ক্রিয়েটিভ রাইটিং : "রহস্যময় বটতলা "🌳🌳
🌷🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুরা.............
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ভালো আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও আমার পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ভালো আছি।আবহাওয়া চেঞ্জ এর জন্য ছোট বড় কমবেশি সবাই অনেক অসুস্থ হচ্ছে এখন। সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের নতুন ব্লগ শুরু করছি।লেখালেখি করতে এবং পড়তে দুইটাই আমি অনেক পছন্দ করি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আমার বাংলা কমিউনিটিতে অনেক সদস্যরাই ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট শেয়ার করে থাকেন। তাদের পোস্টগুলো পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এবং পোস্টগুলো দেখে আমি নিজে অনেক উৎসাহিত পাই। আশা করি আমার লেখা ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
নিঃশব্দ রাত। গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা পুরনো বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এই গাছটি নিয়ে গ্রামে অনেক কাহিনি প্রচলিত।সবাই বলে রাত গভীর হলে গাছটির চারপাশে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে। কেউ দেখেছে, গাছের ডালে ডালে কিছু অদ্ভুত ছায়ামূর্তি ঘুরে বেড়াচ্ছে।কেউ শুনেছে, গাছের পাতা ফুঁড়ে ভেসে আসছে ফিসফিসে কথাবার্তার শব্দ।
রহিম মিয়া এসব ভূতের গল্প বিশ্বাস করত না। কিন্তু তাকে গ্রামের লোকেরা বারবার সাবধান করেছিল, রাতের বেলায় যেন সে বটগাছের কাছাকাছি না যায়। এক রাতে সাহসের পরীক্ষা নিতে রহিম মিয়া ঠিক করল, সে ওই গাছের কাছে গিয়ে রাত কাটাবে। একটা লণ্ঠন আর কুকুরটাকে সঙ্গে নিয়ে সে গাছের কাছে গেল।রাত তখন বারোটা বাজে। রহিম মিয়া গাছের নিচে বসে সিগারেট ধরাতে গিয়েই টের পেল আশপাশের বাতাস অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে উঠেছে। হঠাৎ করেই কুকুরটা কাঁপতে শুরু করল, লেজ গুটিয়ে পিছু হটল। রহিম মিয়া এক পা সামনে বাড়াতেই একটা শীতল শ্বাস যেন তার গায়ের ওপর পড়ল।মনে হলো গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে কারা যেন তাকিয়ে আছে। প্রথমে অবিশ্বাস করতে চাইল, কিন্তু দ্রুতই সে স্পষ্ট দেখতে পেল গাছের ডালের উপরে বসে আছে কিছু অশরীরী ছায়ামূর্তি, এক জোড়া লাল চোখ তাকে সোজা দেখছে। তার গলা শুকিয়ে গেল, পালানোর উপায়ও হারিয়ে ফেলল। তখনই একটি ফিসফিসে কণ্ঠস্বর শুনতে পেল, তুমি আমাদের জায়গায় এসেছো এখন তোমার আত্মা আমাদের সঙ্গেই থাকবে।
রহিম মিয়া চিৎকার করতে চাইল কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না। তার দেহটা যেন অবশ হয়ে গেল। গাছের ছায়াগুলো ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। তারা রহিমের হাত চেপে ধরল, তাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগল গাছের শিকড়ের দিকে।পরের দিন সকালে গ্রামবাসী রহিম মিয়াকে খুঁজে পেল, কিন্তু সে তখন অচেতন অবস্থায় গাছের নিচে পড়ে আছে। তার চেহারায় অজানা আতঙ্কের ছাপ। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয় না শুধু ফিসফিস করে বলে, ওরা এসে নিয়ে যাবে ওরা আমার অপেক্ষায় রয়েছে।সেই রাতের পর থেকে কেউ আর বটগাছের কাছে যেতে সাহস পায় না। লোকজন বলে, রহিম মিয়ার আত্মা গাছের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে।
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। এমন একটি ভৌতিক গল্প পড়ে তো গা ছমছম করে উঠলো। রহিম মিয়া অতিরিক্ত সাহস দেখিয়েছে বলেই হয়তো তার এই অবস্থা হয়েছিল। সে যদি গ্রামের মানুষের কথা শুনতো তাহলে হয়তো এমন হতো না। যাক তাও তো সে বেঁচে রয়েছে। তবে আমিও ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি বট গাছ ভালো নয়। রাতবিরাতে বট গাছের কাছে না যাওয়াই ভালো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দারুন একটা গল্প লিখেছেন তার গল্পটি পড়ে গা ছমছম করে উঠলো। ভূতের গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এমনকি আমি বেশিরভাগ সময় ভূতের গল্প শেয়ার করে থাকি। রহিমের আত্মা বট গাছের সাথে মিশে আছে জেনে ভয়টা আরও বেড়ে গেল।
আমার মত আপনিও ভৌতিক গল্প শেয়ার করে থাকেন এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। ভৌতিক গল্পগুলো বরাবরই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে।