world book day তে বাচ্চাদের এক্সাইটমেন্ট, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ World book day, বই পড়ার বিকল্প কিছুই নেই।এই দিনটি ইংল্যান্ডে খুব ভালভাবেই উদযাপন করা হয়, বিশেষ করে বাচ্চাদের স্কুলে। প্রায় একমাস আগে স্কুল থেকে ইমেইল পাঠানো হয়, বাচ্চাদের ফেভারিট বই এর সাথে Costume পড়ে আসার জন্য।সেদিন থেকে বাচ্চারা খুবই এক্সাইটেড থাকে। এই দিনটিতে স্কুল থেকে তাদেরকে কুপনও দেয়া হয় বই কেনার জন্য, যেন তাদের বই এর প্রতি আগ্রহ জন্মে।
আমি একটি জিনিস লক্ষ্য করেছি ইংল্যান্ডের মানুষেরা খুবই বই প্রেমি। এই জিনিসটি লক্ষ্য করতে পেরেছিলাম প্রায় দশ বছর আগে যখন ট্রেনে যাতায়ত করতাম। ট্রেনে উঠলেই প্রাই প্রতিটি লোকের হাতেই বই, সবাই ব্যস্ত থাকতো বই পড়ায়। এখন স্মার্ট ফোনের কারনে এই সংখ্যাটি অনেক কমে এসেছে। তাছাড়া লাইব্রেরীগুলোতে গেলেও দেখা যায় প্রচুর পাঠকের সমাহার, লোকজন সবসময় ব্যস্ত থাকে বই নেওয়া আর জমা দেয়ার মাধ্যমে। আমিও মাঝে মাঝে বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাই লাইব্রেরীতে তাদের পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করতে। ওরাও লাইব্রেরী খুব পছন্দ করে, পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করতে পেরে খুবই খুশি হয়।
ওয়ার্ল্ড বুক ডে তে তাদের পছন্দের বইয়ের সাথে পছন্দের কস্টিউম।
ওরা আজকের দিনটির জন্য খুবই এক্সাইটেড ছিল, একজনের পছন্দের বুক হচ্ছে Elsa, এ জন্য সে পরিধান করেছে Elsa dress, আর একজনের পছন্দের বই হচ্ছে Elena এবং ladybug. তবে বেশি পছন্দের ছিল ladybug কিন্ত এই কস্টিউম টি ঠিক টাইমে জোগাড় করতে পারিনি তাই সে এলেনা ড্রেস পরিধান করেছে। ড্রেসগুলো অর্ডার করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল তাই খুব টেনশনে ছিলাম ড্রেসগুলো কি তিন তারিখের আগে আসবে? কিন্তু ভাগ্য খুবই ভালো যথাসময়ে ড্রেসগুলো পেয়ে গিয়েছি, দুদিন আগেই ড্রেসগুলো চলে এসেছিল। যাই হোক আজকে তারা খুবই খুশি ছিল, স্কুলের প্রতিটি বাচ্চারাই তাদের পছন্দের বইয়ের সাথে মিলিয়ে costume গুলো পড়ে এসেছিল, দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিলো।
যাই হোক বই হচ্ছে সকল জ্ঞান অর্জনের ভান্ডার, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বইয়ের সাথে সম্পর্ক রাখা। যদিও বইয়ের জায়গাটি স্মার্টফোন দখল করে নিয়েছে। সারাক্ষণ স্মার্ট ফোন নিয়ে বসে থাকলে প্রেসার পরে ব্রেইন এ, সেই কথাটি আমরা সকলেই ভুলে যাই। বিশেষ করে আমি বেশিক্ষণ মোবাইল ইউজ করতে পারিনা, একটু বেশি ইউজ করলেই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।তাই শুধু এ কথা বলেই শেষ করতে চাই, আমাদের উচিত মাঝে মাঝে ফোন রেখে বই এর সাথে কিছুটা সময় ব্যায় করা।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
দুজনকেই জাস্ট পরির মতো লাগছে এক কথায়।
ধন্যবাদ আপু তোমাকে।
একদম বাস্তব সত্য কথা আপু আমরা বই পড়ার ব্যাপারটা অনেক কমিয়ে দিয়েছি। স্মার্টফোনের যুগে এসে সবাই সারাক্ষণ ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। ইংল্যান্ডের মানুষ বই প্রেমী। আমাদেরও উচিত বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আর আপু দুজনের ড্রেস অনেক সুন্দর আর দুজনকেই মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার লেখাটি পড়ে ওয়ার্ল্ড বুক ডে সম্পর্কে মজার কিছু অভিজ্ঞতা পেলাম জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন শুধু বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাই নয় বই আমাদের প্রকৃত বন্ধু হওয়া উচিত এইটা আমারও বিশ্বাস। লেডি বাগ কস্টিউমটা পড়ে কেমন লাগতো আমি জানিনা কিন্তু এলিনা ড্রেসটা পরে খুব চমৎকার লাগছে এত টুকু বলতে পারি। ধন্যবাদ আপু মজার কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া কষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
বিশ্ব বই দিবস আগে অনেক শুনেছি। কিন্তু আমাদের দেশের স্কুল কলেজে এই দিনটা সেরকম পালনই করা হয় না। সেরকম কেউ জানেই না। এটা বড়ো আফসোসের কথা। যাইহোক আপনি ঠিকই বলেছেন আপু বই পড়ার বিকল্প কিছু নেই। যদিও এখন বই পড়ার প্রতি আমাদের জেনারেশনের কোনো ঝোক নাই। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ছিল। আপনার। বাচ্চারা খুব উপভোগ করছে দিনটা।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য।
ওয়ার্ল্ড বুক ডে আমাদের দেশে তেমন ভাবে পালন করা হয় না ।আমাদের দেশে এ সম্পর্কে অনেকেরই কোন জ্ঞান নেই বললেই চলে ।আপনাদের ওখানে বাচ্চাদের আনন্দ দেয়ার খুবই ভাল একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ।এতে বাচ্চারাও যেমন বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে তেমনি তারা মনের দিক থেকে অনেক আনন্দ পায়। বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। বাচ্চাদের দেখতে পরীর মত লাগছে ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।