সকালের নাস্তা খেতে বাইরে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতিদিন সকালে বাসায় নাস্তা করতে করতে আমার বড় ছেলে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে সে এখন বাইরে নাস্তা করবে। বাসার নাস্তা একই রকমের হয় প্রায় দিনই। এজন্য একটু ভিন্নতা আনার জন্য আমার হাজবেন্ডও চাচ্ছিলো বাইরে একদিন নাস্তা করবে। আমার কাজের খালা সকাল বেলায় এসে নাস্তা বানায়। তারপর সব কাজ করে দিয়ে চলে যায়। অন্য বাসায় কাজ থাকে। সকালে বাইরের নাস্তা করতে গেলে কাজের খালার টাইম এর ওলট-পালট হয়ে যায়। কারণ যে সময় আমার বাসায় কাজ করে সেই সময় আমার নাস্তা খেতে চলে যায়। এজন্য সকালবেলা তাকে আর পাওয়া যায় না। তাই আমি বাইরে নাস্তা করতে খুব একটা যেতে চাই না। কাজের খালা না আসলে যে কি ঝামেলায় পরতে হয় তা শুধু মেয়েরাই বোঝে। ছেলেরাতো এই জিনিসটা বুঝতেই চায় না। আমি বাইরে নাস্তা করতে যেতে রাজি হয়নি জন্য ছেলে, ছেলের বাবা দুজনে রাগ হয়েছে। পরে কাজের খালাকে বললাম যে দুপুরের দিকে আসতে সকালে যেন না আসে। আমরা সকালে বাইরে নাস্তা করবো আসতে দেরি হবে।
পূর্বাচলের ওইদিকে গিয়ে নাস্তা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেদিন সকাল বেলায় আমার এক কাজিন বলল যে সে এভার কেয়ারে এসেছে একটি ওষুধ আমার ফ্রিজে রাখবে এবং দুই ঘন্টা পর নিয়ে যাবে। সেজন্য আর দূরে যাওয়া হলো না। বাসার পাশের রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে চলে গেলাম।
এর আগে একদিন এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেদিন তেমন খাবার না পাওয়ার জন্য খাওয়া হয়েছিল না। ছাদের উপরে রেস্টুরেন্টটি। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। উপরের ডেকোরেশন চমৎকার ভাবে করেছে এবং পাশে অনেকগুলো ফুলের গাছ লাগানো।
আমরা গিয়ে পরোটা, মুগডাল দিয়ে মুরগির মাংস, সবজি এবং সুজি নিলাম। খাওয়া শেষে তিনজনে চা খেলাম। এই রেস্টুরেন্টের চা অসম্ভব মজা হয়।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
কিছু টা সুস্থ হয়ে যে আবার আগের মত নরমাল লাইফে ব্যাক করছেন আপু, এটা দেখেই ভালো লাগছে। তবে অন্য যেকোন সময় বাইরে খেতে যেতে আমি রাজি কিন্তু সকাল বেলা একদম পারবো না। আর সকালে এমন পরোটা খেলে গ্যাস্ট্রিক এ আমি শেষ হয়ে যাই। একটু গরম ভাত লবণ তেল দিয়ে খেলেও আমার তৃপ্তি। অন্য সময় হলে ঠিকই নজর দিতাম খাবারে, কিন্তু আজ একদম লক্ষ্মী ছেলের মতো পাশ কাটিয়ে গেলাম। হিহিহিহি। তবে বাবা ছেলের আবদার যে রক্ষা হয়েছে এটাও বেশ চমৎকার ছিল 😊👌।
তাহলে তো এই পরোটার ছবি বেশি করে শেয়ার করতে হবে। তাহলে আপনার লোভনীয় চোখ থেকে বেঁচে যাব। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু কাজের খালা না আসলে আমাদের যে অসুবিধা হয় সেটা পুরুষ মানুষ কিভাবে বুঝবে কাজগুলো তো আমাদেরই সারতে হয় । তারপরও মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খেতে মন চায় ।ভালোই করেছেন সবাই মিলে নাস্তা করতে চলে গিয়েছেন । তিন কাপ চা কে খেল ছেলেটা কি চা খাওয়া শিখে গিয়েছে নাকি ?
বড় ছেলে মাঝেমধ্যেই চা খায়। বাইরে গেলে তো আরো বেশি চা খেতে চায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ঠিক বলেছেন কাজের খালা না এলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।ছেলেরা তা বোঝে না।আপনারা বাইরে নাস্তা করলেন।রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন চমৎকার লাগলো।চা দেখেই মনটা ভরে গেলো।আবার বললেন চা খুব মজার। 🥰আমি চা পাগল মানুষ। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর ভাবে অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেস্টুরেন্টের চারপাশ খোলা জন্য আরো বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া ডেকোরেশন আসলেই বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
সব সময় কিন্তু বাসার তৈরি করা নাস্তা খেতে আবার বোরিং লাগে। মাঝে মাঝে এভাবে বাহিরে গিয়ে নাস্তা করার মধ্যেও অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। তিনজনে মিলে বেশ মজা করে বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন বুঝতেই পারছি। আপনাদের মুহূর্তটা নিশ্চয়ই খুব ভালো কেটেছিল। আপনারা পরোটা, মুগ ডাল দিয়ে মুরগির মাংস সবজি এবং সুজি খেয়েছিলেন সেই সাথে চা ও ছিল। খাবারগুলোর মান খুবই ভালো ছিল যা দেখে বুঝতে পারছি। আর রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ টাও খুবই সুন্দর।
ঠিক বলেছেন আপু সবসময় বাসার নাস্তা খেতে ভালো লাগে না। এজন্যই মাঝে মধ্যে বাইরে গিয়ে নাস্তা করি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাজের খালাকে সকালে আসতে না বলে দুপুর বেলায় আসতে বলে ভালোই করেছেন আপু। যেহেতু আপনারা বাহিরে খাওয়া দাওয়া করবেন তাই তিনি দুপুরবেলায় আসাটাই বেটার। আপনার ছেলে এবং আপনার হাজব্যান্ড তাহলে রাগ করেছিল আপনার উপরে। যেহেতু ওনারা দুইজনেই রাগ করেছিলেন তাই আপনি রাজি হয়ে গিয়েছিলেন এটাই ভালো। তারপরে দেখছি অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছিল রেস্টুরেন্টে গিয়ে। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এরকম পরিবেশে খেতেও ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এজন্যই তো দেরি করে আসতে বলেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।