গ্যাংটক এনচে মঠ এ ঘুরাঘুরি ও কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে গ্যাংটক শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এর প্রথম পর্ব শেয়ার করবো। গ্যাংটক শহরে ঘোরার মত মোট দশটি জায়গা রয়েছে। আমরা অবশ্য সবগুলো জায়গায় যাইনি। সাতটি জায়গায় গিয়েছিলাম। একদিনে সবগুলো জায়গা শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই পর্ব আকারে শেয়ার করতে হবে।
সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার পর আমরা গ্যাংটক শহরে দেখার জন্য বের হয়ে যাই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো বাইরে। মাঝে মাঝে বেশ জোরে হচ্ছিলো বৃষ্টি। কি করবো ভাবতে ভাবতেই ঘুরতে চলে গেলাম। ঘুরতে গিয়েছি হোটেলে বসে থেকে সময় নষ্ট করতে রাজি নই। সেজন্য বৃষ্টির মধ্যেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে। যদিও সঙ্গে ছাতা নিয়েছিলাম। কারণ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি মাথায় লাগলে জ্বর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
প্রথমে আমরা চলে গিয়েছিলাম এনচে মঠ (enchey monastery)দেখতে। এটি গ্যাংটক শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গাড়িতে যেতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। এটি ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এখানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি মন্দির হিসেবে প্রতিষ্ঠা। এখানে ঢুকতে হলে প্রথমে আপনাকে টিকিট কাটতে হবে।
বেশ খানিকটা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। বৃষ্টি তার মধ্যে সিড়িগুলো পিচ্ছিল হয়েছিল। খুব সাবধানে উঠতে হয়েছে। মন্দিরে ওঠার সময় দুই পাশ দিয়ে এরকম গোল ডিজাইনের কি যেন ছিল। এগুলো হয়তো তাদের পূজার কোন একটি অংশ। তারা নামার সময় এগুলো হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নামছিলো।
উপরে ওঠার পর সামনে বিশাল জায়গা ছিল। খুব সুন্দর জায়গাটি। বৃষ্টির কারণে ভালো মতো ছবি তুলতে পারিনি। তাছাড়া মন্দিরের ভিতরে আমরা ঢুকিনি। পিছন সাইডে গিয়ে দূরের সিনারি দেখলাম। খুবই চমৎকার লাগছিল। বৃষ্টি আর মেঘের কারণে খুব ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।
সব থেকে ভালো লেগেছে আমার নিচে নামার পর। যেখানে গাড়ি পার্কিং করে সেই জায়গাটি দেখতে। দূরে থেকে দেখতে এত ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। মনে হচ্ছিল যে আমরা মেঘের উপরে রয়েছি। কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি থেমেছিল তখনই এত চমৎকার দৃশ্য দেখতে পেরেছি। আফসোস করছিলাম যে বৃষ্টি না হলে হয়তো আরো সুন্দর কিছু দেখতে পারতাম।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে হাজির হব গ্যাংটোক এর নতুন আরেকটি দর্শনীয় স্থান নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনি গ্যাংটকে দশটি জায়গার মধ্যে সাতটি জায়গায় গিয়েছিলেন। এটাই আলহামদুলিল্লাহ। পর্বগুলি আস্তে আস্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন এই কামনা করি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল কিন্তু এই বৃষ্টি গুলো বেশি মজাদারও মনে হচ্ছে কিন্তু বৃষ্টির পানি পড়লে জ্বর আসতে পারে।আপনি ঠিক বলেছেন। শহরটি দেখে আমার তো যেতে মন বলছে। কি দারুন দারুন জায়গা। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাটি এত সুন্দর লাগছিল। মেঘ দেখতে পেলাম পুরো সাজেকের মতো একটা ফিল।দর্শনীয় স্থানটি আমার অনেক ভালো লাগলো এবং পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।
জি ভাইয়া পরবর্তী পর্বগুলো ধীরে ধীরে শেয়ার করব সবার সঙ্গে। আশা করি মন্তব্য করে পাশেই থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার গ্যাংটক ঘোরাঘুরির অনুভূতি পড়ে ও ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে শেষের মেঘের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। তবে এটা কোন দেশে সেটা বুঝতে পারছি না। ভারত না কি অন্যদেশ। লোকেশনটা দিলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
মেঘের ফটোগ্রাফি গুলো যেমন দারুন ছিল সামনে দেখতেও তেমন সুন্দর লাগছিল। ধন্যবাদ। এটি ভারতের সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক এ।
ঘুরতে গিয়ে হোটেলে বসে থাকতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু বৃষ্টির সময় ঘুরাঘুরি করতেও ভালো লাগে না। তবুও কিছু করার নেই, অনবরত বৃষ্টি হলে বৃষ্টির মধ্যেই ঘুরতে হয়। আমি যখন থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলাম,সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাদিন বৃষ্টি ছিলো। বৃষ্টির মধ্যেই ঘুরাঘুরি করতে হয়েছিল। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। বিশেষ করে শেষের চারটি ফটোগ্রাফি দেখে মনটা ভরে গিয়েছে। বৃষ্টি না থাকলে আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারতেন। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘুরতে গিয়ে কি আর হোটেলে বসে থাকতে ভালো লাগে। এজন্য তো বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়েছিলাম। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বেশ ভালই লাগছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।