একটি অঘটন (an incident)
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।তবে আজকে মনটা অনেক খারাপ, কারন একটি অঘটন ঘটে গিয়েছে আমার বড় মেয়ের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধুর সাথে। আসলে ঘরে বাচ্চারা থাকলে তাদের অনেক টেক কেয়ার করতে হয়, স্পেশালি যখন তারা একটু একটু করে হাঁটা শেখে তখন অনেক বেশি কেয়ারফুল হতে হয় তাদের জন্য। কারণ ওই সময় তারা অনেক অঘটন ঘটিয়ে ফেলে। বিশেষ করে দরজা-জানালা, ওয়ারড্রব এর মধ্যে হাত চাপা পড়া। কিন্তু এগুলো তো সব সময় দেখে রাখা যায়না, অ্যাক্সিডেন্ট তো আর বলে আসেনা। আমার বড় মেয়েটার সাথেও এরকম বড় একটি অঘটন ঘটে ছিল।ওর বয়স যখন এক বছর ছিল তখন ওয়ারড্রব এর মধ্যে হাত চাপা পড়ে তার একটি আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। প্রথম প্রথম অতটা বুঝিনি, ভেবেছিলাম কিছুই হয়নি তাই আর ডক্টরের কাছেও যায়নি।পরে ধীরে ধীরে দেখি আঙ্গুলটা বাঁকা হয়ে গিয়েছে।এরপর যখন ডক্টরের কাছে যাই তখন তিনি বলেছিলেন অপারেশন করতে হবে।আর এখন তো ও অনেক ছোট, অপারেশন করার পর হাত নাড়াচাড়া করলে অনেক প্রবলেম হবে।তাই যখন সে বড় হবে তখন অপারেশনটা করে ফেললে ভালো হবে। এখনো করিনি তবে করে ফেলব আর একটু বড় হোক।তবে আমার ওই বাচচাটার সাথে আরও বড় একটি অঘটন ঘটেছিল, অন্য একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই ফটোটা দেখে মনে হয় কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরেছেন কি ঘটেছে আজকে , তাইনা? আমার বড় মেয়ের ক্লোজ ফ্রেন্ড যে গত ঈদের সময় আমাদের বাসায় সারাদিন কাটিয়েছিল,তাদের অনেক ফটোগ্রাফিও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে তার সাথে বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায় স্কুলে। লাঞ্চ টাইম এর পরে মাঠে খেলাধুলা করে যখন ক্লাস রুমে ঢুকছিল তখন তার হাত দরজার ফাঁকার মাঝে ছিল। হঠাৎ করে কেউ দরজায় ধাক্কা দেয়, হয়তো সে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয়নি।দেওয়ায় সাথে সাথেই মেয়েটির আঙ্গুলের অনেকটা অংশ হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। ইস আমার গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছে! কি ভয়ানক ঘটনা! যার আংগুল পড়ে গিয়েছিল সেতো চিৎকার করে কাঁদছিল, আর বাকি ক্লাস ফ্রেন্ডরাও খুব ভয় পেয়েছিলো,তারাও কান্নাকাটি করছিল ভয়ে এই দৃশ্য দেখে। সাথে সাথেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এরপর কি ঘটেছে আর জানা যায়নি।
আসলেই বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠানোর পরেও অনেক ভয়ে থাকতে হয় কারণ কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়! বাসায় না ফেরা পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যায় না। তাই আমাদের উচিত যেসব বাচ্চারা বুঝে তাদেরকে বোঝানো যেন স্কুলে বা বাসায় কখনো দরজা বা জানালার ফাঁকার মাঝে হাত না দেয়।আমার হাজব্যান্ড তাই সব সময় সকল বেডরুমের দরজার উপরে টাওয়াল রেখে দেয় যেন কোন অঘটন না ঘটে। বাচ্চাদের সাথে সাথে আমাদেরও অনেক সতর্ক থাকতে হবে দূর্ঘটনা এড়াতে। যাই হোক আমার মেয়ে স্কুল থেকে আসার পর ঘটনাটি জানার পর থেকেই মনটা অস্থির হয়ে আছে। জানিনা মেয়েটি এবং তার বাবা-মায়ের এখন কি অবস্থা?
বন্ধুরা এটিই ছিল সেই অঘটন যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আজ তাহলে এটুকুই, পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
কখন যে কার জীবনে দুর্ঘটনা আসে আমরা কেউ বুঝতে পারি না। আসলে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার পরেও অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। হয়তো ভুল করে কিংবা ভুল ভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়। আপনার বড় মেয়ের সহপাঠী এই ধরনের একটি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো আপু। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে সুস্থ করে তোলেন এই কামনা করি।
একদম ঠিক বলেছো দুর্ঘটনা ঘটতে সময় লাগে না,যেমন গতকাল আমার সাথে ঘটে গেল দুর্ঘটনাটি। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার অসুস্থতার কথা জেনে সত্যি খারাপ লেগেছে। আল্লাহর রহমতে আপনি সুস্থ হয়েছেন এটাই অনেক বড় পাওয়া।
আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে সেই বাচ্চাটির জন্য। আসলেই দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনা যেটা কখনো বলে আসেনা তারপরও আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হয়, সতর্ক থাকতে হবে এটাতে কোন ভুল নেই। এরকম দুর্ঘটনা আমার মনে হয় না এমন কেউ নেই যে তার সাথে ঘটেছে বা তাদের বাচ্চার সাথে ঘটেছে তারপরও আমরা সতর্ক হই না বা সতর্ক থাকি না, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আমার ছোট ছেলেটার সাথে গতকাল এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে এবং সে অনেক ব্যথা পেয়েছে যদিও ব্যথাটা সাময়িক কিন্তু ওই মুহূর্তে সে অনেক ব্যথা পেয়েছিল। যাইহোক আসলে বাচ্চাদেরকে সব সময় ওইভাবে টেক কেয়ার করে রাখা সম্ভব না তারপরও যতটা সম্ভব চোখে চোখে রাখা উচিত।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ওই সময় বাচ্চাদেরকে ওভাবে টেক কেয়ার করা যায় না, তবে যতটুক সম্ভব চোখে চোখে রাখা উচিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু লিখাটা পড়েই তো আমার লোম খাড়া হয়ে গিয়েছি😭।আঙ্গুল টাই বিছিন্ন হয়ে যায়।কেমন জানি লাগছে।জানার আগ্রহ হলো আঙ্গুল টা লেগেছিলো?
আপু আঙ্গুল পড়ে গেলে তা আর জোড়া লাগানো যায় না। অবশ্য আমি এখনো কিছু জানতে পারিনি কারণ শুক্রবারে স্কুলে থেকে আসার পর শনি, রবি দুই দিন স্কুল বন্ধ থাকে। এছাড়া সোমবারে স্কুল বন্ধ থাকবে। আর মঙ্গলবারে স্কুলে যাবে। তখন জানতে পারব অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি শুনেছিলাম সাথে সাথে জোড়া লাগালে জোড়া লাগবে,কিন্তু নার্ভ গুলো মনে হয় কাজ করবে না।বাকিটুকু আল্লাহ ভালো জানে।
দৃশ্যটা দেখে তাদের কান্না পাচ্ছে। আরো ছোট বাচ্চা বলে কথা কতই না কষ্ট পেয়েছে। অঘটন করতে বেশি সময় লাগে না। স্কুলে যখন পড়তাম আমাদেরও এরকম অনেক অবসান ঘটেছিল।
আপু গায়ে কাটা দিয়ে উঠল।আঙ্গুল একদম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কি মারাত্মক ও দুঃখজনক ঘটনা।ইশ্বর সবাইকে সুস্থ রাখুন এই প্রার্থনা করি।ভাগনী দের কে সাবধানে রাখবেন আপু।
সত্যি আপু শুনে আমার শরীরের মধ্যেই শিহরণ তৈরি হচ্ছে। আহারে ছোট একটা বাচ্চা। আসলেই আপু বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। পরে কী হয়েছে সেটা জানাবেন আপু।।
পরে এখনো জানতে পারিনি কারণ স্কুল বন্ধ রয়েছে, আর মঙ্গলবারে জানতে পারবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বড় মেয়ের ফ্রেন্ডের সাথে খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা ঘটে গেছে। আপু আপনার লেখাটা পড়ে শরীরের লোম একদম খারা হয়ে গেছে। আঙ্গুলটা একদম আলাদা হয়ে গেছে শুনে বেশি খারাপ লাগছে। আল্লাহ যেন ওই বাচ্চাটাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।আসলে দরজার ফাঁকে বেশিরভাগ এই ঘটনাটা ঘটে। আসলে আমাদের সবারই ছেলেমেয়েদেরকে এই বিষয় নিয়ে সাবধান করে দাও উচিত। আপনার মেয়ের সাথে এরকম ঘটনা ঘটেছে জেনে খুবই খারাপ লাগছে। তাবে আপু অবশ্যই আপনার মেয়ের আঙ্গুলের অপারেশনটা করে নিবেন ইনশাল্লাহ ওর আঙ্গুলটা সোজা হয়ে যাবে। আপনার বাচ্চার সাথে আরো বড় কি অঘটন ঘটেছে সেটি শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
আপু আজকের আপনার দুর্ঘটনা গল্পটা শুনে সত্যিই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। এরকম দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বাচ্চাদের সাথে এই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। যখন হাত থেকে আঙ্গুলটা আলাদা হয়ে পড়ে গেল তখন সত্যিই অনেক ভয়ানক একটি বিষয়। এ বিষয়টি চিন্তা করতে কিরকম যেন লাগছে। জানিনা এখন সেই মেয়েটির কি অবস্থা।ঐ মেয়েটির জন্য দোয়া রইলো।
আমিও এখনো জানতে পারিনি তার অবস্থা কি? কারণ স্কুল বন্ধ রয়েছে মঙ্গলবারে জানতে পারবো।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মানব জীবনে দূর্ঘটনা একটি মারাত্মক বিষয় ৷কারন কার কখন কোন দূর্ঘটনা হবে তা বলা মুশকিল ৷তার জন্যই তো বলে একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না ৷
আর এটা ঠিক বলেছেন!
ছোট বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ইসু বিশেষ করে যখন একটি হাটি পা আর হাটবার মতো হয় ৷তাই আমাদের সবার উচিত এই সময় বাচ্চাদের প্রতি একটু কেয়ার করার দরকার ৷
যাই হোক আপনার মেয়ে আঈুল বাকা সেটা যত তারাতারি সম্ভব অপারেশন করে নেবেন ৷
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার মেয়ের কথাটা শুনেও ভীষণ খারাপ লাগলো। যদিও ও আরেকটু বড় হলে এর চিকিৎসাটা ঠিকভাবে করবেন। আপু আপনার মেয়ের বন্ধুর কথা শুনে আরো বেশি খারাপ লাগলো। আসলে স্কুলে বেঞ্চের সাথে হাত লেগে এরকম একটা অবস্থা হলো। আপনার কথা শুনে আমারও গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেল। মেয়েটার জন্য বেশ কষ্ট পেলাম। সত্যি বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠালেও কিন্তু অনেক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। মেয়েটা তাতে ভালো এবং সুস্থ থাকে এটাই কামনা।