রেসিপি পোস্টঃ ঘরোয়া ভাবে তৈরি মজাদার কেক।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নিজের হাতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কেক তৈরির রেসিপি শেয়ার করবো। নিজের হাতে তৈরি করা যে কোন জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা।রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি করে থাকি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে ইউনিক রেসিপি তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে।আশাকরি আমার তৈরি করা কেক এর রেসিপিটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল কাজে ফিরে যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরন |
---|
ময়দা |
ডিম |
দুধ |
চিনি |
কিসমিস |
প্রথমে আমি একটি ব্লেন্ডারের ভেতর দুইটি ডিম ও পরিমান মতো চিনি দিয়ে সুন্দর করে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ব্লেন্ড করে নেওয়ার পর উপকরণটি দেখতে এমনটা দেখাবে।
এরপর ব্লেড করে নেওয়া উপকরণের ভেতর অল্প অল্প করে ময়দা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে সুন্দর করে ডিমের উপকরণের সাথে ময়দা মিক্সড করে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে যেনো ময়দার দলা বেঁধে না থাকে।
এরপর গরুর দুধ অল্প অল্প করে ময়দার ভেতর দিয়েছি আর ভালো করে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
এবার কেকে বানানোর ছাচের ভেতর ও চারিদিকে হালকা করে তেল দিয়ে নিয়েছি যাতে করে কেকে সুন্দর করে উঠে আসে।
এরপর আমি সাবধানে তৈরি করে নেওয়া কেকের উপকরণটি কেক তৈরর ছাচে ঢেলে নিয়েছি। এরপর হাত দয়ে হালকা করে নাড়া দিয়ে উপকরণটি সুন্দর করে সেট করে নিয়েছি। এরপর উপর অংশ সমান করে কিছু কিচমিচ কেটে এর পর দিয়ে দিয়েছি।
একটা কড়াই চুলার উপর বসিয়ে এর ভেতর কেকের ছাচ বসিয়ে দিয়ে একটি ধাকনা দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে দিয়েছি। এরপর চুলার জ্বাল মিডিয়াম আঁচে রেখে অনেক সময় ধরে তাপ দিতে থেকেছি। ২০ মিনিট পর একটি কাঠি দিয়ে পরিক্ষা করেছি ভেতর কাঁচা আছে কিনা। কাঠিতে যখন পরিষ্কার ভাবেই বের হয়ে আসবে বুঝতে হবে কেকে তৈরি হয়ে গেছে। এবার আমি সেটা চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
দেখতেই পারছেন কেকেটি দেখতে কত সুন্দর লাগছে। আশা করি আমার কেকটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্টের বিষয় | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | কালীগঞ্জ |
বাসায় তৈরি করা কেক খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। আপনার তৈরি করা কেক দেখতে কিন্তু খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। আমিও মাঝে মাঝে বাসায় কেক তৈরি করি। অসাধারণ ছিল আপনার রেসিপি।
আপু আপনি ও আমার মতো বাসায় কেক তৈরি করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে সত্যিই কেক খেতে বেশ ভালো লাগে আমার। আপনি ঘরোয়া ভাবে মজাদার কেক তৈরি করেছেন বেশ ভালো হলো। আপনার তৈরি প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনি বেশ সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার তৈরি করা কেকটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। কেকটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এবং নরম হয়েছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বৃষ্টির দিনে মজার মজার খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। এভাবে বাসায় যদি কেক তৈরি করা হয় তাহলে অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। বাহির থেকে কেনা কেক গুলো খেতে ভালো হলেও অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর হয়। লাভ সেভ আকৃতির কেক বেশ ভালো লেগেছে। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
বাড়িতে বসে এতো সুন্দর একটি কেক রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনি কেকের সাইজ টি একদম লাভের আকৃতি দিয়ে তৈরি করেছেন, এজন্য একটু বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।আর আপনি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যাক্ত করার জন্য।
ইস্ আমার কাছেও মজার মজার রেসিপি করতে বেশ ভালো লাগে। কেবল মাত্র ব্যাস্ততার কারনে করা হয়ে উঠে না। যদিও আমি কেক খাইনা তবুও আপনার বানানো আজকের কেক দেখে কিন্তু বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ এমন দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু কেকটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। আমার তৈরি করা কেক আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির দিনে মজার মজার খাবার খেতে কিন্তু ভালো লাগে । আর এসব খাবার যদি নিজের হাতে তৈরি করা হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে ।আপনি মজাদার একটি কেক তৈরি করছেন দেখে ভালো লাগলো । আর এ ধরনের কেকগুলো বাসায় তৈরি করে খেতে কিন্তু ভালই লাগে ।
জি আপু মজার মজার খাবার বৃষ্টির দিনে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার প্রশংসা মুখরিত মতামত শেয়ার করার জন্য।
ঘরোয়া উপায়ে মজাদার কেক তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে বোধহয় অনেক সুস্বাদু হবে। কিভাবে মজাদার কেক ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা যায় সেটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি নিজের হাতে তৈরি করা কোন জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি আজকে চমৎকার লোভনীয় করে একটি কেক বানিয়েছেন লাভ আকৃতির কেকটি চমৎকার লাগছে দেখতে । খেতে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা কেক তৈরি পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধাপে ধাপে কেক তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার তৈরি করা কেকটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।