আবার আজকে হাজির হয়ে গেলাম শুক্রবারের ঘোরাঘুরি নিয়ে। শুক্রবার সবার মনে হয় আনন্দের দিন। কারণ পুরো সপ্তাহ কাজ করে এই একদিন সবাই ছুটি পায়। আমার হাসবেন্ড ও বাচ্চার যদিও দুইদিন ছুটি। তারপরও শুক্রবারটা একটু অন্যরকম সবার কাছেই। আর ছুটির দিন মানেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেতেই হবে। ঘুরতে বের না হলে আমার মেজাজ আসমানে উঠে থাকে।
আজ কোথায় ঘুরতে যাবো ভাবতে ভাবতেই মনে হল পূর্বাচলের কথা। অনেক দিন পূর্বাচলের ওই দিকটায় যাওয়া হয় না। তাছাড়া আজ কারো বাসায় যেতেও মন চাচ্ছিলো না। তাই ঠিক করলাম পূর্বাচলেই যাই। ৩০০ফিটের এই রাস্তা দিয়ে যেতে খুব ভালো লাগে। এত সুন্দর রাস্তা। সম্পূর্ণ রাস্তা যদিও ঠিক হয়নি। রাস্তার কাজ চলছে। ৩০০ফিট দিয়ে অনেক দূর যাওয়ার পর বায়ে যেতে হয়। রাস্তার অনেক পরিবর্তন এর কারণে আমরা ভুল করে অনেক সামনে চলে যাই। পরে ভাবলাম না আজ আর পূর্বাচলের যাওয়া হবেনা । পরে একটা দোকানে জিজ্ঞাসা করলে সে দোকানদার বলল যে এই দিক দিয়ে যাওয়া যায়। সামনে দিয়ে ঘুরে যেতে হবে। পরে আমরা অন্য সাইড দিয়ে ঘুরে অবশেষে পূর্বাচলে পৌছাতে পারলাম । কিন্তু সেখানে গিয়ে খুবই অবাক হয়েছি। আগে সুন্দর সুন্দর কুঁড়েঘর টাইপের অনেক রেস্টুরেন্ট ছিল। কিন্তু এবার গিয়ে দেখলাম যে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অল্প কিছু রেস্টুরেন্ট খোলা আছে। তাও নদীর আশেপাশে দিয়ে। মেইন জায়গার রেস্টুরেন্ট গুলো কেন যেন সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
উপরে যে ছবিটি দেখছেন এই রাস্তা দিয়ে আমরা পূর্বাচলে এসেছি এবং আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবিটি তুলেছি সেই জায়গায় একটি ব্রিজ আছে। ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে নদীর ছবিগুলো তুলেছি। অসাধারণ সুন্দর পরিবেশ ছিল। আকাশে এত সুন্দর রং হয়েছিল যে দেখার মত।
এই জায়গাটি পূর্বাচলের গোলচত্বর। যার চারপাশ দিয়ে অনেক রেস্টুরেন্ট ছিল। সবগুলো রেস্টুরেন্ট প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা এখানে এসে একটি ভাসমান দোকান পেলাম। যেখানে ফুচকা বিক্রি করছিল। বাচ্চারা ফুচকা খেতে চাইলো। ওদের জন্য ফুচকা অর্ডার করলাম। রাস্তার সাইডে হলে কি হবে খেতে খুবই মজাদার ছিল।
নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় আমার হাসবেন্ড ওখানের এক মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ল। তখন আমরা গাড়িতেই বসা ছিলাম । হঠাৎ করে আকাশে তাকিয়ে দেখি রংধনু উঠেছে। আকাশে অনেক দিন পর এরকম পূর্ণ রংধনু দেখলাম । এবার রংধনুটা অনেক কালার বোঝা যাচ্ছিল। সাথে সাথেই কিছু ছবি তুলে ফেললাম।
এই ছিল আজকের আয়োজন । আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
পূর্বাচলে ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আপনার ছবিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি ঘুরতে গিয়ে অনেক মজা করেছেন। আসলে শহরে রাস্তা গুলো অনেক সুন্দর হয় ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই দিকের রাস্তা গুলো আসলেই খুব চমৎকার। খুব ভালো লাগে। এত সবুজ প্রকৃতি চারপাশে দেখতেই ভালো লাগে।
অসাধারণ হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো পূর্বাচলে ঘুরতে গিয়ে খুব ভালো একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। ৩০০ ফিট রাস্তায় আমি অনেক কয়বার যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টে এসে ৩০০ ফিট রাস্তা সম্বন্ধে বেশ কিছু ধারনা হয়ে গেল। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সময় সুযোগ হলে অবশ্যই এই রাস্তায় একবার গিয়ে ঘুরে আসবেন । অসাধারণ লাগে গাড়িতে করে গেলে। এত চমৎকার রাস্তা। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আমিও অনেকের কাছে শুনেছি ৩০০ ফিট রাস্তা জায়গাটা নাকি খুব চমৎকার।
ঠিকই বলেছেন যারা চাকরি করে আর বাচ্চার স্কুল থাকলে শুক্রবার তাদের জন্য খুবই স্পেশাল বাইরে ঘোরাঘুরি করা এবং মজার মজার খাবার খাওয়ার দিন। আপনি পূর্বাচলে ৩০০ ফিটে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ওই রাস্তাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমি একবার গিয়েছিলাম। আবার দেখি রংধনু পেয়ে গিয়েছেন আকাশে। এখনকার আকাশ দেখলে শুধু মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে এত সুন্দর আকাশ আমি আগে কখনো দেখিনি খুব ভালো লাগলো প্রত্যেকটা ছবি ও আপনার ঘোরাঘুরি।
আমার তো শুক্রবার আসলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেতে হবে। তা না হলে একদমই ভালো লাগে না। সেদিন যাওয়ার জায়গা পাচ্ছিলাম না দেখে পূর্বাচলে গিয়েছিলাম । গিয়ে আসলে ভালোই হয়েছিল। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।
আপনি খুবই সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যিই আপনার ভ্রমণ কাহিনী এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই সুন্দর জায়গায় গিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল ভাইয়া। এজন্যই মাঝে মাঝে যাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু এতদিন এটি ভালোই বুঝতে পেরেছি যে আপনি ঘোরাঘুরি খুবই পছন্দ করেন। এটা সকলের উচিত মাঝে মাঝে ঘর থেকে বের হওয়া একটু ঘোরাঘুরি করা। কারণ চার দেওয়ালের মাঝে একটা সময় বোর অনুভব হয়। যাইহোক পূর্বাচল টি দেখতে বেশ সুন্দর ছিল। গ্রামীন পরিবেশের যেকোনো দৃশ্য আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এবং সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু ।সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। এজন্যই তো যখনই ছুটির দিন আসে ঘুরতে আমাকে যেতেই হয় । ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে তেমন একটা কোথাও যাওয়া হয়না। যাইহোক পূর্বাঞ্চলের রাস্তার কাজ চলছে তাই হয়তো রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ। আর তাছাড়া পূর্বাঞ্চল অনেক মেয়েদেরই এলাকার লোকজন কম তাই তাদের বিক্রিও মনে হয় ভাল হচ্ছেনা। নিজ থেকেই বললাম এটি।
রংধনুর ফটোগ্রাফ একটু বেশি সুন্দর হয়েছে। আর ফুচকা দেখে খাওয়ার ইচ্ছে হলো।
কি জন্য যে দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে জানিনা আপু। আমারও খুবই ভাল লেগেছিল অনেকদিন পরে এরকম রংধনু দেখলাম । ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব অসাধারণ লাগতেছে আমার কাছে। প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো সত্যি অসাধারণ।পূর্বাচলে আমি কখনো যাইনি। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে যাওয়ার খুব ইচ্ছা লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
কখনো সুযোগ হলে আপু পূর্বাচলের ঐদিক থেকে ঘুরে আসবেন। খুব ভালো লাগে । গ্রামীণ একটি পরিবেশ পাওয়া যায়। আর এখন বর্ষাকাল হওয়ার কারণে আরো বেশি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। প্রাকৃতিক দৃশ্যের অনেক সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন।
আমি ত ভাবছি রংধনু সহজে চোখেই পড়েনা। আর সেইটা দেখে আবার ক্যামেরা বন্দি করেছেন চমৎকার একটা ব্যাপার ছিল। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই ভাইয়া রংধনু এখন তো চোখেই পড়েনা । আর শহরের উচু উচু বিল্ডিং এর কারণে আরো বেশি দেখা যায় না। অনেকদিন পর এরকম পূর্ণ রংধনু দেখলাম। খুব ভালো লেগেছিল। তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
আপনাদের পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের রাস্তাটি খুবই সুন্দর আপু সেইসাথে আপনার এখানে আকাশটাও খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে । অনেকদিন পর আপু রংধনু দেখতে পেলাম খুবই সুন্দর লাগলো রংধনু দেখে ।
সেদিনের আকাশটা আসলেই অসাধারণ সুন্দর হয়েছিল মুগ্ধ হয়ে দেখার মত ছিল। সেজন্যই ছবিগুলো তুলেছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।