পতাকা অবমাননা নয়, প্রতিহিংসা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
সাম্প্রতি টেলিভিশন ও মিডিয়াগুলো তে চোখ পরলেই দেখতে পারছি বাংলাদেশের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হিংসা ও বিদ্বেষ চরম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।প্রতিহিংসামূলক কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে।সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে দেখে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা। জাতীয় পতাকা প্রতিটি দেশের জন্য গর্ব এবং পরিচয়ের প্রতীক।একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন সত্তা হিসেবে পতাকা হলো বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত একটি প্রতীকী রূপ এবং পবিত্র আমানত। তাছাড়া জাতীয় পতাকা একটি দেশের সামগ্রিকভাবে পরিচয় বহন করে থাকে। কেননা একটি পতাকা দেখে সহজেই বলা যায় এটি কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। আসলে পতাকার এই কাপড়টি একখণ্ড কাপড় হলেও এটি কোন সাধারণ কাপড় নয়, এটি আমাদের জাতীয় সত্তা।আর এই জাতীয় সত্তাকে অবমাননা করা আপনি, আমি, পৃথিবীর কেউই সহ্য করতে পারবেনা এবং করার কথাও না যদি সে প্রকৃত দেশ প্রেমিক হয়।
পতাকা অবমাননা বন্ধ করা এবং একে অপরের জাতীয় প্রতীককে সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আসলে ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আর এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে দীর্ঘদিন খুব ভালো একটি সম্পর্ক ছিল আমাদের।কিন্তু সাম্প্রতিক দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন দিনের পর দিন শত্রুতায় পরিণত হচ্ছে।আর ঘটিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নানান ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা।কিন্তু আমরা যারা শান্তি প্রিয় সাধারণ জনগণ, এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পক্ষে নই। চাই আমাদের প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক।
ভারত হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ।সবসময় বিপদ-আপদে একে অন্যের পাশে থাকে। কিন্তু এই সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে দুই দেশের সেতু বন্ধন আজ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে।তাই আমাদের সকলেরই হিংসা ও বিদ্বেষের পরিবর্তে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।পতাকা অবমাননা বন্ধ করতে এবং একে অপরের জাতীয় প্রতীককে সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পতাকা অবমাননায় কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।সকল নোংরা কার্যকলাপ থেকে আমাদের সকলকে দূরে থাকতে হবে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
হিংসা বিদ্বেষ কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। হিংসা, দ্বন্দ্ব যেমন সমঝোতা কিংবা বন্ধুত্ব নষ্ট করে তেমনি সব সময় সবকিছুতে খারাপ দিকেই যায়। পতাকা অবমাননা করা সত্যিই অনেক জঘন্য কাজ। আপু আপনি দারুন ভাবে নিজের কথাগুলো তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমিও দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করার প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যেকোনো দেশের জাতীয় পতাকা সেই দেশের আত্মসম্মান আর সেই আত্মসম্মানের প্রতি দুর্ব্যবহার করা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ নয়। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে হেদায়েত দান করুক যেন সবাই নিজেদের ভুল বুঝতে পারে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, হিংসা বিদ্বেষ কখনো ভালো কিছু নিয়ে আসে না। আমরা চাই প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। পতাকা অবমাননা কোনোভাবেই কামনা করি না। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে যেন আবারো এক হতে পারি সেটাই কামনা করছি।
সত্যি ই আপু হিংসা কেবল প্রতি হিংসার জন্ম দেয়।হিংসা,বিদ্বেষ কখনো ই কাম্য নয়।প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে হবে।আর প্রতিটি দেশের পতাকা সেই দেশের সম্মান,গর্ব।আমাদের কারোই সেই পতাকাকে অবমাননা করা ঠিক নয়।
সবকিছু ধ্বংস করার জন্য হিংসা বিদ্বেষ এগুলোই যথেষ্ট। ভারত আমাদের একেবারে নিকটতম প্রতিবেশী। আর আমাদের উচিত আগে যেরকম সুন্দর সম্পর্ক ছিল, এখনো তেমনভাবেই সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা। পতাকা অবমাননা করা একেবারে জঘন্যতম একটা কাজ। একেবারে কারোরই উচিত না পতাকা অবমাননা করা।
প্রতিহিংসা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না,এটা একেবারে সত্যি কথা। তাই আমাদের উচিত হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে, সুসম্পর্ক বজায় রাখা। এতে করে উভয় দেশের মঙ্গল হবে। কারণ প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।