আমার বাগানের ফলের আপডেট
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আজ আবার অনেকদিন পর আমার বাগানের আপডেট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। ইতিপূর্বে আপনাদের মাঝে আমার বাগানের অনেকগুলো এপিসিওড শেয়ার করেছি যেখানে ফুল, ফলসহ ভেজিটেবলের আপডেট ছিল। আজকে শুধু ফলের আপডেটগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আপনারা অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন আমার বাগানে অনেকগুলো ফলের গাছ রয়েছে, যেগুলোর ফুল ফোঁটা থেকে শুরু করে বড় হাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।তার মধ্যে কিছু কিছু ফল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে ছিল স্ট্রবেরি আর চেরি। এ দুটি ফল অনেক আগেই পেঁকে গিয়েছিল যা আপনাদের সাথে পূর্বে শেয়ার করেছিলাম।এখন বর্তমানে যে ফলগুলো রয়েছে সেগুলোর আপডেট আপনাদেরকে দিব।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
এই গাছটিতে সবচেয়ে বেশি আপেল ধরেছে।
প্রথমেই আপেল দিয়ে শুরু করে দিলাম। আমার বাগানে মোট চারটি আপেল গাছ রয়েছে।একটিতে কোনরকম আপেল ধরে, আর বাকি তিনটিতে ঝাঁপিয়ে আপেল ধরে।অনেক টেস্টি আপেল গুলো। এখনো পাঁকেনি আরো ১ মাসের মত সময় লাগবে পাঁকতে।এ দেশে বেশিরভাগ মানুষের গার্ডেনেই দুই একটি আপেল গাছ থাকে।পেঁকে পেঁকে নিচে পড়ে থাকে কিন্তু খাওয়ার কোন মানুষ নেই।আমারও ঠিক একই অবস্থা অনেক আপেল নিচে পড়ে থাকে। যদিও আমি চেষ্টা করি আত্মীয় স্বজন ও পারা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে।
এবার চলে এলাম আমার বাগানে আরেকটি ফল নিয়ে।ফলটি হচ্ছে পেয়ার।২টি পেয়ার গাছ রয়েছে আমার বাগানে।একটিতে বেশ ভালোই ধরেছে, কিন্তু অন্যটির অবস্থা খুবই খারাপ।মনে হচ্ছে গাছে কোন প্রবলেম হয়েছে।ফলগুলো বাড়তে পারছে না।অন্য গাছটি ঠিক রয়েছে। পেয়ার মোটামুটি পাঁকা শুরু করে দিয়েছে। গতকাল দুটি পেয়ার গাছ থেকে পেড়ে এনেছি। অনেকেই দেখেছি পেয়ার কে পিয়ারার সাথে মিলিয়ে ফেলেন। কিন্তু পেয়ার আর পিয়ারা এক নয়। তাই আমি কেটে আপনাদেরকে দেখিয়ে দিলাম।
একটি ফিগ গাছ রয়েছে আমার বাগানে।কোন কোন অঞ্চলে একে ডুমুর ও বলে।এবার সবচেয়ে বেশি ফল এসেছে আমার গাছে।তবে এখনো পাকেনি, আরো কিছুদিন সময় লাগবে।এই ফলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এমনকি কুরআনে এই ফলের নামে একটি সূরাও রয়েছে, সূরা তীন।বাজারে এই ফলের দাম অনেক বেশি।৪ টি ফলের দাম তিন পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৫০০ টাকার মত।
দুটি আঙ্গুর গাছ রয়েছে বাগানে, একটি লাল আঙ্গুর, অন্যটি সবুজ আঙ্গুর।এখনো অনেক ছোট রয়েছে, পাঁকতে আরো দুই মাস সময় লাগবে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার ছাদ বাগানের ফলের আপডেট। আপনার ছাদ বাগানে ফল গাছগুলোতে বেশ সুন্দর ফল ধরেছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপেল ফলগুলো বেশ ভালো মোটা হয়ে গেছে দেখে মনে হচ্ছে আর কিছুদিন পরেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। আঙ্গুর ফলগুলো ছোট্ট ছোট্ট সবকিছুই বেশ দারুন। আসলে যে কোন ফলের গাছ বাড়িতে লাগিয়ে খেতে পারলে সত্যি বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা ছাদ বাগান নয় ভাইয়া, এগুলো আমার বাগানে মাটিতে লাগানো।এ দেশে বাংলাদেশের মতো ছাদে ওঠার কোন সিস্টেম নেই, আর ছাদে কেউ বাগান ও করতে পারে না।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আগের একটা পোস্টে চেরি এবং স্ট্রবেরি ফল দেখেছিলাম আপনার বাগানের। আজকে অন্য বিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধরনের ফলের গাছ রয়েছে আপনার বাগানে। তীন ফলের গাছ রয়েছে দেখে ভালো লাগলো। এই ফলগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। পেয়ার এর নাম দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম পেয়ারা। তবে দেখছি এটা একদমই আলাদা ধরনের ফল। আপেল দেখছি অনেক হয়েছে। ধন্যবাদ আপু বাগানের আপডেটগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমবারের মত আপেল গাছ দেখলাম। আপেল গাছও দেখি পেয়ারা গাছের মতই। ওই দেশের খাওয়ার কেউ নাই শুনেই বুকটা খান খান করে ওঠে। আমাদেরকে হায়ার করে নিয়ে যেতেই তো পারে। কিন্তু তা করবে কেন?
আপনার বাগানের ফলের আপডেট দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপু। ফলগুলো ফটোগ্রাফি করে অনেক সুন্দর পরে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কিছু কিছু ফল আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিবেন। গাছের নিচেই পড়ে থাকার চেয়ে সবার মধ্যে বিলিয়ে দিলেই ভালো। তাহলে সবাই খেতে পারবে। মাশাআল্লাহ, আপনার কম বেশি সব ফলগাছে বেশ ভালো ফল ধরেছে দেখে ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী আপডেটগুলো জানার জন্য।
আপু,আপনার বাগান দেখতে আমার কিন্তু বরাবরই ভালো লাগে।আর আপনার বাগানের টাটকা ফলগুলো দেখেই তো লোভ লেগে গেল।এই পেয়ার ফলকে আমরা নাশপাতি বলি।আপেলগুলি দেখেই মনে হচ্ছিলো পেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলি,ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি নাশপাতি নয় আপু, নাশপাতিও রয়েছে এদেশে।পেয়ার আর নাশপাতির ভিন্ন স্বাদ।
ও আচ্ছা, কিন্তু আমাদের দেশে নাশপাতিগুলি দেখতে এমন-ই হয়ে থাকে আপু😊।
আপনার বাগানের আপডেট দেখে বেশ ভালো লেগেছে আপু। সত্যি কথা বলতে এত সুন্দর বাগান দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমারও ইচ্ছে করে বাগান করতে। কিন্তু বাগান করার কোন সুযোগ নেই আমার এখানে। এর আগে আপনার শেয়ার করা ফুলের বাগান দেখেছি বেশ সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি দেখেছি। আজকে অনেকগুলো ফলের বাগানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আপনার বাগানে বেশ সুন্দর ফল ধরেছে।
পেয়ার এবং পেয়ারা নাম দুটো কাছাকাছি বলে অনেকে হয়তো ভুল করে ফেলে। আপু আপনার ফলের বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপেল গুলো দেখে দারুণ লাগলো। সত্যি আপু এরকম সুন্দর একটি বাগানে যদি এরকম ফলের সমাহার থাকে তাহলে দেখেই মন ভরে যায়।
বাগান করতে আমারও খুবই ভালো লাগে। তবে আমার বাগানে ফলের গাছ নেই। বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ দেখে অনেক ভালো লেগেছে আপু। নিজের গাছের ফল খাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু আপনার বাগানের ফলের আপডেট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপেল গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। কতগুলো আপেল ধরে আছে গাছের মধ্যে। ত্বীন ফল বা ডুমুর পাকলে খেতে দারুণ লাগে। তাছাড়া ত্বীন ফলের উপকারিতাও অনেক। দক্ষিণ কোরিয়াতে পাকা ত্বীন ফল শুঁকিয়ে প্যাকেট করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেগুলো খেতে প্রচুর মিষ্টি লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।