মজাদার পুঁটি মাছের রেসিপি(10 beneficiary @shy-fox)
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি বাঙালির অতি পরিচিত মজাদার পুঁটি মাছের রেসিপি নিয়ে।এই মাছটি বছরের সবসময়ই পাওয়া যায় এখানে, অবশ্য শুধু পুঁটিমাছ নয় বাংলাদেশি সকল ধরনের মাছ এদেশে সবসময় ফ্রোজেন হিসেবে পাওয়া যায় । অনেকেই আবার পুঁটি মাছের ঝোল বেশি পছন্দ করেন কিন্তু আমার কাছে ঝোল থেকে ভাজি বেশি ভালো লাগে ।তাই আজকে আমি আমার পছন্দের পুঁটি মাছ ভাজি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।
চলুন দেখা যাক খাবারটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ লাগবে?
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পুঁটি মাছ | এক প্যাকেট |
পেঁয়াজ কুচি | দেড় কাপ |
কাঁচা মরিচ | ২/৩টি লম্বা করে কাটা |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃচাঃ |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | ২ টেবিল চামচ |
ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
কার্যপ্রণালী : ধাপ ১
প্রথমেই পেঁয়াজ ,কাঁচা মরিচ এবং ধনেপাতা কেটে নিয়েছি ।এরপর মাছগুলোর বরফ ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। মাছগুলো কাটা ছিল এবং আঁশও পরিষ্কার করা ছিল তাই আমাকে আর কাটতে হয়নি, আমি শুধু ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।তারপর মাছগুলোকে হলুদ গুঁড়া এবং লবন দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি ভাজার জন্য।
কার্যপ্রণালী : শেষ ধাপ :
প্রথমেই মাছগুলো তেলে ভেজে নিয়েছি এবং মনে রাখতে হবে মাছগুলো একটু মুচমুচে করে ভাজতে হবে নরম হলে ভাজিটা ততটা ভাল লাগেনা ।এরপর একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ নিয়ে ভালোভাবে নেড়ে হলুদ দিয়ে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি ৫/৬ মিনিটের জন্য । এই প্রক্রিয়াটি সময় নিয়ে আস্তে আস্তে করতে হবে, চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিলে পেঁয়াজগুলো পুড়ে যাবে তাই খুব কম আঁচে এগুলো ভাঝতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বাদামি কালারের হয় । এরপর যখন বাদামী বর্ণের হয়ে যাবে তখন লবন দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ভাজা মাছগুলো এরমধ্যে দিয়ে অল্প আঁচে আরো ২/৩ মিনিট নেড়ে নিতে হবে। এরপর ধনেপাতা দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেল আমার মজাদার পুঁটি মাছ ভাজি।
প্রক্রিয়াগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
পরিবেশনের জন্য এনেছি.
ডিভাইস | আইফোন টেন এক্স ম্যাক্স |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tangera |
আশা করি আমার এই আজকের আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
পুঁটি মাছ খুবই পুষ্টিকর।আমাদের বাড়ির সামনে ক্যানেল থেকে আমরা এই পুঁটি মাছ ধরে খাই।খুবই ভালো লাগে ভাজি কিংবা ঝোল খেতে।সুন্দর রেসিপি ।ধন্যবাদ আপু।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
ডাল ভাত দিয়ে আর ভাজা পুটি মাছ দিয়ে খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ একটা রেসিপি। আমার মা বলে পুটি মাছ খেলে নাকি চোখের জতি বাড়ে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
পুঁটিমাছ আমি তেমন একটা খেতে পারিনা কারন আমার থেকে তেতো লাগে তাই আমি পুটি মাছ খুবই কম খাই।
তবে আপনার রেসিপি প্রেজেন্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
খাটি দেশী মাছ।যেমন স্বাদ,তেমনি রান্নাটাও বোধয় জমিয়ে করেছেন।ধন্যবাদ,শুভ কামনা রইলো। 😊
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
পুঁটি মাছ আমার বেশ পছন্দের একটি খাবার। পুঁটি মাছের রেসিপি নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দেশি মাছ বলে কথা। রেসিপি দেখতে যেমন বাঙাল বাঙাল তেমনি খেতেও।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
আপনার রেসিপিটা খুব সুন্দর ছিলো।পুঁটি মাছে অনেক পুস্টি বিদ্দমান থাকে।শুভকামনা আপনার জন্য আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পুটি মাছ আমার খুব পছন্দের আপু। গরম গরম ভাতের সাথে পুটি মাছ ভাজা খেতে মজা লাগে। মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক কথা বলেছেন বৌদি, গরম গরম ভাতের সাথে আমারও খুব ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রথম ছবিতে দেখেই জিভে জল এসে গেছে। আসলে দেখে বুঝা যাচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে এবং এখন খুব কম ছোট মাছ পাওয়া যায়। আর অনেকেই কষ্ট হয় বলে এ মাছগুলো কিনে কাটতে চান না। তাই এতো সুস্বাদু স্বাদ উপভোগ করা হয় না। আপনি অনেক চমৎকার করে শেয়ার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে যেন কষ্ট করে হলেও এরকম ছোট মাছ কেটেকুটে রান্না করে খাওয়া উচিত।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, কিন্তু আমার অত কষ্ট হয়নি মাছ গুলো কাটাই ছিল।
কে কাটলো?