Crazy hair day
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
"ক্রেজি হেয়ার ডে" নামটি শুনে একটু ব্যতিক্রম লাগছে তাই না? হ্যাঁ বন্ধুরা, এটি আমাদের বাংলাদেশে কোথাও পালিত হয় না।এ বিষয়ে আমার কোন ধারণাও ছিল না। মেয়েদেরকে স্কুলে ভর্তি করার পর এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।সাধারণত প্রাইমারি স্কুলগুলোতে এই দিনটি পালিত হয়।একেক স্কুলে একেক দিন এই দিনটি পালিত হয়।সাধারণত এই দিনে ছেলে মেয়েরা তাদের চুলকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে বা ডিজাইন করে স্কুলে যায়।ছেলেমেয়েরা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে তাদের চুলকে ডেকোরেশন করে। কেও কেও নানান ধরনের হেয়ার ব্যান্ড, নানান ধরনের ক্লিপ, ফয়েল পেপার, Crazy hair day তে চুলকে ডেকোরেশন করার নানান ধরনের আইটেমসগুলো যে শপে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে।কেও কেও হেয়ার কালার দিয়ে চুলকে নানান সাজে সজ্জিত করে আসে স্কুলে।মোট কথা এটি হচ্ছে একটি ফান।যে যত তার চুলকে ফানি করে তুলতে পারবে সেই এখানে সেরা।আমার মেয়ে বলল একজন খেলনা সুইট দিয়ে তার পুরো চুলকে সাজিয়ে নিয়ে এসেছে।আমি আজ মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাইনি। যদি স্কুলে যেতাম তাহলে ফটোগুলো তুলে নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারতাম। তখন বুঝতে পারতেন পুরো বিষয়টি।
প্রতিবছর ক্রেজি হেয়ার ডে আসলে আমি পরে যাই বিপদে, কারণ এ বিষয়ে আমার কোন ধারণাই নেই। কিভাবে চুল ডেকোরেশন করব তা বুঝতে পারি না।ইউটিউব দেখে চেষ্টা করেও ভালো পারি না।বড় মেয়েকে আগের দিন বললাম youtube দেখে কিছু ট্রাই করতে।তখন সে ইউটিউব দেখে একটি ডিজাইন ট্রাই করেছে ছোট মেয়ের চুলে।ঘরে যে লুম ব্যান্ড রয়েছে সেই ব্যান্ড দিয়ে তার চুলকে ছোট ছোট করে ঝুঁটি করে তারপর বেনি করেছিল। মোটামুটি বেশ ভালই হয়েছিল।তখন মেয়েকে বললাম কাল একটু আর্লি উঠে ওর চুলটা করে দিও।কারণ এগুলো করতে প্রচুর সময় লাগে।এরপর ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে, স্কুলের জন্য লাঞ্চ রেডি করে, তাদের নাস্তা করিয়ে শুরু হয়ে গেল আমাদের Crazy hair day এর প্রিপারেশন।যেহেতু চুলের এই ডিজাইন করতে অনেক সময় লাগে তাই বড় মেয়ের সাথে সাথে আমিও শুরু করলাম।অনেক সময় লেগেছিল, তাই পুরো শেষ করতে পারিনি, কোনরকম শেষ করেছিলাম।স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই ফটো তোলারও সময় পায়নি।যাইহোক কোন রকম কাজটি সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলাম।
আসলে সকলেই এই দিনটিতে চুলকে নানান রকমের ডিজাইন করে স্কুলে আসে।তখন সে যদি কোন কিছুই না করে তখন তার মনে অনেক কষ্ট লাগবে।তাই চেষ্টা করি কিছু একটা করতে।আগে তো ছিল বেশি প্রবলেম, কারণ বড় মেয়ের চুলও করতে হতো। সকাল বেলায় উঠে আমার অবস্থা হয়ে যেত খুবই খারাপ।যেহেতু বড় মেয়ে এখন হাই স্কুলে যাচ্ছে, আর হাইস্কুলে এই অনুষ্ঠানটি আর হয় না।গতবার ছোট মেয়ের চুল খোপা করে আমার বাগানের ফুল দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিলাম।আসলে সুন্দর করে সাজালেই হবে না, বিষয়টি হচ্ছে সামথিং ক্রেজি করতে হবে।যে যত চুলকে নিয়ে পাগলামি করতে পারবে সেই হবে সেরা।যদিও কোন প্রাইজ দেওয়া হয় না, তবে টিচাররাও এই দিনে তাদের চুলকে সাজিয়ে আসে, বাচ্চাদের সাথে সাথে ফান করে, আর ফটো তুলে।যাইহোক প্রতিবছরই চেষ্টা করি কিছু একটা করে দিতে।আসলে এই দিনকে উদযাপিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে ছেলেমেয়েদের ক্রিয়েটিভিটি দেখার সাথে সাথে কিছু ফান করা।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
ক্রেজি হেয়ার ডে, এই বিষয়টা এই প্রথম জানতে পারলাম এবং নামটাও প্রথম শুনলাম আর স্কুলে যে এরকম ডে পালন করা হয় এটাও প্রথম জানলাম মোটকথা আপনার পোস্ট থেকে আজকে নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে বাচ্চাদের জন্য এটা একটা বেশ আনন্দের বিষয়। যাই হোক এটা এখন আশা করি যেহেতু আপনার বড় মেয়ে হাই স্কুলে পড়তেছে এখন থেকে আপনার ছোট মেয়েকে ওই করে দিবে। একটু হলেও আপনি নিস্তার পেয়ে যাবেন। অজানা একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খুব মজার একটি তথ্য জানতে পারলাম৷ আমাদের দেশেও যেমন খুশি তেমন সাজো নামে একটি শো হয় স্কুলে। তবে চুলের অনুষ্ঠান এই প্রথম শুনলাম। বিদেশে কত কিছু বাচ্চাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য।
ক্রেজি হেয়ার ডে এই বিষয়টা কিন্তু আমার কাছে বেশ মজার লেগেছে আপু। বিভিন্ন রকমের সাজে বাচ্চারা সেজে আসে এটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। তবে এই কাজগুলো করা সত্যিই অনেক সময়ের ব্যাপার। বাচ্চাদের পাশাপাশি টিচাররাও নিজের চুল সাজিয়ে নিয়ে আসে এটা জেনে ভালো লাগলো আপু। এই বিষয়গুলোতে বাচ্চারা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ পায়।
একেবারে নতুন একটি জিনিস জানতে পারলাম আপু। ক্রেজি হেয়ার ডে তে স্টুডেন্ট এবং টিচাররা এতো ফানি ভাবে নিজেদের চুল সাজায় এবং একসাথে ছবি তুলে,ব্যাপারটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এতে করে টিচার এবং স্টুডেন্টদের সম্পর্ক আরও ভালো হয়। ফলে স্টুডেন্টরা পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগী হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।