গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ফটোগ্রাফি করতে ইদানিং ভালোই লাগে। আগে তেমন একটা ফটোগ্রাফি করা হতো না। এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে সবার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে এখন নিজেরও বাইরে গেলে ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করে। বিশেষ করে গ্রামের দিকে গেলে বিভিন্ন জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। সেই জিনিসগুলোর ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে। শহরে এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব একটা দেখা যায় না। গ্রামের সৌন্দর্য আসলেই অন্যরকম। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আমার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তুলেছিলাম। বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি বাড়ির এবং বাড়ির আশে পাশে থেকে করেছিলাম। আশা করি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
সিম গাছ শীতকালে দেখতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে সিম গাছে এত বেশি সিম এবং ফুল ধরে থাকে যে অসম্ভব সুন্দর লাগে। গ্রামে গেলে এরকম টাটকা সবজি খাওয়া যায়। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সিমের তরকারি খাওয়ার পর মনে হল যে এই সিম আর ঢাকার সিমের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এরকম টাটকা সিম গুলোর মজাই অন্যরকম ছিল।
একটি লেবু গাছ। প্রতিবার বাড়িতে গেলে গাছ ভর্তি লেবু থাকে। এবার কেন যেন লেবু খুব কম দেখলাম। পেঁপে গাছটিতে অনেক পেঁপে ধরেছে। এরকম গাছ ভর্তি পেঁপে দেখতে খুব ভালো লাগছিল।
এই মসজিদই আমার শ্বশুরবাড়িতে। বাড়ির নিজস্ব মসজিদ। মসজিদ বাড়িতে থাকার জন্য দেখা যায় আযান দিলে ছোট বড় সবাই গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ে। এতে সবার মধ্যে নিয়মিত নামাজ পড়ার একটি অভ্যাস গড়ে ওঠে। এই পুকুরটিও আমাদের পুকুর। এর আগে এই পুকুরে তেলাপিয়া মাছ ছিল। তখন বরশি দিয়ে মাছ ধরেছিলাম। অন্যরকম মজা লেগেছিল।
আমরা এবার ধান কাটার মৌসুমে গিয়েছিলাম। সেজন্য প্রতিটি বাড়িতে এরকম খড়ের গাদা ছিল। খড়ের গাদাগুলো এত সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে যে দেখতে ভালো লাগে। ধান কেটে ফেলা হয়েছে জন্য ক্ষেতগুলো একদম খা খা করছিলো।
এটি কলা বাগান। মাত্র কলা লাগিয়েছে। এই কলা গাছগুলো বড় হলে তখন অনেক কলা ধরে একেকটি গাছে। প্রতিবছর এই কলা গাছ লাগাতে হয়। কারণ আরেক সিজন আসতে আসতে কি গাছগুলো মরে যায়।
এই ছিল গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু আপনার শ্বশুর বাড়ি এবং নিজের বাড়ির আশেপাশে থেকে এসব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলে এইসব পরিবেশ খুব উপভোগ করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে গ্রাম্য পরিবেশ ভালোই উপভোগ করেছেন দেখছি। আসলেই গ্রাম অনেক সুন্দর । এই সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে এবং দেখতে খুবই ভালো লাগে। যেটা আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে খুঁজে পেয়েছি । অনেক ভালো লেগেছে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য সবসময় উপভোগ করতে চাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের দৃশ্যগুলো আসলে উপভোগ করার মত। এজন্য তো বারবার যেতে মন চায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গ্রামীন পরিবেশের বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যেখানে সবজি গাছের দৃশ্য পেঁপের শিম। প্রাকৃতিক পরিবেশ পুকুর মাঠ সহ পারিবারিক সুন্দর দৃশ্য আপনার ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো গ্রামীণ সুন্দর এই পরিবেশ দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গ্রাম বাংলার এ ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো আমার পছন্দের সব সময় এক নাম্বারেই থাকে।আপনি আপনার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে চমৎকার কিছু সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু।সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আরো বেশী ভালো লাগলো কলা বাগানটি দেখে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর বর্ননা করে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফির কলাবাগানটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার মত আমারও আগে তেমন বেশি ফটোগ্রাফি করা হত না কিন্তু এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে আমার কাছেও ফটোগ্রাফি করতে খুব ভাল লাগে। আপনি গ্রাম বাংলার খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শহরে যেহেতু এই দৃশ্যগুলো তেমন বেশি দেখা যায় না তার জন্য গ্রামে গেলে আমিও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসি। গ্রামের এই দৃশ্য গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনা ও দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর গ্রামীণ ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনাগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো আমি মুগ্ধ। আপনার শ্বশুর বাড়িতে যখন গিয়েছিলেন, তখন এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার শ্বশুর বাড়িতে একটা নিজস্ব মসজিদও রয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আসলে গ্রামে এরকম প্রকৃতি দেখলে আর সেখান থেকে আসতেই ইচ্ছে করে না। আশেপাশের অনেক সুন্দর কিছু দৃশ্য সবার মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসতে মন চায় না। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আপু। আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে যেয়ে গ্রাম্য পরিবেশ খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। গ্রামে থাকলে টাটকা সবজি খাওয়া যায় যেটা শহরে কল্পনার বাহিরে। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি।
ঠিক বলেছেন আপু শ্বশুরবাড়িতে গেলে গ্রাম্য পরিবেশ খুব সুন্দর উপভোগ করা হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন এই ব্লগে জয়েন করার পর থেকে আসলেই আমরা নতুন করে ফটোগ্রাফি করা শিখেছি । আর গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে শহরের সৌন্দর্য এর অনেক পার্থক্য । সিম গাছ দেখতে আমার কাছেও ভালো লাগে । কত সুন্দর গাছ ভর্তি সিম ধরে থাকে ফুল গুলো সুন্দর দেখতে । আর ধানের সময় গেলে এরকম খড়ের গাদা সব বাড়িতেই দেখা যায় । ভালো লাগলো আপনার গ্রামীণ পরিবেশের সুন্দর ছবিগুলা ।
ঠিক বলেছেন আপু শহরের সৌন্দর্য আর গ্রামের সৌন্দর্য একেবারেই আলাদা। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামে গেলে বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করা যায়। বিভিন্ন গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করা যায়। আজ আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। গ্রাম বাংলার দৃশ্যগুলো দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ।দেখে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।