হঠাৎ ছেলের স্কুলে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আপনাদের সঙ্গে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম । আজকে অবশ্য কোন রেসিপি, আর্ট বা ডাইপোস্ট নিয়ে আসিনি। সেদিন হঠাৎ করে আমার ছেলের স্কুলের যেতে হয়েছিল। আমার ছোট ছেলেটা একদম ছোট হওয়ার কারণে এবং বড় ছেলের স্কুল একটু দূরে হওয়ার কারণে আমার স্কুলে তেমন একটা যাওয়া হয় না। স্কুলের মাইক্রোবাসে দিয়ে দিয়েছি। এতে করে আমার আর স্কুলে নিয়ে আনার ঝামেলা করতে হয় না। মাইক্রোবাসে দেয়ার সুবিধা অসুবিধা দুইটাই আছে। সুবিধা হল যাওয়া আসার কোন চিন্তা নেই। আর অসুবিধা হলো সময় একটু বেশি লাগে। আমার ছেলে অবশ্য এই মাইক্রোবাসে যাওয়াটা খুবই ইনজয় করে। আমার বড় ছেলে আবার একটু মিশুক প্রকৃতির। সবার সঙ্গে অনেক ভাল সম্পর্ক হয়ে যায় নিমেষের মধ্যে। মাইক্রোবাসের অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গেও তার খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে। এর জন্য সে গাড়িতে মজা করতে করতে স্কুলে যাওয়া আসা করে। বাচ্চার হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার কারণে গার্জিয়ানদের স্কুলে যেতে বলেছিল সেজন্য যাওয়া। গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। শত হলেও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য বলে কথা🤣। তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
ছেলের ভর্তির সময় একবার স্কুলে গিয়েছিলাম। তাছাড়া মাঝেমধ্যে টুকটাক প্রয়োজন হলে ওর বাবাই যায়। আমি আর কষ্ট করে যাই না। এর আগে যখন গিয়েছিলাম তখন ছেলের ক্লাস দেখা হয়নি। এবার অবশ্য ক্লাসে গিয়েছিলাম। আমার বড় ছেলে ক্লাস চারতলায় । চারতলায় ওঠার পর এই করিডোর দিয়ে ক্লাসে যেতে হয়।
ক্লাসে যাওয়ার পর টিচার রেজাল্ট বিষয়ে বোর্ডে অ্যানাউন্সমেন্ট দিচ্ছে। ক্লাস রুমটা আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে। তাছাড়া রুমের ভিতরে এসির ও ব্যবস্থা আছে দেখলাম। বাচ্চারা গরমে কষ্ট পায় না।
উপরের জায়গাটা লিফটের সামনে জায়গা। নিচের যে সুন্দর সাজানো গোছানো রুমটা দেখতে পারছেন কেউ কি বলতে পারবেন এই রুমটা কিসের? আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এই সাজানোর আইডিয়াটা। বাইরে থেকে হঠাৎ করে দেখে বোঝারই উপায় নাই এটা কি।
নিচে বাচ্চাদের প্লে গ্রাউন্ড রয়েছে। ছোট বাচ্চারা এই প্লেগ্রাউন্ড এর ভিতরে খেলে। আর বড় বাচ্চাটা বাইরের এই খোলা জায়গাটায় খেলে। আমার ছেলের স্কুল ছুটি হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি স্কুল থেকে রওনা দেয়। ছুটির পর সে অনেক দৌড়াদৌড়ি করে খেলাধুলা করে এখানে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু দিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
ডেকোরেশন কিন্তু জোস!বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য পারফেক্ট একটা পরিবেশ।
ফটোগ্রাফিগুলাও সুন্দর ছিল আপু।দুই বাবুর জন্যই দোয়া রইলো,মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠুক।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বড় ভাগ্নে দেখা যায় আমার মত অনেকটাই, সবার সাথে মিশে যেতে পারে খুব তাড়াতড়ি😊🤗। ছোট বেলায় আমিও স্কুল বাসে যাতায়াত করতাম,, এক সাথে সবাই মিলে যাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে সত্যি। স্কুলের পরিবেশ তো দারুন এক কথায় 👌। ঢাকার অনেক স্কুলে তো খেলার মাঠ নেই বললেই চলে। সেখানে ভাগ্নের স্কুলে ছোট একটা মাঠ দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক আদর আর ভালোবাসা রইলো দুই ভাগ্নের জন্যই ❤️
এইজন্যই বাসা থেকে দূরে হওয়ার কারণে এই স্কুলে ভর্তি করানো। বেশ খোলামেলা এবং পরিবেশে অনেক ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
সত্যিই অসাধারণ একটা পরিবেশ। স্কুলের পরিবেশ তো এরকমই হওয়া উচিত। যেখানে বাচ্চারা মজা করবে আবার পড়াশোনাও করবে। স্কুলটা বেশ সাজানো গোছানো দেখে ভালো লাগলো। আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের স্কুলের পরিবেশ তো এমনই হওয়া উচিত। খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাও হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছেলের স্কুল অনেক সুন্দর। এত বড় ক্লাসরুম, প্লেগ্রাউন্ড, খেলার জন্য পার্কের মত করে জায়াগা সচরাচর দেখা যায় না। আপনি কষ্ট করে গিয়েছেন ভাল হয়েছে তা না হলে এত সুন্দর একটি স্কুল দেখতে পারতাম না। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্কুলটি আসলেই অনেক সুন্দর ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।