বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানো পর্ব : ১৩ ( sea beach)
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমাদের এখানে কিন্তু অনেক শীত পড়ে গিয়েছে। আর এই শীতের সিজনে বেশি প্রবলেম হচ্ছে বৃষ্টিপাত।গ্রীষ্ম থেকে থেকে শীতের সময়ে এ দেশে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।খুব বেশি প্রবলেম হচ্ছে বাচ্চাদেরকে স্কুলে আনা নেয়া করতে।সারা দিন চলে যাচ্ছে বাচ্চাদেরকে স্কুলে আনা নেয়া করতে। এরপর আবার টাইম চেঞ্জ হয়েছে তাই সামান্য কিছু সময় পাই দিনের বেলায়।দিনের বেলায় কমিউনিটির কোন কাজ ই করার সময় পাইনা।যাবতীয় কাজ করি রাতের বেলা ঘরের কাজ সেরে, বাচ্চাদেরকে বেড এ দিয়ে।যাইহোক এবার চলে যাচ্ছি মূল পর্বে। আবার অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোর Eastbourne Sea beach সিরিজ এর ষষ্ঠ পর্ব নিয়ে।দেখতে দেখতে এখানকার ৬ টি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি।হ্যাঁ বন্ধুরা গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বাচ্চাদের সমুদ্রের পানিতে উপভোগ করা কিছু ফটোগ্রাফি। আজকের পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব পাখিদের সমুদ্রের পাড়ে উপভোগ করা কিছু ফটোগ্রাফি। এই সমুদ্রের প্রধান সৌন্দর্য হচ্ছে এর পানিগুলো নীল।আর সবচেয়ে উপভোগ্যের জিনিস হচ্ছে এখানে অসংখ্য পাখি উড়ে বেড়ায় যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। পাখিগুলোও বেশ বড় বড়। লোকজন পাখিগুলোকে খাবার ছিটিয়ে দিচ্ছে, আর পাখিগুলো উড়ে উড়ে এসে খাবারগুলো খাচ্ছে।দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল। ইংল্যান্ডের চারিপাশেই কিন্তু সাগর। আর প্রতিটি সাগরেই কিন্তু পাখির আনাগোনা দেখা যায়।
নীল আকাশ, নীল সমুদ্র, আর উড়ে যাওয়া পাখি গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। আমরা বেশ কয়েক ঘন্টা সেখানে কাটিয়েছি।খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম।বাসা থেকে বিরিয়ানি বানিয়ে নিয়ে ছিলাম। সমুদ্রের পাড়ে চাদর বিছিয়ে আমরা খাবার গুলো সেরে ফেলি।বাসা থেকে চাদর নিয়ে গিয়েছিলাম বিছানোর জন্য। আটজন সদস্যের ছোটখাটো একটি পিকনিক হয়ে গেলে সমুদ্রের পাড়ে। ঐদিন হাজবেন্ডের অফ ডে ছিল, আর বাচ্চাদের স্কুল ছিল না তাই কোন তাড়াহুড়ো ছিল না।তাই সেখান থেকে হেঁটে আরও কিছু এলাকা আমরা পরিদর্শন করি। পরবর্তী পর্বগুলোতে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাইহোক আজকে আর কথা না বাড়িয়ে পাখিদের ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করা যাক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
নীল আকাশে পাখির উড়ন্ত ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার লাগছে তাই না? জুম করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
পাখিগুলো কিন্তু আকারে অনেক বড়।দেখতে কিছুটা আমাদের দেশের পায়রার মত।
বন্ধুরা আশা করি আজকের পর্বটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। আগামী পর্বে সমুদ্র সৈকতের আরও কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।আজ তাহলে এতটুকুই।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
Location |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নীল আকাশে বড় বড় পাখি গুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। তার মজার বিষয় হলো ওদেরকে খাবার ছিটিয়ে দিলে ওরা খেতে আসে। ছুটির দিনে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজা অন্যরকম। সমুদ্রের পানি নীল হাওয়ায়ও খুব সুন্দর লাগছে। যদি এই সুন্দর সমুদ্রের পাশে বসে আহার বিছানা বিছিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে করতে পারতাম 🥺
বাচ্চাদের স্কুলের হলিডে উপলক্ষে ঘুরতে গিয়েছেন এটা যেটা খুবই ভালো লাগলো এবং সমুদ্রের পাড়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। সমুদ্রের পাড়ে কাটানো মুহূর্তগুলো বরাবরই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হয় যেটা কক্সবাজার গিয়ে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। সমুদ্রের পাড়ে বসে উড়ে যাওয়া পাখি দেখেছেন এবং সেখানে গিয়ে কয়েক ঘন্টা সময় কাটানোর পাশাপাশি বিরিয়ানি খেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনাদের ওখানে এখন প্রচুর শীত বললেন।আর শীতে বৃষ্টি হওয়ার মানেই তো শীত বৃদ্ধি পাওয়া।তবে তো খুব কষ্টের।আপনি আজ স্কুল হলি ডের পর্ব শেয়ার করলেন। সমুদ্র পাড়ের সুন্দর অনুভূতিগুলো সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এটা ঠিক বলেছেন সমুদ্র পাড়ের মূল আকর্ষন হলো পাখি।এই পাখিগুলো কিছুটা বড় বললেন।আর দেখতে পায়রার মতো।তবে তো ভালোই। সুন্দর ফটোগ্রাফি আর সুন্দর বর্ননায় ভীষণ ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ওখানে শীতের সময় তাহলে বৃষ্টি বেশি হয়। প্রথমত বৃষ্টি তার উপর আবার শীত অসুবিধা তো হবেই। আবার বাচ্চাদের স্কুল। ওখানের ঠান্ডা তো আমাদের এখান থেকে অনেক বেশি। নীল সমুদ্র নীল আকাশ পাখি উড়ে যাচ্ছে এ যেন একেবারে মনমুগ্ধকর একটা দৃশ্য। যেটা দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ ছিল আপু। আপনার লেখা পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ দারুণ লাগল। অনেক সুন্দর ছিল স্কুল হলিডে তে ঘোরাঘুরির এই পোস্ট টা।
সমুদ্রের পানি নীল হলে দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। সমুদ্র সৈকতে পাখি উড়লে খুব ভালো লাগে দেখতে। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। নীল সমুদ্রের পানি, নীল আকাশ এবং এতগুলো পাখি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। সবমিলিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টিপাত হলে স্কুলে যাওয়া আসা সত্যি অনেক মুশকিল হয়ে যায়।আর যেহেতু এখন দুজনের স্কুল আলাদা তাই তো আনা নেওয়া করতে অনেকটা সময় লাগে। ছুটির দিনে বেড়াতে গিয়েছিলেন আর দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। পাখি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।