শেখ রাসেল স্কুলে ঘুরাঘুরি

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাচ্চাদেরকে প্রথম স্কুলে দিলে মায়েদের যে কি কষ্ট তা বলে বোঝানো যায় না। প্রতিদিন সকাল বেলার সাথে করে নিয়ে দুই তিন ঘন্টা বসে থাকতে হয়। যদিও আমার বড় ছেলের সময় এই কষ্ট করতে হয়নি। কারণ বাসার পাশে স্কুল ছিল। সকাল বেলায় ওর বাবা দিয়ে যেত আর ছুটির সময় আমি নিয়ে আসতাম। কিন্তু ছোট ছেলেকে স্কুলে দেয়ার পর নিয়মিত গিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। স্কুল অনেক দূরে। চাইলেই গিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। যদিও ড্রাইভিং শেখার কারণে এই সময়টা বেশ ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা একদিন পরপর ড্রাইভিং শিখি। তাই যেদিন ড্রাইভিং থাকে না সেদিন সবাই মিলে গল্প করতে করতে সময় পার করি। এগুলো রোজার আগের গল্প। এখন রোজায় স্কুল বন্ধ হওয়ায় আরামে আছি। ঈদের পর থেকে আবারো ডিউটি শুরু।


IMG_9138.jpeg


একদিন ড্রাইভিং না থাকার কারণে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম পাশেই শেখ রাসেল স্কুল রয়েছে সেখানে ক্যান্টিনে ফুচকা মুড়ি মাখানো পাওয়া যায়। বি আই এস সি তে এগুলো পাওয়া যায় না। তাছাড়া স্কুলের খাবারগুলো নিয়মিত খেতে খেতে আর ভালো লাগে না। এজন্য মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আসি।


IMG_9130.jpeg


বাচ্চাকে ক্লাসের দেয়ার পরে হাতে দুই ঘন্টার মত সময় থাকে। এজন্য আমরা ক্লাসে দিয়েই তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে গিয়েছিলাম যাতে ছুটির কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছে যেতে পারি। স্কুল থেকে একটি অটো নিয়ে চলে গেলাম শেখ রাসেল স্কুলে। এই স্কুলে যদিও আমার এর আগে কখনো ঢোকা হয়নি। এবার দেখলাম যে এই স্কুলের মাঠ আমার ছেলেদের স্কুলের মাঠের থেকেও আরো বেশ বড়। বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল। স্কুলের বাস গুলো দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। আমাদের স্কুলের ভেতরে বাস রাখার এত জায়গা নেই। তাছাড়া এই স্কুলের বাইরে দেখলাম গাড়ি পার্কিং করার খুব সুন্দর জায়গা আছে। মোটামুটি ওই স্কুলের থেকে বেশ ভালোই বড় এই স্কুলের এরিয়া।


IMG_9136.jpeg


IMG_9131.jpeg


আমরা গিয়ে ফুচকা এবং মুড়ি মাখানো অর্ডার দিলাম। এখানে আবার ডিম সেদ্ধ দিয়ে মুড়ি মাখায়। যদিও ডিম সেদ্ধ দিয়ে দিয়ে মুড়ি মাখালে কেমন লাগবে তাই আর খাওয়া হয়নি। বেশ ভালোই ছিল মুড়ি। ফুচকাটা তেমন একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। তাছাড়া এত পরিমানে মুড়ি মাখা দিয়েছিল যে খেয়ে শেষ করতে পারিনি।


IMG_9134.jpeg


IMG_9137.jpeg


IMG_9139.jpeg


স্কুল থেকে বেরিয়ে আমরা পাশের একটি টং দোকানে গিয়েছিলাম চা খাওয়ার জন্য। যদিও রং চা আমি খাই না কিন্তু সবার জোড়াজড়িতে খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ গল্প করে আমরা আবারো স্কুলে চলে আসলাম। ছুটির আগেই আমরা স্কুলে পৌঁছে যেতে পেরেছিলাম।


IMG_9140.jpeg

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 5 months ago 

আসলে ছোট বাচ্চাদেরকে স্কুলে ভর্তি করার পর থেকে মায়েদের নতুন আরেকটা ডিউটি শুরু হয়ে যায়। তবে স্কুল কাছে থাকলে বেশ ভালই হয় যেমনটা আপনার বড় ছেলে সময় হয়েছিল। যাইহোক আপনারা বেশ ভালো করেছেন ফ্রী সময়টা একেবারে বসে না থেকে পাশে থাকা শেখ রাসেল স্কুল টা একটু ঘুরে এসে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

জ্বী ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। নতুন ডিউটি শুরু হয়েছে এখন আমার। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 5 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু ছোট বাচ্চাকে স্কুলে দিলে আসলে অনেক কষ্ট হয় দুই তিন ঘন্টা বসে থাকতে ।আমার তো কাছে হয়েও বসে থাকতে হয় সরার উপায় নেই । তারপরও তো আপনি ফাঁকে ফাঁকে ড্রাইভিং শিখে নিচ্ছেন । আপনাদের ওদিকে স্কুলগুলোতে বড় বড় মাঠ রয়েছে এটা বাচ্চাদের জন্য ভালো ।এই স্কুলে ওদের স্কুলের থেকেও বড় মাঠ তাহলে তো বিশাল বড় মাঠ ।ভালোই ঘোরাফেরা করে সময়টা কাটালেন ।

 5 months ago 

আমার বাসার এতো কাছে স্কুল হলে আমি গিয়ে বসে থাকতাম না। দিয়ে আসতাম আর নিয়ে আসতাম। ক্লাস টাইমে তো আর বের হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 5 months ago 

বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে মাঝে যে দুই ঘন্টা সময় থাকে সেই সময়টা সবাই মিলে দারুন উপভোগ করেছেন। ছেলেদেরকে স্কুলে দিয়ে এরকম সুযোগ করে সবাই মিলে একসাথে গিয়ে ফুচকা সহ ঝাল মুড়ি খাওয়া তো বেশ মজা লাগার কথা।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

কি আর করব ভাইয়া সময় তো পার করতে হবে। এজন্যই ঘোরাঘুরি করা আর কি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 5 months ago 

বোঝাই যাচ্ছে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আপনারা দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মাঝে মাঝে এরকম ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে যেহেতু বাচ্চাকে স্কুলে দেওয়ার পরে হাতে কিছুটা সময় থাকে আর আপনি সেই সময়টাতেই এরকম একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। আপনাদের ঘুরাঘুরির এই মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর ফুচকা পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে বিশেষ করে মেয়েরা, যাই হোক শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আমাদের ঘোরাঘুরির মুহূর্তটা দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 5 months ago 

শেখ রাসেল স্কুলে ঘুরাঘুরি করার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই স্থানে উপভোগ করা মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ এখানে যে সময় গুলো আপনি অতিবাহিত করেছেন তার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ যা একেবারে অসাধারণ হয়েছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি স্থানে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

 5 months ago 

ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 5 months ago 

ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বসে না থেকে আপনি পাশাপাশি ড্রাইভিং শিখছেন জেনে ভালো লাগছে এবং যেদিন ড্রাইভিং না থাকে সেদিন সবাই মিলে গল্প ঘোরাঘুরি করেন এটা যেন খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে শেখ রাসেলের স্কুলে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। স্কুলের এরিয়াটা সত্যি খুব বড়। এরকম বড় বড় খেলার মাঠ থাকলে বাচ্চাদের আর খেলার কোন সমস্যাই থাকে না। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

 5 months ago 

জি আপু এই দুই ঘন্টা কাজে লাগানোর জন্য ড্রাইভিং এ ভর্তি হয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 5 months ago 

বাচ্চা কে স্কুলে দিয়ে তো বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করছেন দেখছি । দুই তিন ঘন্টা বসে থাকা সত্যিই ভীষণ বোরিং একটা কাজ। মাঝেমধ্যে আশেপাশে ঘুরে বেড়ালে বেশ ভালোই সময় কাটবে। তবে আপনাদের শেখ রাসেল স্কুলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তগুলো পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 months ago 

কি আর করার আপু এখন তো দুই বছর এই বোরিং কাজটা করতেই হবে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58715.10
ETH 2588.69
USDT 1.00
SBD 2.44