রেসিপিঃ মাংসের স্বাদে রান্না মজাদার ঘ্যাটকল রেসিপি।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি মাংসের স্বাদে ঘ্যাটকল ভাজি রেসিপি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের মাঝে।রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ও শিখতে ভালো লাগে। আশা করছি আমার এই রেসিপি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দেয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরন | পরিমান |
---|---|
ঘ্যাটকল | ৫০০ গ্রাম |
পেয়াজ | ২ টা |
রসুন | ১ টি |
কাঁচা মরিচ | পরিমান মতো |
দারুচিনি | পরিমান মতো |
এলাচ | ৪-৫ টা |
সরিষা | ১ টেবিল চামচ |
জিরা | হাফ চামচ |
তেজপাতা | ৩-৪ টা |
প্রথমে আমি ঘ্যাটকল গুলা সুন্দর করে এর উপরের আঁশ গুলা ছাড়িয়ে নিয়েছি। এর উপরের আঁশ খুব ভালো করে ছাড়িয়ে নিতে হবে কারন এগুলো থাকলে গাল চুলকাই।
এভার ঘ্যাটকল গাছের ডাটা গুলা একটি ব্লেন্ডারে ভেতর দিয়ে সুন্দর করে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। খুব বেশি ব্লেড করা লাগবে না ৩০-৪০ সেকেন্ডে ব্লেড করলেই হয়ে যাবে। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে আমি ঘ্যাটকলের পেস্ট একটি বাটিতে রেখেছি।
এবার আমি তেজপাতা ও দারুচিনি বাদে বাকি উপকরণ গুলা খুব সুন্দর করে শিলে বেটে নিয়েছি। খুব সুন্দর করে মিহি করে বেটে নিতে হবে যাতে করে মোটা দানা দানা না হয়ে থাকে।
এরপর আমি একটা পরিষ্কার কড়াই নিয়ে নিয়েছি এর ভেতর ঘ্যাটকল বাটা দিয়ে নিয়েছি।
এরপর আমি বেটে রাখা মসলা গুলা দিয়ে নিয়েছি। পরিমান মতো হলুদ ও স্বাদ মতো লবণ দিয়ে সুন্দর করে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। এই সময় চুলার জ্বাল মাঝারি আঁচে রাখতে হবে।
সব রকম মসলা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দেয়ার পর এবার আমি পরিমান মতো সয়াবিন তেল দিয়ে নিয়েছি। আপনারা চাইলে সরিষার তেল দিয়ে রান্না করতে পারেন এতে করে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেশি হবে। আমার বাসার কেউ সরিষার তেল খাই না তাই আমি দেই নাই। আপনারা চাইলে সরিষার তেল দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। এরপর আমি বাকি তেজপাতা গুলা হাত দিয়ে ছিড়ে এর ভেতর দিয়ে দিয়েছি। এরপর বেশ কিছু ক্ষন চুলার উপর রেখে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।
অনেকক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করার পর লক্ষ্য করবেন যে তরকারির রঙের অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। ঘ্যাটকলের কালার সবুজ থেকে কালচে রঙ ধরন করেছে। কালচে রং ধারণ করলে মনে করতে হবে এটা তৈরি হয়ে গেছে।
পোস্টের বিষয় | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
ঘ্যাটকল কি? আমি চিনতে পারে নি এই বিষয়টা যদি জানাতেন। ঘ্যাটকল মনে হয় কচুর শাকের ডাটা হবে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ঘ্যাটকলের পাতা নেই জন্য চিনতে পেলাম না তবে অনেক পরিচিত লাগলো।আন্দাজ করতে পারছি চামঘাস কিংবা দুধ কচু হতে পারে।যাই হোক না কেন ভীষণ চমৎকার রেসিপিটি।রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ঘ্যাটকল রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
কচুর ডাটা দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই ধরনের খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক দক্ষতার সাথে এই রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমবারের মতো আপনার মাধ্যমে এমন অদ্ভুত এক রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম।
আসলে এভাবেও যে লোভনীয় খাবার প্রস্তুত করে খাওয়া যায় কখনো আইডিয়া করতে পারেনি।
তবে আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি এবং বর্ণনা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার তৈরি রেসিপিটি আপনার মনে ধরেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। তবে রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সময় পেলে বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবেন খেতে অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘ্যাটকল নামটা প্রথম শুনলাম। দেখে মনে হচ্ছে কচু জাতীয় কিছু। যাইহোক ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব দারুন ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সময় পেলে বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবেন খেতে অনেক ভালো লাগবে ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো! ঘ্যাটকল ভাজির রেসিপিটি খুবই অনন্য এবং মুখরোচক। আপনি প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন যে, এটি পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমি নিজেই রান্না করছি। আপনার এই দক্ষতা ও সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ এমন চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার প্রশংসা মুখরিত মতামত শেয়ার করার জন্য।
ঘ্যাটকলের তরকারি আমার অনেক পছন্দ। বেশি করে ঝাল,তেল দিয়ে সুন্দর করে ঘ্যাটকল রান্না করলে গোশতের স্বাদ কেউ হার মানাবে। আপনি মাংসের স্বাদে মজার ঘ্যাটকল রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপনি ঠিকই বলেছেন ঘ্যাটকলের তরকারিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।তবে আপনি এই তরকারিটা খেতে অনেক পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ।
গরম ভাতের সাথে ঘ্যাটকল খেতে অনেক মজা লাগে। সু স্বাগতম আপনাকে।
জি আপনি ঠিকই বলেছেন।
মাংসের চেয়েও এই খাবারগুলো বেশি ভালো লাগে খেতে। আর আপনি এত সুন্দর করে রান্নার পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। সত্যি আপু এই ধরনের খাবারগুলো খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখেও খুবই ভালো লেগেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা একদমই নতুন রেসিপি আমার কাছে, প্রথমে তো নাম শুনে অবাক হয়েছি তারপর ইউটিউব সার্চ দিয়ে চেনার চেষ্টা করেছি ঘ্যাটকলকে, হি হি হি।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ঘ্যাটকল খেতে অনেক টেস্ট লাগে।এই রেসিপির নাম শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই এক এক এলাকার মানুষ একাক নামে পরিচিত এই রেসিপিটির সাথে।আপনি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে চিনতে পারছেন কি।