ট্রাই করে ফেললাম চিতই পিঠা
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার জীবনে প্রথম তৈরি করা চিতই পিঠার রেসিপি নিয়ে। চিতই পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটি পিঠা।বাংলাদেশে থাকতে শীতের সিজনে এই পিঠাটি প্রায়ই খাওয়া হত। মজার ব্যাপার হলো এই পিঠা এখন বাংলাদেশে কিনতে পাওয়া যায়।সাথে নানান ধরনের সস থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ধনে পাতার সস যা গতবার খেয়েছিলাম।সেই পিঠাগুলোও কিন্তু খেতে দারুন স্বাদের। এই দেশে কখনো এই পিঠা খাওয়া হয়নি।তবে যদি পিঠা বানানোর সাঝ থাকত তাহলে হয়তো বানানো যেত। হঠাৎ করে সেদিন ইউটিউব এ দেখলাম একজন কড়াইতে এই পিঠা তৈরি করছে। তার ফর্মুলা দেখে তৈরি করে ফেললাম।তবে আমার কড়াইটা একটু বড় ছিল, এ কারণে পিঠার সাইজ বড় বড় হয়ে গিয়েছিল। বেশি বড় হওয়ার কারণে পিঠাগুলো ফুলে নি, কিন্তু খেতে কিন্তু বেশ ভালই লেগেছিল। মাংসের ঝোল দিয়ে খেতে খুবই টেস্টি লেগেছিল।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
Posted using SteemPro Mobile
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| চালের গুঁড়া | ১ কাপ |
| পানি | ১ কাপ |
| লবন | স্বাদমত |
কার্যপদ্ধতিঃ
 |  |
|---|
এক কাপ চালের গুড়ার মাঝে এক কাপ উষ্ণ পানি অ্যাড করেছি।
 |  |
|---|
এরপর পানি ও চালের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।এরপর ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এরপর ব্লেন্ড করা চালের গুঁড়ো একটি বাটিতে নিয়ে নিয়েছি। এরপর একটি কড়াই ফুল আঁচে ভালোভাবে গরম করে নিয়েছি। এরপর হালকা একটু তেল ব্রাশ করে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এরপর কড়াইতে গুড়ার মিশ্রণ একটুখানি ঢেলে দিয়ে কড়াইয়ের মুখ ঢেকে রেখেছি ২-৩ মিনিটের জন্য।
 |  |
|---|
একইভাবে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি। খেতে কিন্তু দারুণ মজার ছিল মোট চারটি পিঠা বানিয়েছিলাম।এটি ছিল ট্রাইল পর্ব। পরবর্তীতে আবার বেশি করে বানাবো।
| Photographer | @tangera |
|---|---|
| Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হ্যাঁ আপু বাংলাদেশের শহর অঞ্চলের রাস্তার পাশে এরকম চিতই পিঠা পাওয়া যায় আর বিশেষ করে সেগুলো ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে খেতে বেশি মজা লাগে। ইউটিউব দেখে কিভাবে এই চিতই পিঠা রেসিপি তৈরি করতে হয় সেটা ট্রাই করেছেন যদিও খুব বেশি তৈরি করেননি তবে দেখে তো বেশ খেতে ইচ্ছে করছে আপু। বেশি করে তৈরি করে আমাদের দাওয়াত দিয়েন হা হা হা।
আসলে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। আপু আপনার তৈরি চিতই পিঠা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার এই চিত্রই পিঠা তৈরীর পুরো বিবরণ গুলো পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। চিতই পিঠা তৈরির চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইউ টিউবে ভিডিও দেখে দারুন পিঠা করেছেন আপু।খুব সুন্দর হয়েছে।আমি এখনো পর্যন্ত চিতই পিঠা নিজে বানাই নি।আসলে সাহস করে করলেই হয়।আপনার প্যান বড় তাই বড় বড় হয়েছে। তবুও তো সুন্দর হয়েছে।এই পিঠা দুধে ভিজিয়ে খেতে দারুন স্বাদের হয়।ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি চিতই পিঠার রেসিপিটি প্রথম বানিয়েছেন তারপরও রেসিপিটি বেশ দারুন হয়েছে। আসলে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। ইউটিউবের ফর্মুলা দেখে বেশ দারুন ভাবেই আমাদের মাঝে চিতই পিঠা রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। চিতই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে তবে সঙ্গে যদি বিভিন্ন রকমের ভর্তা থাকে।
আর এই পিঠা দুধে ভিজিয়ে খেতেও আরো ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর
একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু আপনি খুবই সুন্দর করে চিতই পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের গ্ৰাম গুলোতে সকাল বেলা করে চিতই পিঠার ধুম পড়ে। আমি দুই দিন আগে আমার আম্মুর হাতের পিঠা খেয়েছি। আপনি আজকে চিতই পিঠার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি চিত ই পিঠা গুড় দিয়ে খেয়েছেন।
বিভিন্ন ধরনের ভর্তা কিংবা মাংসের ঝোল দিয়ে গরম গরম চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ধনিয়া পাতার ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। যাইহোক অবশেষে চিতই পিঠা তৈরি করে ফেললেন আপু। পিঠা বানানোর সাঝ ছিলো না বলে, কড়াইয়ের মধ্যেই চিতই পিঠা তৈরি করে ফেলেছেন। পিঠাগুলো না ফুললেও,দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। মুরগির মাংসের ঝোল দিয়ে বেশ মজা করে চিতই পিঠা খেয়েছেন তাহলে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইউনিভার্সিটি লাইফে শীতকালে প্রচুর খেতাম এই চিতই পিঠা। বিভিন্ন রকম সস দিয়ে সত্যিই দুর্দান্ত লাগে খেতে। আমি আজ প্রথমবার বানানোর রেসিপি টা দেখলাম। খুব একটা কঠিন লাগলো না অবশ্য। আর তার থেকেও বড় কথা পোস্ট টা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে আপু। আফসোস যে ছবি দেখে পেট ভরেনা 😭।