অনেকদিন পর বাবার বাসায় যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে এসেছি। বিশেষ করে বড় ছেলের স্কুলে ভর্তি করার পর থেকে চাইলেই হুটহাট আর আসা হয় না। কারণ ছেলের স্কুল খোলা থাকে, টিচার থাকে অনেক ঝামেলা। এজন্য অপেক্ষা করতে হয় যে কবে স্কুল বন্ধ হবে। ভেবেছিলাম ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে আসব। কিন্তু ছেলের সুন্নতে খাতনা দেয়ার ইচ্ছা ছিল তাই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কিছুদিন অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু সুন্নতে খাতনা আর দেয়া হলো না। তারপর আবার হঠাৎ করে স্কুল চেঞ্জ করতে গেলাম। সেখানে আবার ছেলের ভর্তি পরীক্ষা হল। সেজন্য আবারো পিছিয়ে গেল। তারপর আবার আমার দাঁতের অপারেশন করার কারণে আরো পিছিয়ে গেল। এদিক দিয়ে ছেলের স্কুলের ছুটি ও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ১ তারিখ থেকে স্কুল খুলবে। তাই ভাবলাম যে আর কোন দিকে কিছু চিন্তা না করে এখনই যেতে হবে তা না হলে আর যেতে পারব না।
আজকে যে ছবিগুলো শেয়ার করেছি সবগুলো ছবি পদ্মা সেতুর কাছ থেকে এবং উপর থেকে তুলেছি।


81599ABB-9E1B-447F-BEED-196FB318793B.jpeg


আমার বাসা থেকে সায়দাবাদ যেতে যত সময় লাগে তার থেকে আর কিছুক্ষণ বেশি সময় হলেই আমি ফরিদপুরে চলে আসতে পারি। রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকে জন্যই বাস স্ট্যান্ড পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়। আমার হাসবেন্ডের অফিস ছিল সেজন্য ভেবেছিলাম যে সকাল সকাল রওনা দিব। কিন্তু রাতে খেলা দেখে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল ঘুমাতে । সেজন্য সকালে আর কেউ তাড়াতাড়ি উঠতে পারিনি। তারপরও সাড়ে নয়টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম । পৌনে এগারোটার একটি বাস পেয়েছি। বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি সুবিধা আছে যে ১৫ মিনিট পরপর বাস থাকে। সেজন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। আমরা সাড়ে দশটার সময় পৌঁছে গিয়েছিলাম, কিন্তু সাড়ে দশটার গাড়িটা ভর্তি ছিল । সেজন্য আমরা পৌনে এগারোটার গাড়ির টিকিট কাটলাম।


70882C4D-229E-4289-97AE-5EAAD04F44CF.jpeg


১১ টার সময় গাড়ি ছেড়েছিল আমরা ঠিক ১টার সময় ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমেছিলাম। তাছাড়া বাসায় আসার পর দেখলাম যে ফরিদপুরে অনেক ঠান্ডা এবং আমি গাড়িতে আসার সময় বমির ওষুধ খেয়েছিলাম জন্য সারাটা দিন কেমন ঘুম ঘুম কেটেছে। একটু আগে ঘুমটা ভাঙলো তাই ভাবলাম পোস্টটি রেডি করে ফেলি। আজকে সারাদিনই কোন কাজই করতে পারিনি। বিকেল বেলায় চেয়েছিলাম যে কিছু কাজ করবো কিন্তু সার্ভার এর প্রবলেম এর কারণে তাও করতে পারিনি। যাই হোক এখন অবশেষে পোস্ট রেডি করতে পারলাম। কিন্তু তারপরও প্রচন্ড রকম ঘুম পাচ্ছে।


90D98BCD-455E-41B5-AF67-6F9B0123F658.jpeg


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

বাচ্চাদের যদি স্কুল থেকে ছুটি পাওয়া যায়, তখন কিছুটা স্বস্তি বোধ করা যায়।আর তখন মন মত বেড়ানো যায়। যাক অনেকদিন পর আপনার বাবার বাড়ি যাচ্ছেন, আশা করছি ভালোভাবে সময়টি অতিবাহিত করবেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

এই কথা আর বইলেন না বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হলে কি যে শান্তি লাগে। ছোটবেলায় নিজেদের যেমন শান্তি লাগতো। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুগঠিত একটি ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।

 2 years ago (edited)

বাচ্চারা বড় হলে স্কুলে দেওয়ার পর কোথাও ঘুরতে যাওয়া একটু মুশকিল হয়ে যায়। স্কুল টিউশন এসব নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করতে হয়।এখন মোটামুটি সবার পরীক্ষা শেষ তাই এই সময় টাতে ঘুরতে যাওয়ার উত্তম সময় আবার স্কুল শুরু হয়ে গেলে আর ঘোরাঘুরি সম্ভব হবে না। আপু অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময় গুলোতে অন্য রকমের একটা অনুভূতি হয় আপনিও খুব আনন্দের সহিত বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন এবং ঠিকঠাক মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের দিনগুলো খুব আনন্দে কাটুক এই প্রার্থনা করি।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের স্কুল শুরু হয়ে গেলে কোথাও যেতে গেলে খুবই ঝামেলায় পরতে হয়। এজন্যই তো অপেক্ষায় থাকতে হয় যে বাচ্চাদের কবে স্কুল ছুটি হবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপু ঠিক বলেছেন বাচ্চাদেরকে স্কুলে ভর্তি করালে তখন আর বাবার বাড়িতে বেশি বেড়ানো হয় না। বাচ্চাদের স্কুল চেঞ্জ করা আরেকটা ঝামেলার ব্যাপার।যাইহোক আপনি সব ঝামেলা শেষ করে আপনার বাবার বাড়িতে গিয়েছেন যেন খুব ভালো লাগছে। আসলে ব্যস্ততার ভিতরেও সময় বের করে নিতে হয় তা না হলে আর বেড়ানো হয় না। আপনার বাবার বাড়িতে আপনার দিন গুলো ভালো কাটুক এই কামনা করি।

 2 years ago 

এজন্যই তো আপু সব ব্যস্ততা দূরে রেখে চলে এসেছি। না হলে স্কুল খুলে যেত। আবার স্কুল বন্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

বর্তমানে ঢাকা থেকে ফরিদপুর যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। তাছাড়া বর্তমানে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা শেষ হলেই বাবার বাসায় যেতে হবে এটা প্রায় সব গৃহিণীদের একটা অলিখিত আইন বলা চলে, হিহিহি। আমিও মাঝেমধ্যে আগে এরকম করেছিলাম, তবে এখন ছেলেরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।

 2 years ago 

একদম আপু মাত্র দুই ঘন্টায় চলে আসা যায়। খুবই কম সময় লাগে। তারপরও সময় করে উঠতে পারি না বাচ্চাদের জন্য। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপু জীবন মানেই তো একটা ব্যস্ততার এক বিশাল ময়দান ৷ প্রতিটি সময়ে ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কেটে যায় ৷ তবুও দিনশেষে তো একটু বিনোদন দরকার ৷ খুব ভালো করেছেন যে আপনারা কয়েক দিনের জন্য আপনার বাবার বাড়ি ঘুরে আসুন ৷ আর ১ তারিখ থেকে তো আবার বাচ্চাদের. নতুন ক্লাস নতুন বই৷ সব মিলে ভালোই লাগলো যে আপনি যাওয়ার সময় চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন৷ আবার ভালো ভাবে ফিরে আসুন এমনটাই প্রতার্শা ৷

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ১ তারিখ থেকে নতুন স্কুল, নতুন বই খাতা। সব মিলিয়ে ওই দিনটা মিস দিতে চাচ্ছি না। তাই তো আগে থেকে চলে আসলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপু আপনি তাহলে কয়েকদিন বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই ছিলেন। আপনার ছেলের স্কুল পরিবর্তন করার কারণে হয়তো ঝামেলায় ছিলেন। আর আপনার দাঁতে যেহেতু অপারেশন করা হয়েছে তাই আশা করছি এখন অনেকটা ভালো আছেন। যাক অবশেষে সব কিছুই পেছনে ফেলে বাবার বাসায় গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। আসলে সময় করে না গেলে ব্যস্ততা পিছু ছাড়ে না। হুটহাট করে চলে যাওয়াই ভালো হয়।

 2 years ago 

দাঁতের ব্যথা এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। মাঝেমধ্যেই ব্যথা হয়। ঠিক বলেছেন আপু সব ব্যস্ততা ঝেড়ে ফেলে চলে এসেছি তা না হলে আর আসাই হতো না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

অনেক পিচ পিচ করে অবশেষে আপনার বাবার বাড়িতে যাওয়া হলো। সত্যি বলতে এরকম আমরা সবসময় বিভিন্ন ব্যস্ত থাকার কারণে যাওয়া হয় না। আপনার ছেলের পরীক্ষার পরে ভেবেছিলেন আসবেন তাও হলো না ভর্তির পরে হলো না আপনার দাঁতের অপারেশন করার পরেও এরকম ব্যস্ততার মাঝে আর আসতে পারেননি অবশেষে এসেছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। আশা করি এখন ভাল আছেন আপনার দাঁতের অপারেশন হয়েছে। সত্যি খুবই ভালো ছিল আপনার পোস্ট। বাবার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার অন্যরকম একটা আনন্দ রয়েছে সকল মেয়েদের।

 2 years ago 

ছেলের পরীক্ষার থেকে এই দাঁতের অপারেশনের জন্য বেশি কষ্ট হয়েছে। দুই-তিনবার করে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে এজন্য আসা হয়নি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 
ডিসেম্বর মাসের এই লম্বা ছুটির জন্য অনেক বাবা মা অপেক্ষা করে কারণ এত বড় ছুটি আর কোন মাসে পাওয়া যায় না। আপনি বাবার বাড়ি যাওয়ার ডিসিশন নিয়ে ভাল করেছেন । বাচ্চার নতুন স্কুল নিয়ে হয়ত সামনের বছর ব্যস্ত থাকতে হবে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর ফরিদপুর গোপালগঞ্জ বরিশাল এই জায়গাগুলোতে যেতে বেশি সময় লাগে না এখন। ২ ঘণ্টায় চলে গিয়েছেন মানে অনেক কম সময় লেগেছে যেতে। ধন্যবাদ আপু ।
 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ছুটির জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকে। কোথায় দিয়ে সময় চলে যায় বোঝা যায় না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে অনেক বাবা মাই আছে যারা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার কারণে হয়তো বাবা-মার বাড়িতে তেমন একটা যেতে পারে না। বাবা মার বাড়িতে যাওয়ার এই একটি উপযুক্ত সময় সেটা হচ্ছে ডিসেম্বর মাস। ডিসেম্বর মাসে প্রায় সকলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় আপনার ছেলের পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে সেজন্য আপনি বাবার বাড়িতে রওনা করেছেন ব্যাপারটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেকদিন পরে বাবার বাড়িতে যাচ্ছেন অবশ্যই ভালো সময় অতিবাহিত করবেন বলে আশা রাখি।

 2 years ago 

ডিসেম্বর মাসে বেড়াতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হলেও শীতের জন্য কোথাও গিয়ে আরাম পাওয়া যায় না। ঢাকাতে যদিও শীত অনেক কম কিন্তু থাকার বাইরে প্রচণ্ড রকম ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58400.82
ETH 2567.08
USDT 1.00
SBD 2.38