হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হসপিটালের ইমার্জেন্সি ইউনিটে
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার গলব্লাডারে স্টোন এর প্রবলেম রয়েছে। প্রায়ই ব্যথা হয়, কিন্তু যখন ডক্টরের কাছে যাই তখন ডক্টর বলে খুব বেশি ব্যথা না হলে অপারেশনের দরকার নেই।এ কারণে এক মাস আগে যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম সে ডাক্তার বলল তার নিজেরই নাকি এই স্টোন এর প্রবলেম রয়েছে। সে এখনও অপারেশন করে নি।আরও বলল কেন আমার শরীর থেকে একটি পার্ট বাদ দিতে হবে? যতদিন ভালো থাকা যায় ততদিন দরকার কি অপারেশনের।এছাড়া আমাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলল গলব্লাডারের কাজ কি।তাই সে আমাকে কিছু টিপস দিল কি কি খেতে হবে, আর কি কি বাদ দিতে হবে।অপারেশনের কোন কথাই বলল না।মাঝে মাঝে আমার প্রায়ই ব্যথা হয়। ইদানিং প্রায় সময়ই খুব বেশি ব্যথা হচ্ছিল।তবে গতকাল রাতে অবস্থা বেশি খারাপ ছিল।সন্ধ্যা সাতটা থেকে ব্যথা শুরু হয়। তখন দ্রুত দুটি প্যারাসিটামল খেয়ে নিই।প্যারাসিটামল খাওয়ার পর এক ঘন্টার মত শরীর বেশ ভালই ছিল। কিন্তু আবার হঠাৎ করে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। ব্যথা কমছিলই না। এরপর বেডে যাই ঘুমোতে। কিন্তু ঘুম আর কোথায়? ব্যথার যন্ত্রণায় সারারাত শুধু ছটফট করেছি। মনে হচ্ছিল তখনই হসপিটালে যাই। কিন্তু অনেক রাত বাচ্চা দুজনকে কোথায় রেখে যাব। অনেক কষ্টে ব্যাথা চেপে রাত কাটালাম।
এরপর সকালে উঠে নাস্তা করে বাচ্চাদের খাবার রেডি করে দিয়ে আমি আর আমার হাজব্যান্ড বেরিয়ে পড়লাম হাসপাতালের ইমারজেন্সি ইউনিটে।এই প্রথম বাচ্চা দুজনকে বাসায় একা রেখে গিয়েছিলাম। যেহেতু তারা বলল থাকতে পারবে তাই আর সাথে করে নিয়ে যাইনি।ইমার্জেন্সিতে গেলে একটি প্রবলেম, ৩-৪ ঘন্টার আগে সেখান থেকে ফেরা যায় না।কারণ সেখানে সব সময় অনেক রোগী থাকে, তাই দীর্ঘ লাইনে থাকতে হয়।এরপর নাম এন্ট্রি করে ওয়েটিং রুমে বসে থাকলাম।এরপর প্রায় এক ঘন্টা পর একজন এসে প্রেশার ও জ্বর মেপে নিল।সব কিছুই নরমাল পেল। এরপর আবার ওয়েটিং রুমে পাঠালো।এরপর আবার ৩০ মিনিট পরে আরেক জন নার্স এসে ব্লাড নিলো তিন সিরিঞ্জ।এরপর আবার ওয়েটিং রুমে দিল। এরপর আরও ৩০ মিনিট পরে ডক্টর ডাকলো।এরপর ডক্টর সব কিছু চেক করে বললেন অপারেশন দরকার।এরপর দুটি অপশন দিল। আমি কি আর্জেন্ট অপারেশন চাই? না আরো দুই এক মাস পরে চাই? আমি বললাম না আমি আর্জেন্ট চাই। তখন ডক্টর বললেন ঠিক আছে আমি আপাতত কিছু পেইন ক্লিয়ার ও এন্টিবায়োটিক দিচ্ছি।এরপর আমাকে ফোন অথবা মেইল করে জানানো হবে অপারেশনের ডেট।এর মধ্যে যদি ব্যথা না কমে অথবা অবস্থাটা বেশি খারাপ হয় তখন আবার হসপিটালে আসতে বললেন।
যাইহোক অনেক ধকল গিয়েছে আজ।বাসায় ফিরেছি দুপুর ৩:৩০ মিনিটে।বেশি কষ্ট লেগেছে আজ শুক্রবার, হাজবেন্ডের জুম্মার নামাজটি মিস হয়ে গিয়েছে।এখন দিন অনেক ছোট তাই আমাদের দুজনেরই জোহরের নামাজ কাজা হয়ে যায়।কারণ আছোরের নামাজ শুরু হয় দুইটা বিশ মিনিটে।মাগরিব শুরু হয় চারটা পাঁচ মিনিটে। মাগরিবের টাইমও প্রায় চলে এসেছিল।তাই দ্রুত যোহরের কাজা নামাজ শেষ করে আসর নামাজ পড়ে ভাত খেয়ে নিই।এরপর ডক্টর যে ওষুধ দিয়েছিল তা খেয়ে মোটামুটি এখন একটু ভালো আছি। ব্যথা যথেষ্ট কম রয়েছে এখন।এন্টিবায়োটিকের কোর্স ৫ দিন। দেখা যাক এরপর কি হয়? আর এখন শুধু অপেক্ষার পালা কবে অপারেশনের ডেট দেয়।কারণ এভাবে আর ভালো লাগেনা। হঠাৎ করে ব্যথা ওঠে খুবই অশান্তি লাগে, কষ্ট হয়। যাইহোক সকলে দোয়া করবেন দ্রুত অপারেশনের কাজটি যেন শেষ হয়ে যায়।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আমি জানিনা এই গলব্লাডারের অপারেশন ডাক্তার গণ কেন ফার্স্ট টাইম করাতে চান না। ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। যাই হোক সেটা উনারাই ভালো জানেন। তবে এত কষ্ট এবং ব্যাথা সহ্য করার পর অবশেষে আপনার অপারেশন করানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডক্টর শুনে ভালো লাগলো। ভালোর সাথে আবার বেজায় খারাপও লাগতেছে। স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা রইলো আপনার অপারেশন যেন সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং দ্রুত আপনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতে পারেন। আমাদের মাঝে পুনরায় যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারেন।
শুনেই খারাপ লাগলো আপু। সত্যি বলতে একমাত্র সেই বোঝে যে কিনা অসুস্থ্য থাকে। আপনি তো তাহলে বেশ ভুগছেন বিষয়টি নিয়ে। দোয়া রইল আপু বেশ তাড়াতাড়ি আপনার অসুস্থ্যতা দূর হয়ে যাক। এবং আপনি একটি সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসেন।
গলব্লাডারে স্টোন হলে সেটা অপারেশন না করা ছাড়া কোনো উপায়ই থাকেনা। কোনভাবেই কোন ওষুধেই সেই স্টোন কিডনি স্টোনের মত বেরিয়ে যায় না। কিন্তু স্টোন যতদিন থাকবে শরীরই ততদিন ভোগান্তির শেষ নেই৷ আমি ছাড়া আমাদের বাড়ির প্রায় প্রত্যেকেরই গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয়েছে। খুব একটা বড় কিছু না তাড়াতাড়ি করিয়ে নিন এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপু।আপনার অনেক আগেই গলব্লাডারের স্টোন আছে জেনেছিলাম। আসলে গলব্লাডারে পাথর হলে অপারেশন করা ছাড়া উপায় নেই।দোয়া করি আপু আপনার অপারেশনের দিনক্ষন ঠিক হয়ে যাক।অনেক দোয়া করি আপু।
শুনে খুব খারাপ লাগলো! গল ব্লাডারে প্রবলেমে ব্যাথা মারাত্নক। যত তাড়াতাড়ি পসিবল অপারেশন করে ফেলাটাই ভালো হবে আপনার জন্য। আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাকে দ্রত সুস্থ্যতা দান করে সেই দোয়া রইল আপু। 🌸
দ্রুত অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন আপু। কারণ হঠাৎ করে এমন সময় বেশি ব্যথা উঠবে তখন হসপিটালে যাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। আর বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আসলে দূরে একা একা বসবাস করার এই এক সমস্যা। বিপদের সময় কাউকে পাওয়া যায় না। বাচ্চাদেরকেউ একা রেখে যাওয়াটাও সমস্যা। তবে কি আর করার আপু। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু।
অপারেশন এর সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব ভালো করেছেন আপু। কারণ কয়দিন পর পর এমন ব্যথা উঠলে তো সমস্যা। আশা করি খুব দ্রুত অপারেশন এর কাজ সম্পন্ন হবে এবং আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো আপু।