রুপচাঁদা মাছের মজার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রুপচাঁদা মাছের মজার রেসিপি নিয়ে। ইলিশ মাছের মত রূপচাঁদা মাছও আমার কাছে অনেক পছন্দের।মাঝে মাঝে এই মাছ খাওয়া হয়। এই মাছ ভুনা করে খেতেও অনেক ভালো লাগে । আমি একটু ঝোল রেখেছি। এই মাছের ঝোল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মাছগুলো সাইজে অনেক বড় ছিল। খেতেও দারুন স্বাদের ছিল। আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ৬ টি |
পিঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৬/৭ টি |
টমেটো | হাফ কাপ |
ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
লবন | স্বাদমত |
তেল | ৪ টেবিল চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
জিরা গুঁড়া | হাফ টেবিল চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
কারিপাউডার | ২ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে পিঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা কেটে নিয়েছি। এরপর মাছগুলোর বরফ ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর মাছগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখেছি তেলে ভেঁজে নেওয়ার জন্য।
এরপর মাছগুলো ভেঁজে নিয়েছি।এরপর কড়াইতে তেল গরম করে নিয়েছি।
এরপর পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও টমেটো লবণ দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পেঁয়াজগুলো গলে যাওয়ার জন্য।এরপর পিঁয়াজ গলে গেলে সকল গুড়া মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর অল্প আঁচে ৩-৪ মিনিট ভালো ভাবে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর ভাঁজা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মাছগুলো মসলার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে দেড় কাপ পানি অ্যাড করে ফুল আঁচে ৫-৬ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি।
এরপর ৫-৬ মিনিট পর ধনেপাতা অ্যাড করে আমার রান্না শেষ করেছি। হয়ে গেল আমার মজাদার রূপচাঁদা মাছের রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
রূপচাঁদা মাছগুলো খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে।বিশেষ করে এই মাছ ভেজে ভুনা করলে খুব সুস্বাদু হয়। আজকে তো আপনি ঝোল রেখে রান্না করেছেন। যদিও বিভিন্ন রকম ভাবে এই মাছ খাওয়া হয়েছে। তবে ভুনা করলেই বেশি মজাদার হয়।দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
আপু আপনার শেয়ার করা রেসিপি দেখে সকাল সকাল খুব লোভ লেগে গেলো।ইলিশ মাছের মতো রুপচাঁদা মাছ ও আপনার ভীষণ পছন্দ পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। এই রুপচাঁদা মাছ আমার শুধুমাত্র ফ্রাই করেই খাওয়া হয়।কখনও আপনার মতো ঝোল ঝোল করে খাওয়া হয়নি।তবে আপনার রেসিপির মাছটা খেতে যে খুব মজা হয়েছে তা রেসিপি দেখে বেশ বুঝতে পারছি।আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আহা!! কি মজার রেসিপি রেধেছেন আপু। সকাল সকাল আপনার এই রূপচাঁদা মাছের মজার রেসিপি দেখে আমার তো ভীষণ লোভ লেগে গেল। রেসিপির কালারটা খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। বিশেষ করে রূপচাঁদা মাছগুলোকে ভেজে রান্না করার কারণে স্বাদের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। রূপচাঁদা মাছের এত মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছেও হালকা মাছের ঝোল বেশ মজা লাগে আপনি রুপচাদা মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আর বড় সাইজের রূপচাঁদা মাছ গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয় দেখে তো জিহ্বায় জল চলে আসলো অনেক লোভনীয় ছিল আপু।
অনেকদিন রূপ চাদামাছ খাওয়া হয়ে ওঠেনা। যেহেতু আমাদের পুকুর এলাকা আগে অল্প সংখ্যক এর পোনা মাছ পেতাম এবং চাষ করতাম। কিন্তু সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় এ মাছের পোনা পাওয়া যায় না। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করতে দেখে। আশা করি অতি সহজ সুস্বাদু ছিল আপনার এই রূপচাঁদা মাছের রেসিপি।
রূপচাঁদা মাছ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। সব সময় যেখানেই রূপচাঁদা মাছ দেখি তখনই খেতে ইচ্ছে করে। আজকে আপনি যেভাবে রূপচাঁদা মাছের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন তা দেখে একদম লোভনীয় মনে হচ্ছে৷ ইচ্ছে করছে এখনই এটিকে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি৷ একইসাথে আপনি যেভাবে এটি ডেকোরেশন করেছেন তা দেখে নিঃসন্দেহে এটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়।
দিদি আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই মজাদার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার রেসিপি ছিল রূপচাঁদা মাছের রেসিপি। রূপচাঁদা মাছ খেতে খুবই স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
রূপচাঁদা মাছ আপনার পছন্দ যেনে খুবই ভালো লাগলো কারণ রূপচাঁদা মাছ আমারও খুবই পছন্দ। আর এই রূপা মাছ ফ্রাই করে খেতে বেশি মজা লাগে। আমি কক্সবাজার যখন গেছিলাম তখন ফ্রাই করে খেয়েছিলাম। তবে আপনি রূপচাঁদা মাছ ঝোল দিয়ে তৈরি করেছেন। আর ঝোল খেতে আপনার পছন্দের জন্যে আমারও ভালো লাগলো। আসলে ঝোল দিয়ে আমিও গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার আজকের এই রূপচাঁদা মাছ রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রুপচাঁদা মাছ আমার সবচাইতে ভালো লাগে ফ্রাই করে খেতে। রুপচাঁদা ফ্রাই এর স্বাদ টাই আলাদা। রান্না করে সেরকম কখনো খাইনি। রুপচাঁদা মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টার আলাদা একটা দারুণ কালার এসেছে। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ।
রুপচাঁদা মাছ খেতে অনেক মজার।তাছাড়া এই মাছকে আমরা পমফ্রেড মাছ বা সামুদ্রিক রূপচাঁদা মাছ বলি।আপনি ঝোল খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো।আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।