বাচ্চার সাথে স্পোর্টস ডে-তে কিছুক্ষণ সময় কাটানো, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি বাচ্চার সাথে স্পোর্টস ডে-তে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।গতকাল ছিল স্পোর্টস ডে, তাই সকাল সকাল বাচ্চাদের সাথে স্কুলে চলে যাই দিনটি উপভোগ করতে । হাজবেন্ডেরও আমার সাথে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু হঠাৎ করে শরীর খারাপ হওয়ার কারণে আমি একাই যাই। পরে বাসায় এসে করোনা টেস্ট করে দিখি সে করোনা পজেটিভ।এ বার দিয়ে মোট তিন বার করোনায় আক্রান্ত হলো সে, আজকে একটু ভালো আছে। যাই হোক এবার আসল বিষয়ে আসি, কেমন ছিল স্পোর্টস দিনটি ? চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।
বাচ্চাদের সাথেই স্কুল ট্যাক্সিতে করে স্কুলে চলে যাই। স্কুল ট্যাক্সি অনেক বড়, সিট সবসময় ফাঁকা থাকে। যখনই স্কুলে কোনো দরকার হয় তখনই ট্যাক্সিতে করে চলে যাই, কোন সমস্যা হয়না যেতে। স্কুলে যাওয়ার পর এক ঘন্টা অফিসে বসে ছিলাম, কারণ স্পোর্টস শুরু হতে আরো এক ঘন্টা বাকী ছিল। অবশেষে একঘন্টা পরে স্কুল ফিল্ড এর গেট খুলে দেওয়া হলো।
স্কুল ট্যাক্সি।
স্পোর্টস মাঠে বাচ্চারা।
স্পোর্টস ডে তে এসে আমার ছোটবেলায় স্কুলে কাটানো স্পোর্টস ডে এর দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। এখানকার স্পোর্টস ডে আর বাংলাদেশের স্পোর্টস ডে এর মধ্যে রাতদিন পার্থক্য, কোন মজা নেই এখানকার স্পোর্টস ডে তে। এখানকার বেশিরভাগ খেলাই গ্রুপওয়াইজ হয় পার্সোনালি ২/১ একটা খেলা ছাড়া, ৭/৮ জন ছেলে-মেয়ে নিয়ে এক একটি গ্রুপ হয়।যে গ্রুপ বেশি পয়েন্ট অর্জন করবে সেই গ্রুপই উইন হবে ।এরপর উইন হলে কোনো প্রাইস দেয়া হয় না, শুধু মাত্র স্টিকার। এরপর আমার আর একটি কথা মনে পড়ে যায়, স্পোর্টস ডে তে সারাদিন সবাই অনেক মজা করতাম ,অনেক সুন্দর সুন্দর গান বাজানো হতো, নানান ধরনের মজার মজার খেলা ছিল। আর সবচেয়ে বেশি স্পেশাল ছিল “যেমন খুশি তেমন সাজো”, খুবই উপভোগ করতাম এই পর্বটি ।এ দেশে এ ধরনের কোনো আয়োজন থাকে না। যাইহোক এখানে প্রায় ৭/৮ প্রকারের খেলা বাচ্চারা খেলে ছিল, যার মধ্যে কিছু কিছু সত্যিই খুবই উপভোগ করেছি বাচ্চাদের কান্ড দেখে। বাচ্চারা কিন্তু দারুণ উপভোগ করেছে এই দিনটি।
দৌড় প্রতিযোগিতা।
দৌড় দিয়ে এপ্রোন পড়ে, মাথায় ক্যাপ পড়ে যে সবার আগে যেতে পারবে সেই উইনার। উপরের এই খেলা দুটি ছিল ইন্ডিভিজুয়াল, আর বাকি সবগুলোই ছিল গ্রুপওয়াইজ।
অবশেষে স্পোর্টস শেষে সকল বাচ্চাদেরকে আইসক্রিম বিতরণ করা হয়।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
@tipu curate
আপু এটা খুবই হতাশাজনক বিষয়।এখন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ও করোনা হচ্ছে।তাই সকলের সাবধানে থাকা উচিত, খেলার বিষয়গুলি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ।ভালো লাগলো মাথায় ক্যাপ দৌড় প্রতিযোগিতাটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চার সাথে স্পোর্টস ডে-তে কিছুক্ষণ সময় কাটানো মুহূর্ত খুবই ভালো ছিলো, ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। সত্যিই বাচ্চাদের সাথে এই মুহূর্তগুলো কাটাতে পেরে আপনার নিশ্চয়ই অনেক বেশি ভালো লেগেছে, আর একটা বিষয় খুবই দুঃখজনক ভ্যাকসিন দেওয়া পরও করোনা হচ্ছে, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
ভিন্ন পরিবেশ ভিন্ন সংস্কৃতি। তাদের স্বাদটাও হয়তো ভিন্ন তাই আপনার মনের মত হয়নি। নিজের দেশের মত প্রিয় আর কোন দেশ আর কোন সংস্কৃতি প্রিয় হতে পারে না।
তারপরেও বাচ্চাদের আনন্দ উদ্যাপন দেখে ভাল লাগলো।
ব্যাথিত হলাম ভাইয়ার তৃতীয় বারের মত করণা হওয়ার কথা শুনে।
ভাইয়ার অবস্থা আমার জনের মত। করোনা রাশি। বার বার করোনা আসে। আসলেই আপনার বর্ণনা শুনে ছোটবেলার স্পোর্টস ডে এর কথা মনে পড়ে গেল। স্পোর্টস ডেতে আমাদের স্কুলগুলোত এত সুন্দর ভাবে সাজাতো যে দেখতেই ভালো লাগতো। এখানে তো কোন সাজসজ্জাই নেই। তারপরও বাচ্চারা উপভোগ করেছে সেটাই অনেক। ভালো একটি সময় কাটিয়েছে বাচ্চারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আমাদের ভাইয়া অসুস্থ শুনে খারাপ লাগলো। বর্তমানে করোনার প্রকোপ আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। দোয়া করছি তিনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তবে যাই হোক আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার বাচ্চাদের স্কুলের স্পোর্টস ডের সুন্দর মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। যেমন খুশি তেমন সাজো এই পর্বটি সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে খেলাধুলা শেষে বাচ্চাদেরকে আইসক্রিম বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ বিষয়গুলো কখনোই দেখতে পাওয়া যায় না। আপনার বাচ্চাদের জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপু।
এই সংবাদটি শুনে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো আশা করি সৃষ্টিকর্তা ভাইয়াকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিবেন।
বাচ্চাদের সাথে স্পট ডে তে সময় কাটানোর খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করলেন আপু। এই ধরনের পরিবেশের মধ্যে খেলাধুলা করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। নিজেদের মধ্যেই যেন কেমন একটা জোশ চলে আসে এই সকল পরিবেশ দেখে।