সারাদিন অনেক ব্যস্ততার সাথে কেটে গেল দিনটি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আজ সর্বনিম্ন মাইনাস ৩ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রা ছিল। তাহলে চিন্তা করে দেখুন আজকের অবস্থা কেমন ছিল? দুইদিন আগে স্নো পড়েছে। তারপর থেকেই খুব ঠান্ডা ওয়েদার।রোদ আছে, কিন্তু তারপরও প্রচন্ড ঠান্ডা।এই ঠান্ডা ওয়েদারে ঘর থেকে বের হতেই মন চায় না। কিন্তু কি আর করা? প্রয়োজনের তাগিদে সব কিছু উপেক্ষা করে যেতেই হয়। যেহেতু বাচ্চাদের স্কুল খুলেছে তাই সাড়ে ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েই শুরু হয়ে যায় ডিউটি। ফজর শুরু হয় ভোর ৬ঃ২১ মিনিটে, আর সূর্য উদয় হয় ৮ঃ ১ মিনিটে। এ কারণে একটানা বেশ ভালো ঘুম হয়। দেরিতে উঠলেও ফজর নামাজ কাজা হয় না। বাচ্চাদেরকে রেডি করিয়ে তাদের লাঞ্চ তৈরি করে স্কুলে দিয়ে ফিরে এলাম ৯ টায়। যদিও তারা একটি প্রাইভেট টেক্সি করে স্কুলে যায়। এ কারণে তাদের সাথে কাউকে না কাউকে যেতে হয়।আজ আমি গিয়েছিলাম তাদেরকে স্কুলে দিতে। এরপর বাসায় এসে নাস্তা করে দুজনে বের হয়ে যাই সকাল ১০ টায় একটি জরুরী কাজে রেডহিলের একটি অফিসে।
এখানে কাজ শেষ করে যখন রাস্তায় বের হলাম তখন একটি শপে লেখা দেখলাম রেডহিল হালাল সেন্টার। যেহেতু এদেশে হালাল-হারামের ব্যাপার রয়েছে তাই দেখে শুনে, বুঝে খাবারের জিনিসগুলো কিনতে হয়।হালাল লেখা দেখেই ঢুকে গেলাম শপটিতে। বড় একটি গ্রোসারি শপ এটি।ফ্রেশ শাক-সবজি, জাবতীয় মসলাপাতি সহ ফ্রোজেন নানান ধরনের আইটেম রয়েছে এখানে। ঝটপট সেখান থেকে বাচ্চাদের জন্য কেক, সুইট, ফ্রোজেন নাগেট, পরোটা এবং কিছু বার্গার কিনে নিলাম। এরপর আমার জন্য কিছু সবজি তার মধ্যে ছিল করোলা, ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ, আদা ও রসুন।এরপর দেখলাম চানাচুর ও আছে সেখানে।ঝটপট কিনে নিলাম চানাচুর। ছোটখাটোর মধ্যে কিছু কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরলাম।
ফেরার পথে রাস্তা থেকে নেওয়া কিছু ফটোগ্রাফি।
এরপর দেড়টার সময় বাসায় ফিরি। যেহেতু বাসায় আগের দিনের তরকারি রান্না করা ছিল, তাই দ্রুত আরও একটি আইটেম তৈরি করে চলে যাই বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে আনতে। বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে আসার কাজ টি আমি করি।আর হাজবেন্ড স্কুল ছুটি হলে তাদেরকে নিয়ে আসে।কিন্তু আজকে হাজবেন্ডের কাজ থাকায় আমাকেই যেতে হয় তাদেরকে আনতে। মোটকথা বসার একটি মিনিটও টাইম পায়নি আজকে। এরপর বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে এনে তাদের খাবারদাবার দেওয়ার পরে একটু রিলাক্স হয়ে বসে পোস্টটি করে ফেললাম।সারাদিন এভাবেই কেটে গেল আমার ব্যস্তময় একটি দিন।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
বেশ ভালো ঠান্ডা পরেছে তাহলে। স্নো পরলেই ঠান্ডা বেড়ে যায়। তাপমাত্রা যতই কম থাকুক না কেনো, স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতেই হয়। তবুও সাবধানে থাকবেন আপু। কারণ জ্বর ঠান্ডা জনিত সমস্যা হলে,সহজে কমতে চায় না এখন। যাইহোক স্কুল থেকে আনা নেওয়া,জরুরী কাজ শেষ করা, বাজার করা,রান্না, সবমিলিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন আপু। যেহেতু আমরা মুসলিম, অবশ্যই হালাল খাবার খেতে হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সেখানে প্রচন্ড শীত পড়ছে তাহলে -৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা একবারে জমে যাওয়া অবস্থা। হ্যাঁ শীতের সময় রাত বড় থাকে তাই ঘুম ভালো হয়। আপনি সারাদিনই ব্যস্ত থাকেন মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠানো আবার স্কুল থেকে নিয়ে আসা বাসার পরে রান্নাবান্না করা সেই সাথে বাজার করা। আর এই পোস্টের মাধ্যমে পুরোপুরি একটি দিনের ব্যস্ততা তুলে ধরেছেন।
ব্যস্তময় একটি দিনের চিত্র আপনি আমাদের মাঝে ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আসলে আমাদের সকলের জীবন কোন না কোন ভাবে ব্যস্তময় আর এই সংগ্রামী জীবনকে কেন্দ্র করে আমাদের জীবন ধারাবাহিকতা। প্রত্যেকটা দিন আসে ঠিক এভাবে বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি আপনাদের ওখানকার বর্তমান আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন, সত্যি এই দিক থেকে কিন্তু আমরা যথেষ্ট নিরাপদেই রয়েছি। যাই হোক অনেক কিছু ধারণা পেলাম আপনার এই ব্লগের মধ্য দিয়ে।
মাইনাস ৩ ডিগ্রী তাপমাত্রায় তো বরফ হয়ে যাওয়ার কথা আপু!!☃️ অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে আপনাদের ওইখানে। ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পারলাম অনেক বেশি ব্যস্ততায় গেছে আপনার এই দিনটি। বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসা, খাবার-দাবার রান্না করা, শপিং করতে যাওয়া আবার বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসা অনেক গুলো কাজ।