্রীন হাউসের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম লেক রয়েছে এবং লেকের উপর দিয়ে একটি সেতু রয়েছে। যদিও লেক এবং সেতু আমরা দেখতে পেয়েছিলাম না। ওই পাশটা বন্ধ ছিল। সিকিমের বিভিন্ন অংশ থেকে ফুল সংগ্রহ করে এখানে প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া প্রতিটি ফুলের বীজ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে সেই বীজ কিনে নিয়ে আসতে পারেন। বিশেষ করে এপ্রিল থেকে মে মাসে এর সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেশি থাকে। কারন এই সময় সব ধরনের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আমরা যেহেতু সেপ্টেম্বর মাসে গিয়েছিলাম তাই তেমন ফুল দেখতে পাইনি। খুবই অল্প পরিমাণের ফুল ছিল।


IMG_5528.jpeg


গ্রিন হাউজের ভিতরে ঢুকতে গেলে আপনাকে টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দাম খুবই কম দশ রুপি করে মাত্র। তাছাড়া ঢোকার সময় তারা বারবার বলছিল চাইলে আমরা ফুলের বীজ কিনে নিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু ভিতরে ঢোকার পর খুবই অল্প পরিমাণে ফুল দেখতে পেয়েছিলাম। সেজন্য বীজ কেনার তেমন একটা আগ্রহ হয়নি। তাছাড়া এই ফুলগুলো পাহাড়েই ভালো হয়। সমতল জায়গায় তেমন ভালো হতে চায় না।


IMG_5521.jpeg

IMG_5525.jpeg


সব থেকে যে জিনিসটি ভালো লেগেছে তাহলো এখানকার যে ফুলগুলো ছিল সবগুলো ফুলই আমি নতুন দেখেছি। একদমই অজানা ফুলগুলো। এত সুন্দর কালার যে মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো। তাছাড়া ভিতরে এরকম বসার জায়গা রয়েছে। সেখানে সবাই বসে ফটোগ্রাফি করার জন্য। কিন্তু তেমন ফুল না থাকায় চারপাশটা ফটোগ্রাফির জন্য তেমন সুন্দর লাগছিল না।


IMG_5523.jpeg


IMG_5524.jpeg


IMG_5526.jpeg


IMG_5527.jpeg


গ্রীনহাউজের ভেতর থেকে বাইরে বের হওয়ার পর আমরা লেকটির সাইডে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বলল যে এই সময় বন্ধ আছে। পরে পিছন সাইড দিয়ে ভিতরটা দেখলাম। আসলেই অসম্ভব সুন্দর ছিল। আফসোস হচ্ছিলো ভিতরে যেতে না পারার জন্য। বাইরে আসতে আসতে দেখি মেঘে চারপাশ একদম ঢেকে গিয়েছে।


IMG_5531.jpeg


IMG_5532.jpeg


আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তী পর্বে দেখা হবে গ্যাংটকের নতুন কোন জায়গা নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য। সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

বেশি কিছু বোঝার প্রয়োজন মনে করলাম না, শুধু দেখার চেষ্টা করলাম আপনার ডিভাইসে ধারণ করা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো। আমিও রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে এমন সুন্দর দৃশ্য আলা স্থান লক্ষ্য করেছি, যেগুলো খুব সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করে রাখে তারা। তবে যাই হোক গ্রীন হাউজের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাটতে হয় টিকিটের মূল্য কম ভেতরে সুন্দর দৃশ্য ফুল না থাকায় ভালো না লাগলেও ফটোগ্রাফি করতেও বেশ ভালো লেগেছে বুঝি।

 11 months ago 

জ্বী ভাইয়া টিকিটের মূল্য খুবই কম ছিল। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 59323.36
ETH 2348.51
USDT 1.00
SBD 2.55