নাটক রিভিউঃ অবহেলিত সংসার।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা । আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি।আজ আমি অবহেলিত সংসার নাটকের রিভিউরি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যার কারনে আমি এই নাটকটি রিভিউ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়েছি। আসলে ঈগল টিম বেশ চমৎকার ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবাই যেদিকে হাতে ঈগল টিম পুর ব্যতিক্রম ভাবে কাজ করছে।ঈগল টিমের নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে।
ঈগল টিমের নাটক গুলা খুবই সামাজিক ও অর্থ বাহক। আশা করি আমার রিভিউটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যার কারনে আপনাদের মাঝে নাটক রিভিউ টা নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে শুরু করে দেওয়া যাক।
নাটকের প্রথমে দেখা যায় যে নায়কের বাড়ির লোক মানে তার মা ও ভাই নায়িকাদের বাড়িতে গেছে নায়কাকে দেখার জন্য। নায়কাকে তাদের অনেক পছন্দ হয়।কিন্তু নায়ক এই বিয়েতে রাজি ছিল না তার মা তাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু নায়ক যে বিয়েতে রাজি ছিল না এটা নায়িকার বাবা জানতো না। তারপর নায়কদের সাথে নায়িকার বিয়ে হয়ে যায়।
এরপর দেখা যায় যে নায়ক বাগানে বসে তার প্রেমিকার সাথে গল্প করছে। নায়ক সারাদিন খাবার খাইনি দেখে তখন নায়কা বাগানে তার জন্য টিফিন বাটিতে করে খাবার নিয়ে যায়। নায়কাকে বাগানে যেতে দেখে নায়ক খুবই রেগে যায় এবং সে নায়িকাকে প্রশ্ন করে তুই কেন এখানে এসেছিস। তখন নায়কা বলে আপনি সারাদিন খাবার খাননি সেজন্য আপনার জন্য খাবার এনেছি খাবারটা খেয়ে নেন। নায়ক তখন রেগে নায়কার গায়ে হাত তুলতে যায় এবং সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দেই। রাতে নায়কা সিরির উপরে বসে নায়কের জন্য অপেক্ষা করছিল। নায়ক নায়কার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতো এবং গায়ে হাত তুলতো।
এরপর আবার দেখা যায় নায়ক বাগানে বসে তার প্রেমিকার সাথে গল্প করছে আর সেই মুহূর্তে সেখানে নায়কা গিয়ে হাজির হয় এবং তখন নায়ক বলে তুই কেন এখানে এসেছিস।তখন নায়কা বলে আজ আমার বাবা আসবে আপনি আমার বাবার সামনে দয়া করে কোন খারাপ ব্যবহার করবেন না এবং গায়ে হাত তুলবেন না দোহাই আপনার।তখন নায়ক তার কথা শুনে রেগে যায় এবং নায়কার গায়ে হাত তুলতে যাই। ঠিক তখনই তার প্রেমিকা বলে তুমি ওর গায়ে আমার সামনে হাত তুলতে পারবা না।তখন নায়ক নায়কাকে বলে তোর বাবা আসছে তুই আজ চলে যাবি তোর বাবার বাসায়। তারপর নায়কা সেখান থেকে চলে যাই। তারপর নায়কার বাবা ও ভাই নায়কার বাসায় আসে কিন্তু নায়কের সাথে তাদের দেখা হয় না। নায়কার বাবা ও ভাই তাদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় নায়কা তার দেওর কে খাবার দিচ্ছে এবং সেই মুহূর্তে সেখানে নায়ক এসে বলে তুই তোর বাবার বাসায় যাসনি কেন।তখন নায়কা বলে আমি কোথায় যাবো এটাই তো আমার বাড়ি। এই কথা শুনে নায়ক অনেক রেগে যায় এবং নায়কাকে অনেক মারধর করে। তখন তার দেওর তাকে মারির হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয়।
এরপর নায়কা সকালে ঘুম থেকে উঠে নায়কের জন্য নাস্তা নিয়ে রুমে যাই এবং নায়কের পা ধরে বলে আপনি খাবার খেয়ে নেন। আমার উপর রাগ করে থেকেন না। তখন নায়ক বলে তোর লজ্জা শরম নেই তুই আমায় সামনে এসেছিস। তখন নায়িকা বলে আমি তো আপনার বউ আমি কোথায় যাবো।তারপর নায়িকা নায়ক কে বলে আমার গায়ে জ্বর আমাকে কিছু ট্যাবলেট এনে দিতে পারবেন। তখন নায়ক বলে তুই মরে গেলেও আমি ওষুধ এনে দেব না। তখন নায়কা বলে ঠিক আছে। তখন নায়িকা বলে তাহলে আমার বাবাকে একটু আসতে বলেন বাবাকে অনেক দেখতে মন চাচ্ছে। তখন নায়ক বলে তুই মরে যা তোর বাবা আসবে দেখতে। এই কথা শুনে নায়িকা বলে আপনি শুধু আমার মরার কথা বলেন কেন। তখন নায়ক বলে তুই মরলেই তো আমার শান্তি।
এরপর দেখা যায় নায়িকা লাঠি ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং ঠিক তখনই পাশের বাড়ির এক মহিলা এসে বলে কিরে এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন। তোর বর আবার তোকে মারছে নাকি। তখন নায়িকা বলে না আমার স্বামী আমাকে অনেক আদর করে। ঠিক তখনই পাশের বাড়ির মহিলাটি বলে ওটা বলতে হবে না তোকে, আমরা জানি আর কত অত্যাচার সহ্য করবি। তখন পাশের বাড়ির মহিলাটি বলে শুনলাম তোর বর তোর বাবাকে মারবে দেখা হলেই তাই তোকে জানিয়ে গেলাম।এই কথা ভাবতে ভাবতে নায়কার বাবা সেখানে হাজির এবং নায়কাকে প্রশ্ন করে আম্মাজান আপনি লাঠি ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেন। তখন নায়িকা বলে একটু কোমড়ে ব্যথা পেয়েছি এজন্য তখন তার বাবা তাকে বলে চলেন আম্মাজান আপনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।তখন নায়িকা বলে না বাবা আমার স্বামীর আদেশ ছাড়া আমি কোথাও যেতে পারবো না। তখন তার বাবা বলে আমি জামাইয়ের কাছ থেকে শুনেই তোকে নিয়ে যাব তোকে। তোকেতো আমি নিয়ে যেতে এসেছি। তখন নায়কা বলে না বাবা আমি যাব না তুমি ফিরে যাও। তখন নায়িকার বাবা কান্না করতে করতে ওখান থেকে চলে যায়।
এরপর নায়িকা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার শাশুড়িকে বলে আমি মারা গেলে আমার স্বামীর বাড়িতে আমাকে মাটি দিবেন। এরপর নায়িকা মারা যায় এবং তার বাবাকেও খবর পাঠানো হয়।
এরপর দেখা যায় নায়ক তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গেছে বাগানে এবং সে খুব মাস্তিতে ছিল সেটা দেখে তার প্রেমিকা বলে এত খুশি কিসের তুমি তখন নায়ক বলে তার বউ মারা গেছে। এই কথা শুনে তার প্রেমিকা বলে তুমি একটা ভালো মেয়েকে মেরে ফেলেছো না জানি আমার সাথে কি হবে। তারপরে প্রেমিকার উপর রাগ করে আর একটা বিয়ে করে আনে। নায়কের মা খুবই অসন্তুষ্ট এবং অভিশাপ দেই। নায়কের নতুন বউ বলে যাও বাজার করে আনো বাজার করে আনে। বাজার করে নায়ক তার বউকে দেয় আর বলে ছোট মাছ আর সবজি এনেছি। তখন তার বউ বলে আমি ছোট মাছ কাটতে পারিনা একটা ফিরিয়ে দিয়ে আসো। এরপর নায়ক আস্তে আস্তে তার ভুলটা বুঝতে পারে যে সে কি ভুল করেছে এবং কি অন্যায় করেছে নায়িকা সাথে।
নায়ক তার ভুল বোঝার পর নায়িকার কবরের কাছে গিয়ে অনেক কান্নাকাটি করে এবং অনুতপ্ত হয়।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
---|---|
নাটকের নাম | অবহেলিত সংসার |
পরিচালক | কচি আহমেদ। |
অভিনয়ে | সবুজ, অন্তরা, জারা,আরও অনেকেই। |
দৈর্ঘ | ২৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ড |
মুক্তির সময় | ০৯ জুন ২০২৪ খ্রিঃ |
এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়.............
পোস্টের বিষয় | নাটক |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | কালীগঞ্জ |
বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। তাই আমার মতে দুইজনের মতামতের উপর ভিত্তি করে বিয়েটা করা উচিত। এভাবে অপছন্দ করে যদি বিয়ে করা হয় তাহলে সারা জীবন অশান্তিতে ভুগতে হয়। অবশেষে দেখা গেল যে নায়িকা মারা গেল এবং নায়ক তাতে অনেক খুশি। শুধুমাত্র একটি সম্পর্ক একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নায়িকা তার জীবনটা পর্যন্ত শেষ করে দিল। কিন্তু এমন ভুল মানুষের জন্য জীবনটা দিয়ে লাভটা কি হলো। ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউ।
জি আপু আপনি ঠিকই বলেছেন তবে নাটকটি দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছিল।সময় থাকতে কেউ মূল্য দিতে জানে না যখন সময় চলে যায় এবং মূল্যহীন জিনিসটা হারিয়ে যায় আমরা ঠিক তখনই তার মূল্য বুঝি। এই নাটকটিতেও ঠিক এমনি হয়েছে।
খুব দারুন একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। অনেক দারুন ছিল গল্পটা। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈগল টিমের আমি আরো কয়েকটা অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক দেখেছি। ঈগল টিমের নাটক গুলো অনেক ভালো লাগে।আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। নাটকটি এখনো দেখা হয়নি তবে রিভিউটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর ভাবে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঈগল টিমের নাটকগুলো অনেক সুন্দর এবং সামাজিক ও শিক্ষা নিও। ঈগল টিমের নাটক আমারও দেখতে অনেক ভালো লাগে।
আপনি আর আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন অবহেলিত সংসার। আসলে ঘরে বউ থাকতে যদি কেউ বাহিরে এই ধরনের আচরণ করে থাকে অন্য মেয়ের সাথে তাহলে সংসারে অশান্তি আসবেই স্বাভাবিক। পোস্টটি অনেক শিক্ষা নিয়েও বিষয় রয়েছে ধন্যবাদ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আমার শেয়ার করা নাটকটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে এরকম নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সময়ের কারণে এখন আর নাটক দেখি না। আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে অবহেলিত সংসার এই নাটকটার রিভিউ লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটকটার মধ্যে কিন্তু শিক্ষনীয় বিষয়ও রয়েছে। এরকম নাটকগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়। থাকতে মূল্য দেওয়া লাগে। না থাকলে তখন ভুল বুঝে ও কোনো লাভ হয় না। নায়ক কিন্তু একেবারে শেষে তার ভুল বুঝতে পেরেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। জি ভাইয়া নাটকটি অনেক শিক্ষা নিও। নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর এই নাটক রিভিউটা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। জাতীয় নাটকগুলোর মধ্যে বেশ শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। ঠিক তেমনি একটা শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ঈগল টিমের নাটকগুলো প্রায় সময় দেখা হয়। বেশ ভালো লাগে তাদের নাটকগুলো। তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো রিভিউটা দিয়েছেন আপু। রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সময় পেলে নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দরভাবে পুরো নাটকটার রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যাক্ত করার জন্য।
অবহেলিত সংসার এই নাটকের অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এই নাটকটি আমি দেখেছি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সামাজিক বাস্তবতার কেন্দ্র করে এই নাটকটি লেখা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নাটকটি অনেক সুন্দর এবং শিক্ষানীয়। সময় থাকতে কেউ মূল্য দিতে জানে না ঠিক তেমনি নায়ক ও নায়িকাকে মূল্য দেয়নি।
আজকে আপনি খুবই শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। খুবই চমৎকার দক্ষতার মধ্য দিয়ে নাটকের রিভিউ করেছেন। এই নাটকের সাথে বাস্তবতার অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি নাটক রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা নাটকটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।