গল্প - "নীতির জীবন" পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম "নীতির জীবন" গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। আজকের গল্পটিও একজনের বাস্তব জীবন থেকে নেয়া। আসলে বানিয়ে গল্প লেখা থেকে বাস্তব জীবনের গল্প গুলো লিখতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। কারণ বানানো গল্পতে অনেক কিছু অবাস্তব থাকে। কিন্তু সত্যিকারের জীবন কাহিনী থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। যাই হোক গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো বিয়ের আগের রাতে নীতিকে হঠাৎ পাওয়া যাচ্ছিলো না। আজ দেখা যাক নীতির কি হয়েছিলো।
নীতির জীবন
পাশের বাড়ির একটি মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে নীতিদের বাড়িতে আসে। নীতির বোনকে জানায় যে নীতি দ্রুত পায়ে কোথায় যেন হেঁটে চলে যাচ্ছে। সেই মেয়েটি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে কাল না ওর বিয়ে? এখন কোথায় গেল? এ কথা শোনার পর নীতির বোনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তার বোন দৌড়ে মসজিদে যায়। সেখানে সবাই ছিলো। তাদেরকে জানায়। বাড়ির ছেলেরা নামাজ থেকে তাড়াতাড়ি এসে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায় নীতিকে খোঁজার জন্য।
ততক্ষনে নীতি লাপাত্তা। এদিকে নীতির মা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছে এরকম অবস্থা দেখে। বাড়ির মহিলারা তার মাকে সামলাতে ব্যস্ত। নীতির বাবার বয়স হয়েছে সেও একেবারে ভেঙে পড়েছে। নীতির ভাই এবং চাচাতো ভাইয়েরা সবাই নীতিকে খোঁজার জন্য আশেপাশের সবদিকে ছড়িয়ে পরে। একেতো গ্রামের বাড়ি তার উপরে রাতের অন্ধকার। চাইলেও কি আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাছাড়া সব থেকে যে বড় সমস্যা তা হলো নীতির পরিবারের লোকজন জানেই না যে কার সঙ্গে যেতে পারে। নীতি কি আদৌ কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল? নাকি এমনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলো?কোথায় খুঁজবে তাকে? তারপরও তারা আশেপাশে খুঁজতে থাকে।
সে খোঁজ করতে করতে রাত গভীর হয়ে যায়। নীতির বান্ধবীদের কাছে খোঁজ করে। কেউ কিছু বলতে চায় না। অনেক জোরাজুরিতে নীতির এক বান্ধবীর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে নীতির একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। তার সঙ্গেই পালিয়ে গিয়েছে। বাড়ির লোকজন আকাশ থেকে পরে। কেউ কখনো এমন কিছু দেখে নি। কেউ টের ও পায় নি। কি নিখুঁতভাবে প্রেম করে গিয়েছে সে।
এখন ছেলেটি কে এবং ছেলেটির বাড়ি কোথায় তা খুঁজে বের করার পালা। নীতির ভাইয়েরা হন্যে হয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকে। নীতির বান্ধবীরা কেউ জানে না ছেলের বাড়ি কোথায়। ফোন নম্বর দেয় কিন্তু তা বন্ধ পায়। নীতির ফোন ও বন্ধ। অনেক খোঁজাখুঁজি পর ছেলের এক বন্ধুকে হাতে পায় তারা। ছেলের বন্ধু প্রথমে কিছুতেই স্বীকার চায় না। পরে নীতির ভাই ছেলেটিকে মাইর দিলে সে সবকিছু স্বীকার করে। কিন্তু ছেলে নীতিকে নিয়ে কোথায় গিয়েছে তারা তা জানে না। অনেক মাইর দেয়ার পরও যখন কিছুই স্বীকার করে না তখন তারা ছেলের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে চলে আসে।
আজ এ পর্যন্তই। নীতিকে কি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল কিনা তা জানতে হলে পরবর্তী পর্ব পড়তে হবে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার এই গল্পের পরের পর্ব নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আমাদের আশেপাশের কিংবা নিজের বাস্তব জীবনে যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো থেকে অনেক সুন্দর গল্প লেখা যায় আপু।আমি যেটা মাঝে মধ্যেই করে থাকি। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। নীতিকে খুঁজে পাওয়ার পর কি হতে চলেছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আমি এজন্য সব সময় সত্যিকারের জীবন কাহিনী নিয়ে গল্প লিখি। এগুলো পড়তে ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
যেহেতু নীতি বাড়ি থেকে পালিয়েছে তাই তাদের পরিবারের উপরে অনেক বড় একটা প্রভাব পড়েছে। তাকে খোঁজার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছে সেই সাথে নীতির বান্ধবীদের কাছেও খোঁজ লাগাচ্ছে কিন্তু তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে যে ছেলেটির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল সে সম্পর্কে জানার জন্য তার বন্ধুর কাছে থেকে কিছু তথ্য জানতে পারে যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার গল্পটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই গল্পের মোড় তো দেখছি অন্যদিকে ঘুরে গিয়েছে। নীতির আসলে অন্য একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল এটা কেউই জানতো না। অনেক চেষ্টার পর নীতির বান্ধবীর থেকে জানতে পেরেছিল তার একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আসলে মেয়ের এরকম অবস্থা দেখে বাবা মায়ের এরকম অবস্থা হওয়ার কথা। ছেলেটার বন্ধুকে অনেক মাইর দেওয়ার পর সে ছেলের বাড়ির ঠিকানা দিয়েছে। এখন দেখা যাক তাদের খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।
নীতির পরিবারের লোকজনের অনেক সময় লেগে গিয়েছিল নীতি কেন পালিয়ে গিয়েছে এটি জানার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ নীতি যেহেতু বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে তাই তার পরিবারের উপর অনেকটাই চাপ পড়েছে৷ কারণ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া মোটেই ভালো ব্যাপার নয়৷ এর ফলে পরিবারের উপর অনেক ধরনের চাপ পড়তে থাকে৷ তার পরিবার তাকে খোঁজার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ একই সাথে তার বন্ধু-বান্ধবদেরকেও খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছেন তারা৷ পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
এই গল্পটি প্রথম পর্ব পড়েছেন এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়েও সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নীতি যে পালিয়েছে, সেটা গত পর্ব পড়েই জানতে পেরেছিলাম। নীতি খুবই চালাক একটি মেয়ে, সেজন্য প্রেমের কথা তার বাসার কেউ জানতো না। তবে নীতি তার পরিবারকে জানাতে পারতো এই ব্যাপারটা। শুধু শুধু তার পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করলো। যাইহোক এবার দেখা যাক তারা দুইজন পালিয়ে কোথায় গিয়েছে এবং কিভাবে তাদেরকে খুঁজে বের করে নীতির পরিবারের লোকজন। এমন বাস্তব গল্প পড়তে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নীতি খুবই চালাক ছিল। তা না হলে প্রেম করেছে আর বাড়ির কেউ বুঝতেও পারেনি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।