ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ - আশিক তানহার বৃষ্টি ভেজা স্মৃতির গল্প।[পর্ব-২]
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি লেখা শুরু করে দিলাম।আমি ছোটকাল থেকে লেখালিখি করতে এবং পড়তে অনেক ভালোবাসি। কিছুদিন ধরে আমাদের এখানে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে তাই ভাবলাম এই বৃষ্টির দিনে একটু লেখালেখি করি। সময়ের অভাবে এখন আর তেমন একটা লেখালেখির কাজ করতে পারি না।তবে মাঝেমধ্যে সময় পেলে লেখালেখির কাজে বসে যাই।আমি ঠিক জানিনা আমার লেখা ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনাদের কাছে কতটুকু ভালো লাগে তার পরেও আমি চেষ্টা করি ভালো করে লেখার। আশা করি আমার লেখা ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল কাজে ফিরে যাই।
তানহা ও আশিকের বিবাহের পর প্রথম বর্ষার দিনটি ছিল যেন এক রূপকথার গল্পের মতো। তারা নিজেদের ছোট্ট বাসায় বসবাস শুরু করেছিল, যেখানে প্রতিটি কোণেই তাদের স্বপ্ন আর ভালোবাসার ছোঁয়া ছিল। বর্ষার দিনগুলোতে তারা একসাথে বারান্দায় বসে গরম চা আর পকোড়া খেত। বৃষ্টির ছন্দময় শব্দে তাদের মন যেমন আনন্দে ভরে যেত, তেমনি ভালোবাসার মাধুর্যে তারা প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হত।
আশিকের জীবনে তানহা ছিল এক উজ্জ্বল আলোর মতো। প্রতিদিন সকালে তানহার হাসি দেখে তার দিন শুরু হতো, আর রাতে তানহার গল্প শুনে ঘুমাতে যেতো। তানহার ভালোবাসায় আশিক সবসময় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতো। তানহার পছন্দের ফুল ছিল বেলি, আর আশিক প্রতিদিন সকালে তার জন্য বেলি ফুল নিয়ে আসতো। বৃষ্টির দিনে সেই বেলি ফুলের স্নিগ্ধ গন্ধ তানহার মনকে আরও বেশি প্রফুল্ল করে তুলতো।
তাদের জীবনে সুখের পাশাপাশি দুঃখের মুহূর্তও এসেছিল। একবার আশিক হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেই সময় তানহা ছিল আশিকের শক্তির মূল উৎস। রাত-দিন সে আশিকের পাশে থেকে তার যত্ন নিয়েছিল। একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল, আর আশিক অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তানহা জানালার পাশে বসে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করছিল, "হে আল্লাহ , আমার আশিককে তুমি সুস্থ করে দাও।" সেই রাতে, বৃষ্টির শব্দে তানহা আর আশিক একে অপরের হাতে হাত রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। পরদিন সকালে, আশিকের শরীর অনেকটা সুস্থ বোধ করছিল, আর তানহার মনে হল যেন আল্লাহ তাদের প্রার্থনা শুনেছেন।
তাদের জীবনের আরেকটা স্মরণীয় দিন ছিল তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। সেই দিনটাও বৃষ্টি হচ্ছিল। আশিক তানহাকে চমক দিতে এক নতুন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। তারা শহরের এক প্রান্তে ছোট্ট এক কুটিরে রাত কাটিয়েছিল, যেখানে ছিল শুধু তারা আর বৃষ্টির শব্দ। সেই রাতে আশিক তানহার হাতে একটি ছোট্ট কাগজের নৌকা তুলে দিয়ে বলেছিল "যে নৌকাতে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ সেটার এক বছর পূর্ণ হল।" তানহার চোখে আবারও জল এসে গিয়েছিল, কিন্তু সেটা ছিল আনন্দের অশ্রু।
তানহা আর আশিকের জীবনের প্রতিটি বৃষ্টির দিনে, তাদের ভালোবাসা আরও গভীর আর মধুর হয়ে উঠেছিল। তারা জানতো যতই বৃষ্টি আসুক, যতই ঝড় বইতে থাকুক, তাদের ভালোবাসার নৌকা সবসময় নিরাপদে তীরে পৌঁছাবে।
এভাবেই তানহা আর আশিক তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করে কাটিয়ে যাচ্ছিল। তারা জানত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান, আর প্রতিটি বৃষ্টির দিনেই নতুন কিছু পাওয়ার অপেক্ষা করে। বৃষ্টি ছিল তাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ, যা তাদের ভালোবাসাকে সবসময় তাজা আর জীবন্ত রেখেছিল।
তানহা ও আশিকের গল্পটি সত্যিই একটি রূপকথার মতো শোনাচ্ছে। তাদের বিবাহের পর প্রথম বর্ষার দিনটি থেকে শুরু করে তাদের জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত বর্ণনা করা হয়েছে যা তাদের ভালোবাসার গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি যত্ন প্রকাশ করে।তানহা ও আশিকের ছোট্ট বাসায় বর্ষার দিনগুলোতে বারান্দায় বসে চা আর পকোড়া খাওয়া, আশিক তানহার জন্য প্রতিদিন বেলি ফুল নিয়ে আসা, এবং তানহার ভালোবাসা ও প্রার্থনার মাধ্যমে আশিকের সুস্থ হয়ে ওঠা—এসবই তাদের জীবনের সুন্দর ও মধুর মুহূর্তগুলোর উদাহরণ।তাদের বিবাহবার্ষিকীতে আশিক তানহার জন্য চমক এবং ছোট্ট কাগজের নৌকা উপহার দেওয়া, তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে, একে অপরের প্রতি তাদের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করে।তানহা ও আশিকের জীবনের প্রতিটি বৃষ্টির দিনে তাদের ভালোবাসা আরও গভীর হয় এবং তারা জানে যে জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের ভালোবাসা সবসময় নিরাপদে থাকবে। এই গল্পটি তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে বিশেষ এবং মূল্যবান করে তুলেছে এবং তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে।
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | কালীগঞ্জ |
আপু আজ আপনি অনেক সুন্দর একটা গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমার না পড়া হলেও, দ্বিতীয় পর্বটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাদের দুজনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দেখে খুব ভালো লাগলো। বৃষ্টির সময় তারা নতুন কিছু পায়, আর তাদের ভালোবাসাটা আরো বেশি বাড়ছে একে অপরের প্রতি, বিষয়গুলো সত্যি ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে কি হয় এখন এটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য। কিছু দিনের ভেতর তৃতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আপু আমি অলরেডি বেশ কিছুদিন আগে তৃতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যাক্ত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টির দিন গুলো দেখছি আশিক এবং তানহার জীবনের আরো সুন্দর মুহূর্ত হয়ে এসেছে। তাদের দুজনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসাটা দেখে সত্যি আমি অনেক মুগ্ধ হয়েছি। আস্তে আস্তে তাদের ভালোবাসাটা আরো বেশি মজবুত হচ্ছে। অনেক সুন্দর করে আপনি তাদের বৃষ্টি ভেজা স্মৃতির গল্প গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। বৃষ্টির সময় গুলো তাদের জীবনে আরো বেশি স্পেশাল হয়ে আসে, এটা জেনে অনেক ভালো লাগতেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে যথাযথ মতামত প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বৃষ্টির দিনে আজ আপনি খুব সুন্দর একটা গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার শেয়ার করা প্রথম পর্বটিও আমি পড়েছি। আশিক তানহার বৃষ্টি ভেজা স্মৃতির গল্পটি সত্যি অনেক চমৎকার হয়েছে।তারা দুজন দুজনকে অনেক ভালবাসত এবং তাদের কোন কাজের শুরুতেই বৃষ্টি শুরু হতো।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার লেখার ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।