ক্যাবল কারে উঠার অনুভূতি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিম রাজ্য ভ্রমণের নতুন একটি পর্ব নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে সাঙ্গু লেকের সৌন্দর্য শেয়ার করেছিলাম। ছাঙ্গু লেকে ক্যাবল কারে ওঠার ব্যবস্থা ছিল। বাচ্চারা এবং বাচ্চার বাবা খুব এক্সাইটেড ছিল ক্যাবল কারে ওঠার জন্য। কিন্তু আমার একেবারে উঠার ইচ্ছা ছিল না। খুব ভয় লাগে আমার। বিশেষ করে খাড়া পাহাড়ে অনেকদূর পর্যন্ত উঠে যায়। অত উপর থেকে নিচের দিকে তাকালেই ভয় লাগে। কিন্তু তাদেরকে কিছুতেই ওঠা থেকে থামাতে পারলাম না। তাই মনে মনে ভাবলাম যে ওরা যেহেতু যাচ্ছে আমি একা নিচে থেকে কি করব। আমিও সাহস করে চলে গেলাম ওদের সঙ্গে ক্যাবল কারে ওঠার জন্য।
ক্যাবল কারে ওঠার জন্য একেকজনের ১৫০ রুপি করে টিকিট। ছোট জনের টিকিট কাটতে হয়েছিল না। আমরা যখন উঠতে গিয়েছি তখন লাঞ্চ ব্রেক ছিল। সেজন্য বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই ফাঁকে আমরা লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। কিছুটা এক্সাইটেড ছিলাম উপরে ওঠার জন্য। কারণ একেবারে মেঘের রাজ্যে চলে যেতে পারবো। দূর থেকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল দূরের যে পাহাড়ে নামিয়ে দেয় সেই পাহাড় একদম মেঘে ঢাকা ছিল। তাছাড়া উপর থেকে সম্পূর্ণ লেকটি দেখার সৌভাগ্য হবে।
যখন উপরে উঠছিল তখন এত ভয় লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। যত দোয়া ছিল সব পড়ছিলাম ভয়ে। তারপরও চারপাশ দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। নামার পরপরই লেকের দিকে তাকিয়ে মনটাই ভালো হয়ে গেল। এত ভালো লাগছিল উপর থেকে লেখটি দেখতে। তাছাড়া পাহাড়ের উপরে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের নাম না জানা ফুল দেখতে পেলাম।
আমার মনে হয় মেঘ দূর থেকে দেখতেই বেশি ভালো লাগে। মেঘের ভেতরে চলে আসলে অনেকটা কুয়াশার মতো লাগে। দূরে যে মেঘ দেখা যাচ্ছে আমরা সেই মেঘের ভিতর দিয়ে এই পাহাড়ে এসেছি।
গতদিন নিচের রাস্তাটা শেয়ার করেছিল। উপর থেকে এই রাস্তাটা আরো বেশি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। সব থেকে মজার বিষয় মাঝে মধ্যে রাস্তাটি একদম পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল এবং মাঝেমধ্যে মেঘের জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।
এই পাহাড়ে নামার পর আরেকটু উপরে ছোট্ট একটি মন্দির ছিল। সবাই সেখানে যাচ্ছিল পূজা করার জন্য। বেশ খাড়াই ছিল পাহাড়টি।
পাহাড়ের গায়ে এরকম ছোট ছোট লাল লাল ফুল দিয়ে ভর্তি ছিল। তাছাড়া সাদা বিভিন্ন রকমের ফুলও দেখা যাচ্ছিল।
পাহাড়ে নামিয়ে দেওয়ার পর ১৫/২০ মিনিট সময় দেয় চারপাশ দেখার জন্য। তারপর আবারো ক্যাবল কারে করে নিচে নামিয়ে দেয়। নিচে নামার সময় বেশি ভয় লেগেছে আমার কাছে। দূর থেকে দেখলে বোঝা যায় ক্যাবল কার কত জোরে চলছিল।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
এত উপরে উঠে যদি নিচে তাকানো যায় আর নিচের দূরত্ব দেখে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আমার কাছে ভয় পাওয়ার চেয়ে সৌন্দর্য টাই বেশি ভালো লেগেছে। যদিও বাস্তবে কেমন লাগতো জানিনা তবে আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
উঠার থেকে নামার সময় বেশি ভয় লেগেছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
আপনার তো এই ক্যাবল কারে উঠে ভয় লেগেছে আর আমার তো দেখেই ভয় লাগছে আপু! এই ধরনের ক্যাবল কারে যদিও আমার উঠার অভিজ্ঞতা কখনো হয় নি। এটা কিন্তু ঠিক কথা বলেছেন আপু, মেঘ দূর থেকে দেখতেই সুন্দর। মেঘের কাছে গেলে কুয়াশার মতো লাগে। এই ব্যাপারগুলো আমি দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে বুঝেছিলাম। যাইহোক, এখানে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ অসাধারণ লাগছে। ওভারঅল বলবো বেশ ভালো লাগলো আপনার এই ব্লগটি।
আমারও দেখেই ভয় লেগেছিলো। উঠতেই চেয়েছিলাম না। তারপরও বাধ্য হয়ে উঠতে হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্যাবল কারে উঠতে কিন্তু দারুণ লাগে আমার কাছে। কারণ অন্য রকম অনুভূতি হয় মনের মধ্যে এবং উপর থেকে সুন্দর সুন্দর ভিউ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি সাউথ কোরিয়াতে সরাক সান পাহাড় দেখতে গিয়ে ক্যাবল কারে উঠেছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, মেঘ দূর থেকে দেখলেই খুব ভালো লাগে। পাহাড়ের উপর ছোট ছোট লাল ফুল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শীতকালে এই লাল ফুলগুলো দিয়ে পাহাড় একদম ভর্তি থাকে। তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।