ক্ষীরসা পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ক্ষীরসা পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি নিয়ে। পাটিসাপটা পিঠা আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।তবে কখনো বানানো হয়নি।এই ফার্স্ট টাইম বানিয়ে দেখলাম। আসলে আমি এর আগে কখনো তেমন কোন পিঠা বানায়নি।বিয়ের পর শুধু একটি পিঠাই শিখেছি সিলেটে এসে।সিলেটি ভাসায় পিঠাটির নাম হচ্ছে নুনের পিঠা।বেস ভালই লাগে। মাঝে মাঝে বানানো হয়। আসলে এই শীতে কমিউনিটিতে দেখছি পিঠার ধুম পড়ে গিয়েছে।তাই সেখান থেকে আমারও পিঠে খাওয়ার স্বাদ জেগেছে। তবে আমার বেশি ইচ্ছে করছিল ভাপা পিঠা খাওয়ার। কিন্তু খেজুরের গুড় খুঁজে পাইনি।অবশেষে খেজুরের গুড় পাওয়া গিয়েছে। আজকে সেই গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা বানিয়ে ফেলেছি। খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে সেটি শেয়ার করব।এবার চলে যাচ্ছি মূল পর্বে আমার পাটিসাপটা পিঠার রেসিপিতে। কিছুদিন আগে এই পিঠাটি তৈরি করেছিলাম। আর এই পোস্টটি ও রেডি করে রেখেছিলাম। যেহেতু আজকে খুব বিজি ছিলাম, তাই কোন পোস্ট রেডি করতে পারিনি।তাই এই রেডিমেড পোস্টটি শেয়ার করে দিলাম। খেতে কিন্তু দারুণ স্বাদের ছিল, স্পেশালি ভিতরের ক্ষীরসাটি ছিল খুবই মজার। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালের গুঁড়া | ২ কাপ |
ময়দা | হাফ কাপ |
চিনি | দেড় কাপ |
গুঁড়া দুধ | দেড় কাপ |
লবন | হাফ চা চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে চালের গুঁড়া, ময়দা, চিনি , ২ কাপ গুড়া দুধ ও লবণ ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর দেড় কাপ পানি এ্যাড করে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ব্যাটার তৈরি করেছি। এরপর একটি হাঁড়িতে দুই কাপ পানি গরম করে নিয়েছি।
এরপর দেড় কাপ গুঁড়ো দুধ দিয়ে দিয়েছি। এরপর পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা বলক দিয়ে নিয়েছি।
এরপর চিনি অ্যাড করে নিয়েছি। এর আগে একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো ও হালকা একটু পানি দিয়ে মিশিয়ে রেখেছিলাম।
এরপর পানি ও চালের গুড়ার ওই মিশ্রণটি দুধে ঢেলে দিয়েছি। এরপর অল্প আঁচে অনবরতো নাড়তে থেকেছি। এরপর যখন বেশ ঘন হয়ে যায় তখন চুলা থেকে নামিয়ে রেখেছি।ব্যাস মজার ক্ষীরসা তৈরি হয়ে গেল।
এরপর একটি ফ্রাইপেন গরম করে তাতে হালকা তেল ব্রাশ করে হাতের সাহায্যে ব্যাটারটি ভালোভাবে চারিপাশে ছিটিয়ে দিয়েছি। এরপর অল্প আঁচে দুই মিনিট রেখে দিয়েছি।
এরপর দুই মিনিট পর এর উপর ক্ষীরসাগুলো এভাবে একপাশে লম্বা করে দিয়ে দিয়েছি। এরপর এভাবে পেঁচিয়ে রোল করে দু পিঠ ভালোভাবে ব্রাউন করে উঠিয়ে নিয়েছি।
ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার ক্ষীরসা দিয়ে পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পাটিসাপটা কিন্তু আমাদের নিজেরও অনেক বেশি পছন্দের। আপনি ক্ষীরসা পাটিসাপটা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি এত মজাদার ভাবে এটি তৈরি করেছেন দেখে আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করতেছে আপু। শীতের এই সময়টাতে কয়েকবার এই পাটিসাপটা আমি তৈরি করেছিলাম। আমার তো মনে হচ্ছে না আপনি এটা ফাস্ট টাইম তৈরি করেছেন। তবে যাই হোক ভাপা পিঠার পোস্টটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
খুব মজার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।এই ক্ষিরসা পাটিসাপটা পিঠা খেতে ভীষণ মজার। আপনি ভাপা পিঠা বানাতে চাইলে ও গুড়ের জন্য বানাতে পারেননি।তবে অবশেষে গুড় পেয়ে সেই রেসিপিটি ও করেছেন।আশাকরি আগামীতে দেখতে পাবো।আপনি প্রথম করলেন এই পাটিসাপটা পিঠা।খেতে খুব স্বাদেরই হয়েছে আশাকরি।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
মূলত ভাবা পিঠা সবসময় আমার প্রিয় পিঠাগুলোর তালিকায় থাকে তাই আপনার পোস্ট পড়ার সময়ই খাওয়ার প্রতি লোভ জেগেছে। আবার পোস্টে পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি দেখেও খেতে ইচ্ছে করছে। বলতে গেলে এক পোস্টে দুই পিঠার স্বাদ দিলেন হা হা হা।
শীতের সময় মজার মজার পিঠাগুলো খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুবই কম রয়েছে। বিশেষ করে আমি খুব পছন্দ করি শীতের সময় পিঠাগুলো খেতে। আর যদি হয় ক্ষীরসা পাটিসাপটা পিঠা তাহলে তো কোন কথা নেই একেবারে। আপনি প্রথমবারের মতো এই পাটিসাপটা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। আর আপনি ভাপা পিঠা ও তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। বুঝতে পারতেছি পাটিসাপটা পিঠার পাশাপাশি ভাপা পিঠাও অনেক মজাদার হয়েছিল।
পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন আপু।পিঠা দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালো ছিল।যদিও আপনি খুব একটা পিঠা তৈরি করেন নি আগে সিলেট থেকে নুনের পিঠা রেসিপি শিখেছেন,যেটা খেতে ভালো লাগে।ভাপা পিঠার রেসিপি পরবর্তীতে শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অপেক্ষায় রইলাম আপু আপনার ভাপা পিঠার রেসিপি দেখার। তবে আজ আপনার পোস্ট দেখে একটি কথা মনে হচ্ছে। আমার বাবারও বেশ প্রিয় ছিল এই পাটিসাপটা পিঠা। যাই হোক আপনার রেসিপিটি কিন্তু দারুন হয়েছে। বেশ সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। পাটিসাপটা পিঠা আমার ভীষণ পছন্দ। আপনি ফার্স্ট টাইম পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করার পরেও, পিঠাগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। পাটিসাপটা পিঠার ক্ষীরসা খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক পিঠাগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। আশা করি খুব শীঘ্রই ভাপা পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। সেই অপেক্ষায় রইলাম আপু। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমিও কখনো এই পাটিসাপটা পিঠা বানায়নি। কেন যেন মনে হয় বানাতে পারবো না। কিন্তু আপনার প্রথম বানানো দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ সহজেই বানাতে পেরেছেন। দেখতে একেবারে পারফেক্ট লাগছে। ভিতরের ক্ষীর দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদ হয়েছিল। আপনার ভাপা পিঠার রেসিপি অপেক্ষায় রইলাম।
দারুণ, দারুণ, মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু, যদিও আমি খুব একটা পিঠা খাই না তবে দুই এক প্লেট খালি করা কোন ব্যাপারই না যদি এতো সুন্দর ও স্বাদের পিঠা সামনে থাকে, হা হা হা।
দারুণ, দারুণ না খেয়েই দু’ এক প্লেট শেষ হয়ে যায়। তবে আমি কিন্তু সত্যিই এই পিঠা তেমন পছন্দ করি না, জাস্ট আমার হাজবেন্ডের জন্য বানিয়েছিলাম। ভাপা পিঠা আর সেমাই পিঠা আমার অনেক পছন্দের।