শীত নিয়ে কিছু অণুভূতি এবং কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া এবং ইংল্যান্ড সব জায়গায় এখন প্রচন্ড শীত। আর ইংল্যান্ড তো শীতেরই জায়গা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এবার খুব বেশি শীত পড়ছে। গত দুই দিন মাইনাস ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। তাহলে চিন্তা করে দেখুন কি অবস্থা? যদিও ঘরের মধ্যে সব সময় হিটার অন করা থাকে তাই ঘরে অতটা অনুভব করা যায় না।আর বাচ্চারাও ঘরে শীতের কোন পোশাক পরেনা এ কারণেই অল টাইম হিটার অন করে রাখতে হয়। যেহেতু এ দেশে সেন্ট্রাল হিটিং সিস্টেম তাই একটা সুইজ দিলেই সবগুলো হিটার অন হয়ে যায়। বাথরুম থেকে শুরু করে প্রতিটি রুম, এমনকি সিঁড়িতেও রয়েছে এই সেন্ট্রাল হিটার। এ কারণেই শীতের সিজনে গ্যাসের বিল একটু বেশি হয়, কারণ এগুলো গ্যাসে চলে। তবে আমি কিচেনের হিটারের সুইজ সব সময় অফ করে রাখি। কারণ কিচেন এত গরম হয়ে যায় যে আমার আগের দিনে রান্না করা সকল তরকারি পরের দিন নষ্ট হয়ে যায়।যেহেতু এ দেশে কেও প্রতিদিন রান্না করেনা তাই একদিন বেশি করে রান্না করে রাখে। এখন যদি কষ্ট করে রান্না করা সেই তরকারি যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কেমন অবস্থা হবে বলুন? এটা হচ্ছে আমার ঘরের ভিতরের অবস্থা।
কিন্তু প্রবলেমটা হয় তখন যখন বাইরে যেতে হয়।এই শীতের সময় বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। যদিও ড্রাইভার এসে তাদেরকে নিয়ে যায় কিন্তু তারপরও তাদের সাথে একজনকে যেতে হয়। আর ঘর থেকে বের হলেই বোঝা যায় শীত কাকে বলে? গতকাল যখন বের হয়েছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আমার ঠোঁট আর মুখ যেন অবশ হয়ে যাচ্ছে। কোন ফিলিংস পাচ্ছিলাম না। দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেলে ডক্টর যখন এনেস্থিসিয়া দেয় ঠিক তেমন মনে হচ্ছিল। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই ওয়েদারে বাইরে বের হওয়াটা কতটা কষ্টকর!
এবার চলে যাচ্ছি ফটোগ্রাফি পর্বে। আগে প্রায় আপনাদের সাথে আমার বাগানের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতাম। কিন্তু এখন ফুল পাওয়া তো দূরের কথা, ফুলের গাছই পাওয়া মুশকিল। আর ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো করতে আমার খুবই ভালো লাগে। অনেকদিন কোন ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় না। কিন্তু আমার মোবাইলে অনেক ঘাটাঘাটি করে দেখলাম ৩/৪ মাস আগে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি।আজকে সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপরের চমৎকার চমৎকার ফুল গুলোর সবই নাম না জানা। মনে হচ্ছে সবগুলোই একই প্রজাতির, শুধু রঙের পার্থক্য।
এই ফুলগুলো পরিচিত, যেহেতু আমার বাগানে রয়েছে। এগুলো হাইড্রেনজিয়া। এই হাইড্রেনজিয়ার কালার টিও সুন্দর,আর আমার বাগানে রয়েছে নীল হাইড্রেনজিয়া যা প্রতি বছর আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আর একে তো আর পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না, কারণ আমরা সকলেই খুব ভালো করেই চিনি।
এই ফটোগ্রাফি গুলো লন্ডনে যখন ভাসুরের বাসায় গিয়েছিলাম তখন নেয়া হয়েছিল।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
শুধু লন্ডন থেকে শীত নিয়ে বেশ দারুন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন আপনি। আর এরই পাশাপাশি শীতকালে ফুটে থাকা বেশ চমৎকার সব ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এই পোস্টের মাঝে। বেশ ভালো লাগলো আপনার তৈরি এই সুন্দর পোস্ট দেখে। অবশ্য শীতের সময় সকালবেলায় বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া সকলের জন্যই কষ্ট। তারপরেও বাচ্চাদের তো লেখাপড়া শিখাতে হবে ঠিকভাবে। যাহোক ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর এই পোস্টটি দেখে।
এতো পরিমান শীতের তীব্রতা সত্যি ই ভীষণ কষ্টের।আর বাইরে যারা থাকে তারা রান্না একটু বেশী করে রাখে। আমার ননদ তো জব করে তাই রান্না করে রাখে দুই /তিনদিনের।আর সেই খাবার নষ্ট হয়ে গেলে খুবই কষ্টের কথা।আর এই শীতে বাসার বাইরে বিশেষ করে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে ভীষণ কষ্ট হয়।এতো শীতে ফুল গাছ তো হওয়ার কথা না।আপনি মোবাইলের গ্যালারি থেকে ৩/৪ মাস আগের ফুল গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফুলগুলো খুব চমৎকার লাগছে।আপনার ভাসুরের বাসার তোলা ফুল ও আকাশটার ফটোগ্রাফি ও দারুন লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি ও অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু -৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলে তো ঠান্ডা বেশ ভালোই পরেছে। এমন ঠান্ডায় বের হলে ৫/৬ মিনিটের মধ্যেই মনে হয় যে মুখ অবশ হয়ে গিয়েছে। কোরিয়াতে আমি সর্বনিম্ন -২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত দেখেছিলাম। এতো ঠান্ডা লেগেছিল সেদিন, যা বলার মতো নয়। তবে এই বছর নাকি কোরিয়াতে ঠান্ডা কিছুটা কম। যাইহোক এমন তীব্র শীতে সাবধানে থাকবেন আপু। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ লাগছে দেখতে। ৩/৪ মাস আগে আপনার ভাসুরের বাসায় গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন আপু। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সব জায়গায় প্রচন্ড শীত আপু আমাদের এখানেও এত ঠান্ডা হাত-পা মনে হয় জমে যাচ্ছে। তারপরও দায়িত্ব অবহেলা না করে সবাইকেই পালন করতে হয় বাচ্চাদের স্কুল
পড়ালেখা ও চাকরি।তবে এটা ঠিক এবার ঠান্ডাটা অনেক বেশি পড়েছে। আপনাদের ওখানে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে তো অনেক বেশি ঠান্ডা । শীতের অনুভূতি এবং পাশাপাশি কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ফুলগুলো দেখে সত্যিই আপু আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।