বৃক্ষ মেলায় ঘুরাঘুরি শেষ পর্ব
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গতদিন আপনাদের সঙ্গে বৃক্ষ মেলায় ঘোরাঘুরি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো বৃক্ষ মেলায় ঘোরাঘুরির নতুন একটি পর্ব শেয়ার করবো। সেদিন ঢোকার পরে এত লোকজন দেখে বুঝতে পারছিলাম না যে কি করবো। তার উপরে গরমে অস্থির লাগছিল। ভাবছিলাম যে কোন দিকে একটু মানুষের ভিড় কম সে দিক থেকে শুরু করব। কিন্তু কোন দিকে ফাঁকা পাচ্ছিলাম না। তারপর একপাশ থেকে গাছ দেখা শুরু করলাম। কিন্তু আমার কাছে দেখে মনে হলো যে এবারে গাছের পরিমাণ বা ধরন অনেক কম। গতবারে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখা গিয়েছিল। হয়তো শেষের দিকে তার জন্য এরকম হতে পারে। সবাই ভেবেছিল শেষের দিনে গাছের দাম কম পাবে। এজন্যই হয়তো এত ভিড়। কিন্তু আমার কাছে মনে হল শেষের দিন তার জন্য গাছগুলোর দাম খুব একটা কম হয়নি। সবগুলো গাছের দামই অনেক বেশি চাচ্ছিল। ভাবলাম যে আগে একবার ঘুরে দেখি পরে গাছ কিনবো। কারণ শুরুতে গাছ কিনলে সেগুলো নিয়ে ঘুরা খুবই মুশকিল হয়ে যায়। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন লোক রয়েছে। তারা গাছগুলো মাথায় করে নিয়ে ঘুরতে থাকে। তা দেখতেও নিজের কাছে খারাপ লাগে। টাকার জন্য মানুষ কত কষ্ট করে। এজন্যই আর শুরুতে গাছ কেনা হয়নি।
কিছু কিছু দোকানে ডেকোরেশন খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। সেইসব দোকানগুলো দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আবার কিছু কিছু দোকানে এত ধরনের ফলের গাছ রয়েছে যে সব ফলের গাছ কিনে নিয়ে যেতে মন চায়। এমনভাবে ফল ধরে আছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের আম গাছে এখানে রয়েছে। কাউকে বড় বড় আমগাছ খুব একটা কিনতে দেখলাম না। বড় বড় ড্রামে এই আমগুলো রয়েছে। আমাদের ভাড়া বাসায় এত বড় ড্রামসহ গাছ কিনে নেওয়া সম্ভব নয়। আর এই গাছগুলো বাসায় নিলে এরকম আম ধরবে বলে মনে হয় না।
বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে বৃক্ষ মেলায় যাওয়া উচিত। দু একটি গাছ বাচ্চাদেরকে দেখাচ্ছিলাম। কিন্তু গরমের কারণে তারা খুব একটা আগ্রহ পাচ্ছিল না। তাছাড়া গরমে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কি পরিমাণ গরম তা বলে বোঝাতে পারবো না। তাই আমরা খুব একটা দেরি করিনি। এক পাশ দিয়ে ঢুকে কোনরকম গাছ গুলো দেখে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আর ভাবছিলাম যে শেষে কিছু ফুল গাছ কিনে নিয়ে যাব।
ঘুরতে ঘুরতে অনেক দূর চলে আসার পর আর ভালো লাগছিল না। শেষে খুব দ্রুত করে বের হয়ে চলে এসেছি। গাছ আর কেনা হয়নি আর। গাছ কিনব কি ঠিকমতো দেখতেই পারিনি মানুষের ভিড়ে। কিছু কিছু মানুষজন অনেক গাছ কিনছে। আবার কিছু কিছু লোকজন এমনিতেই ঘুরছে।
শেষে আর কোন গাছ আমাদের কেনা হয়নি। উপরের এই স্ট্যান্ডগুলো কিনেছিলাম মানিপ্লান গাছে লাগানোর জন্য। এগুলো লাগিয়ে মানিপ্লান্ট গাছ এর সঙ্গে মুড়িয়ে দিলে খুব সুন্দর লাগে দেখতে।
বৃক্ষ মেলার পাশে আমার চাচা শ্বশুরের বাসা। ওখান থেকে বের হয়ে ওনাদের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। এত দূর এসেছি ওনাদের সঙ্গে দেখা করে যাই। ওনাদের বাসা পাশেই সেজন্য রিক্সায় করে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম রিক্সায় যেতে হয়তো কিছুটা ভালো লাগবে। কিন্তু গরমের কারণে তাও ভালো লাগছিল না।
পরে ওই বাসায় থেকে রাতের বেলায় খাওয়াদাওয়া করে বাসায় চলে এসেছিলাম। এই ছিল আমার ঘোরাঘুরি। গাছ কিনতে পারিনি এজন্য মন খুব খারাপ হয়েছিল।
যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 15 pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
গাছ কিনতে পারেননি আপু তাতে কি হয়েছে, ঘুরে তো দেখেছেন পুরো বৃক্ষ মেলা। আসলে বৃক্ষ মেলার ভিতরে যদি প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় থাকে তাহলে আসলে ঘুরে মজা নেই। আর আমি নিজেও কখনো বৃক্ষ মেলায় গিয়ে গাছ কিনি না। কারণ এখানে সবকিছুর দাম অনেক বেশি থাকে। আর অধিকাংশ গাছপালা যেগুলো থাকে, সেগুলো বাড়ি আনা হলে মরে যায় কিংবা ফল ধরে না। তারপরও ঘোরাঘুরি করেছেন বাচ্চা-কাচ্চাদের নিয়ে, এটাই হলো আনন্দের ব্যাপার।
ভাইয়া গরমের কারণে খুব ভালোভাবে দেখতেও পারিনি। তাড়াহুড়া করে বের হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু বৃক্ষ মেলায় গেলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বৃক্ষ মেলায় গেলে যে কোন গাছ দেখলে বাড়িতে নিয়ে আসতে বেশ ইচ্ছে হয়। আপনি বৃক্ষ মেলায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মেলার পুরো অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেছেন বেশ ভালো হলো। বৃক্ষ মেলায় কাটানো অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গেলে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখা যায়। এজন্য ভালোই লাগে সেখানে গেলে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গত মাসে আমিও একদিন বৃক্ষ মেলায় গিয়েছিলা। গাছের দাম শুনে খালি হাতেই চলে এসেছি। আপনি যেখানে গেলেন সেই মেলাটা খুবই সুন্দর ভাবেই সাজিয়েছে। দেখেই অনেক ভালো লাগছে। আমি যেখানে গেছিলাম,সেখানে এতো গুছানো ছিল না। ধন্যবাদ।
বৃক্ষ মেলায় গাছের দাম গুলো কেন যেন আরো বেশি হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বৃক্ষ মেলায় গেলে লোকজনের ভিড়ের জন্য ভালো করে গাছগুলো দেখাই হয় না । মানুষ কিনুক আর না কেন বৃক্ষ মেলায় অনেক বেশি পরিমাণে ঘোরাঘুরি করে । শেষের দিন যাওয়ার কারণে হয়তোবা গাছের পরিমাণ কম ছিল কিন্তু দাম ওরা কখনোই কম রাখে না । আপনি মানিপ্লান্ট গাছ লাগানোর জন্য এটা কিনেছেন ভালোই করেছেন আমরা ফরিদপুরে এগুলো দেখেছিলাম কিন্তু ওখান থেকে কি আর কিনে আনা যায় ভাবছি আমিও পেলে একটা কিনব ।
শেষেরদিন হওয়ার কারণে অনেক বেশি ভিড় ছিল। গাছগুলো ভালোমতো দেখতেই পারিনি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে গরমের ভেতর কোথাও যেয়ে শান্তি পাওয়া যায় না ।আমরাও যেদিন বৃক্ষ মেলায় গিয়েছিলাম সেদিনও প্রচন্ড গরম ছিল ঘেমে একদম একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। আপনিও দেখছি সেই গরমের মধ্যেই পড়েছেন। যাইহোক গাছগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আবার পাশেই চাচা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন বেশ ভালোই করেছেন এক কাজে দুই কাজ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু গরমের মধ্যে কোথাও গেলে আরাম পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।