রান্নাঘরে এখন আমার পছন্দের উদ্ভিদ গুলো
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার বাগানের গাছপালার কিছু আপডেট নিয়ে। এর আগে আমার বাগানের অনেকগুলো আপডেট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বীজ বপন থেকে গাছের ফল ধরা পর্যন্ত।এরপর ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় সবগুলো গাছ মরে যায়, শুধু বেঁচে রয়েছে গোলাপ ফুলের গাছ গুলো এবং ফলের গাছ গুলো। ফলের গাছগুলো যেগুলো মাটিতে লাগানো রয়েছে সেগুলো কখনো মারা যায় না।শীতের সময় গাছগুলো দেখলে মনে হয় যেন মৃত, আবার যখন বসন্ত চলে আসে তখন গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। গাছগুলো ফুলে-ফলে ভরে যায়, যা দেখে মনটা ভরে ওঠে। কিন্তু কিছু কিছু গাছ রয়েছে সেগুলো প্রচন্ড শীতে মারা যায়।বাংলাদেশ থেকে কতগুলো চারা এনেছিলাম তার মধ্যে লেবু, পেয়ারা ও আম ছিল।সবগুলো গাছই মরে গিয়েছে শুধু লেবু গাছ ছাড়া। লেবু গাছ টবে ছিল তাই এখন তাকে বাঁচাতে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসলাম। এখন তাদের বাসস্থান হচ্ছে আমার রান্নাঘর। গাছগুলোর মধ্যে দুটি রয়েছে বাংলাদেশি লেবু গাছ, একটি এই দেশের লেবু গাছ, একটি অরেঞ্জ গাছ এবং অন্যটি হচ্ছে আমার অতি পছন্দের অ্যালোভেরা। জানিনা তাদের বাঁচাতে পারবো কিনা? চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক আমার রান্না ঘরের গাছগুলো।
দেখুন লেবু গাছে কিন্তু অনেকগুলো ফুল এসেছে, এগুলো সব এই দেশের লেবু গাছ। বাংলাদেশ থেকে যে লেবু গাছ এনেছিলাম তাতে এখনও ফুল আসেনি। অপেক্ষায় রয়েছি কবে ফুল আসবে।
এটি আমার পছন্দের অ্যালোভেরা গাছ।
অরেঞ্জ গাছে একটি অরেঞ্জ এসে গিয়েছে।অনেকগুলো ফুল এসেছিল, কিন্তু সবগুলো ঝরে পড়ে গিয়েছে।
আমার রান্নাঘরে দুটি বড় বড় জানালা রয়েছে এবং জানালার সামনে অনেক স্পেস রয়েছে যেখানে অনায়াসে গাছগুলো রাখতে পেরেছি। জানালা পুরোপুরি বন্ধ না করে একটু ফাঁকা করে রেখেছি যেন একটু বাতাস ঢুকতে পারে। এখন তো আর গার্ডেনে যাওয়াই হয়না কারণ প্রচন্ড ঠান্ডা। রান্নাঘর এখন আমার ছোট্ট একটি গার্ডেন। যাইহোক গাছগুলো এখন আমার চোখের সামনেই থাকবে, কাছ থেকে তাদের যত্ন নিতে পারব। এখন দেখা যাক তাদের বাঁচাতে পারি কিনা?
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
| Photographer | @tangera |
|---|---|
| Device | I phone 13 Pro Max |
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু আসলে শীত প্রবন দেশগুলোতে অতিরিক্ত শীতের কারণে গাছের পাতা বা ফুল এমনকি মুকুল ও নষ্ট হয়ে যায়। তখন গাছের দিকে তাকাতেই মন চায় না ।আপনি কিন্তু গাছ প্রেমিক বুঝাই যায় ।নইলে বাংলাদেশ থেকে চারা নিয়ে কেউ এত দূরে,,,, কিভাবে সম্ভব হয় ।যাই হোক আপনার এতো পরিচর্যার মাঝেও যে গাছগুলো মরে গেছে সেগুলোর জন্য খারাপ লাগছে। তবে লেবু গাছ ও অ্যালোভেরা গাছগুলো যেন টিকে থাকে সেই দোয়া করি ।আমার মনে হয় আপনি যত্ন নিলে অবশ্যই এই কাজগুলো ফলন দেবে।
আপু যেগুলো মারা গিয়েছে সেগুলো ভেজিটেবিলস, আর ওয়ান টাইম যে ফুলগুলো হয় সেগুলো। এগুলো সারা বছর থাকে না, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এমনিতেই মারা যায়। তাই প্রতি বছর এভাবেই করে থাকি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ঠান্ডা পড়ার কারনে সবগুলো গাছ মারা যাচ্ছে, শুধু গোলাপ গাছ আর ফল গাছগুলো রয়েছে। এজন্য কিছু গাছ আপনি ঘরের মধ্যে নিয়ে এসেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ফল গাছ মাটিতে লাগানোর কারণে গাছ মারা যাচ্ছে না। বিষয়টা একদমই ঠিক বলেছেন। আমার নিজেরও বাড়ির ছাদের উপরের অনেকগুলো গাছের পাতা জোড়ে পড়েছে, শুধু মাটিতে লাগানো গাছগুলো এখনো বেঁচে আছে। বসন্ত চলে আসলে সবগুলো গাছের মধ্যে পাতা গজালে ভালো লাগবে । আমাদের দেশ থেকে লেবু পেয়ারা আম গাছ নিয়েছেন জেনে অনেক আনন্দিত হয়েছে। রান্নাঘরের মধ্যে গাছগুলো দেখে একদম ,খুবই ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
হ্যা অনেকগুলো গাছ দেখেছিলাম তো,ঠান্ডার কারনে গাছগুলো মরে গিয়েছে। অনেক গুলো রং বেরঙের ফুল গাছ ও দেখেছিলাম।এত কষ্ট করে বাংলাদেশ থেকে গাছ নিয়ে গিয়েছেন তাও কিছু কিছু মারা গিয়েছে। যাই হোক কিছু কিছু রান্না ঘরে আনাতে এখনও টিকে আছে।আপু ঐখানে কি রোদ উঠে না?যদি রান্না ঘরে রোদ পায় তাহলে বাঁচতে পারে।ভালোই হয়েছে রান্না ঘরটা বাগান হয়ে গিয়েছে,সবুজের দিকে তাকালেও মনটা ভালো হয়ে যাবে।ধন্যবাদ
ঠান্ডার সময় রোদ খুব কমই পাওয়া যায়। দেখা যাক গাছগুলো বাঁচাতে পারি কিনা? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার আগের পোস্টটি আমি মিস করে গিয়েছি।তবে এটা ঠিক বলেছেন একদম শীতকালে গাছগুলো নিস্তেজ হয়ে যায় আবার মরেও যায়,কিন্তু বসন্ত এলেই প্রাণ ফিরে পাবে।যাক আপনার লেবু গাছ বেঁচে গিয়েছে বেশ ভালো এটা,অন্য দলের গাছগুলো বাঁচেনি।আপনার রান্না ঘরের গাছগুলো অনেক ভালো লাগছে।বিশেষ করে অ্যালোভেরা গাছ টা অনেক সুন্দর দেখতে লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অ্যালোভেরা গাছটি আসলেই অনেক সুন্দর, দেখলেই মায়া লেগে যায়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
জি আপু, অনেকগুলো তো গাছ দেখেছিলাম। বিশেষ করে ঠান্ডায় অনেক গাছ মরে যায়। যদিও আপনি বলছেন শীতে অনেক গাছ মরে গেলেও বসন্তে আবারো সেই গেছে পাতা গজাবে। আমার কাছে এলোভেরা গাছটা ভীষণ অসাধারণ লেগেছে। তাছাড়া অরেঞ্জ গাছে একটা অরেঞ্জ ধরেছে দেখলাম। নিজের গাছ থেকে নিয়ে খেতে কতই না মজা। লেবু গাছ তো আমার সব থেকে প্রিয়। আমি আমাদের বাড়িতে লাগিয়েছিলাম কিন্তু গাছটা মারা গেল। ভালোই হয়েছে গাছগুলো এখন চোখের সামনে থাকবে।
লেবু গাছে কিন্তু আগে অনেকগুলো লেবু ধরেছিল। এখন আবার নতুন করে ফুল এসেছে। দেখা যাক এখন কতদূর গাছগুলো টিকিয়ে রাখতে পারি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল আসলে এই একটা সমস্যা গাছগুলো মরে যায়। এর আগে বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছিলেন তার মধ্যে মাত্র এই কয়েকটি গাছ বেঁচে আছে? ভালো কাজ করেছেন ঘরের মধ্যে নিয়ে এসে। আবার দেখা যায় যে বাইরের গাছ ঘরের মধ্যেও বাঁচতে চায় না। এখন দেখার বিষয় গাছটি শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি কিনা। অ্যালোভেরা গাছ আমারও খুবই পছন্দ আপনার অ্যালোভেরা গাছের ডিজাইনটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। একটু অন্যরকম লাগলো দেখতে। ধন্যবাদ আপু।
সেই ভয়েই আছি, বাইরে থেকে গাছগুলো ভিতরে আনলে টিকে থাকা মুশকিল।অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
আপনার এত যত্নে গড়া গাছগুলো মারা যাচ্ছে তা জেনেই খুব খারাপ লাগলো।আমাদের দেশে আবহাওয়া জনিত কারণে অনেক গাছ মারা যায়। আর সেখানে তো প্রচন্ড শীত, গাছ মারা যাওয়ারই কথা। কিন্তু যে গাছগুলো জীবিত আছে সেগুলো যেন এভাবে জীবিত থাকে এটাই দোয়া করি।কারণ একটি গাছ মারা গেলে সেই থেকে আমরা যে ফল পাবো তাও আর পাওয়া হবে না। আর অক্সিজেন সরবরাহকারী হারিয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হল এত কষ্ট করে নিয়ে যাওয়া গাছগুলো যদি মারা যায় তখন মনটা সত্যিই খারাপ হয়ে যায়। রান্না ঘরে রাখার কারণে যদি তাপ পেয়ে এবং ভেতরের তাপমাত্রায় ভালো থাকে তাহলেই অনেক ভালো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু চোখের সামনে প্রিয় গাছগুলো মরে গেলে খুবই কষ্ট লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ইস এত কষ্টের গাছগুলো যদি এভাবে মারা যায় তাহলে ব্যাপারটা আসলেই কষ্টের। গাছগুলো সম্ভবত বেশি শীতে টিকে থাকার উপযোগি নয় । পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হতে অনেক সময় লাগবে বা আদৌ হবে কিনা সন্দেহ আছে। আপু আপনাদের ওখানে এখন তাপমাত্রা কত জানতে ইচ্ছে করছে।
দেখা যাক কতদূর টিকিয়ে রাখতে পারি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপু আপনার গাছগুলো দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনি বাংলাদেশ থেকে এ চারাগাছগুলো নিয়েছিলেন। কিন্তু শীতের কারনে সব মারা গেলেও লেবু চারাটি বেঁচে আছে টবে থাকার কারনে।তাই আপনি লেবু গাছটাকে রান্নাঘরে এনেছেন।গাছটিতে ফুল ধরেছে, দেখে অনেক ভাল লাগলো আসলে।নিজের হাতে লাগানো গাছে ফল কিংবা ফুল যাই ই হোক না কেন আনন্দ লাগে প্রচুর।আপনার রান্নাঘর ছোট একটি বাগান হয়ে গেছে।😍আপনার চোখে সমস্যা পোস্টে পড়েছিলাম আপু।আপনি এই সবুজের দিকে তাকাতে পারবেন রান্নার ফাঁকে ফাঁকে এটা ভাল একটা দিক। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদম সত্য কথা আপু নিজের হাতে লাগানো গাছপালা দেখলে মনে অন্যরকম একটি আনন্দ অনুভূত হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা কিন্তু নিঃসন্দেহে একটা ভালো বুদ্ধি।আমি মনে করি গাছগুলো ও সংরক্ষিত থাকবে এবং নিজের চোখের সামনে বেড়ে উঠবে। অনেক ভালো লাগলো গাছগুলোকে আপনার ঘরের মধ্যে এনে রেখেছেন এটা দেখতে পেয়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখা যাক কতদূর পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে পারি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।