আমার প্রিয় সেমাই পিঠার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার অনেক প্রিয় সেমাই পিঠার রেসিপি নিয়ে। এই পিঠা আমার অনেক পছন্দের। বাংলাদেশে থাকতে শীতের সময় বেশ উপভোগ করেছি এই পিঠা। তবে এদেশে কখনো এই পিঠা বানানো হয়নি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এবছর আমি প্রায় চার,পাঁচ রকমের পিঠা তৈরি করেছি। সবগুলো পিঠাই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আর এই পিঠাগুলো এই প্রথম আমি তৈরি করেছি। এর আগে কখনো তৈরি করিনি। সবগুলো পিঠাই বেশ পারফেক্ট ছিল। তবে এই পিঠা বানাতে বেশ সময় লেগেছে। একা একা বানাতে খুব বেশি কষ্ট হয়। বাংলাদেশে দেখেছি সকলে মিলে এই পিঠাগুলো হাত দিয়ে কেটে কেটে সুন্দর করে বানায়। কিন্তু আমার এখানে তো আর কেউ নেই, আমি নিজে নিজেই অনেক সময় নিয়ে তৈরি করেছি। যাই হোক আশা করছি আমার আজকের পিঠার রেসিপিটিও আপনাদেরও ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালের গুঁড়া | ৪ কাপ |
পানি | পরিমান মত |
গুড় | দেড় কাপ |
তরল দুধ | দেড় লিটার |
নারিকেল কুচি | ১ কাপ |
লবন | হাফ চা চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই পানি বলক দিয়ে নিয়েছি।এরপর চালের গুড়াগুলো দিয়ে দিয়েছি। এবার ভালোভাবে নেড়েচেড়ে অল্প আঁচে 6-7 মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি।
এরপর চালের গুঁড়ো সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা করে ভালোভাবে মেখে একটি ডো বানিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর ডো থেকে একটু একটু করে নিয়ে এভাবে লম্বা করে বানিয়ে নিয়েছি। এরপর লম্বা অংশ থেকে একটু একটু করে ছিড়ে এভাবে হাতের তালু সাহায্যে পিঠার আকৃতিতে বানিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এভাবে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।এরপর নারিকেল গুলো গ্রেট নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর গুড় গুলো একটি গ্রেটারের সাহায্যে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।এরপর গুড় গুলোর মধ্যে দুই কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছি গুড় গলে যাওয়ার জন্য। এরপর দেড় লিটার দুধ বলক দিয়ে এক লিটার করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর দুধ উঠিয়ে নিয়ে ওই একই হাঁড়িতে গলে যাওয়া গুড়গুলো দিয়ে দিয়েছি। এরপর গুড়গুলো হালকা গরম হলে নারিকেল কুচিগুলো দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
নারিকেল কুচির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পিঠাগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর অল্প আঁচে পিঠাগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি। এরপর দুধ ঢেলে দিয়েছি।
এরপর মিডিয়াম আঁচে ৪-৫ মিনিট রেখে দিয়েছি।ব্যাস হয়ে গেলে আমার অতি পছন্দের মজাদার সেমাই পিঠার রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
সেমাই পিঠা রেসিপিটা আমিও অনেক পছন্দ করি গত মাসে আমার আম্মু একবার এটা তৈরি করে আমাদের খাইয়ে ছিলেন ওটা সত্যি অনেক মজা লাগছিল আপনার পোস্টটা দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটিও ওমন মজাদার হয়েছে দেখিই জিবে জল চলে আসলো 🥰।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি চার পাঁচ রকমের পিঠা তৈরি করেছিলেন এবং সেই পিঠাগুলো আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছিলেন। এই সেমাই পিঠা গুলো তৈরি করতে আসলেই অনেক বেশি সময় লাগে, বাংলাদেশের মানুষ এগুলো অনেকে একত্রে হয়েই তৈরি করে থাকে। সেমাই পিঠা আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এ পিঠা বানাতে বেশ সময় দরকার ৷ আর কয়েকজন মিলে বানালে তারাতারি হতো কারন আয়োজন করতে সময় লাগে ৷ যা হোক একাই বেশ সময় নিয়ে বানিয়েছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে ৷ নারকেল দুধ গুড় দিয়ে বেশ লোভনীয় স্বাদের সেমাই পিঠা তৈরি করেছেন ৷ দেখে ভালো লাগলো আপু অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
এই সেমাই রেসিপিটা আমার আম্মুর অনেক প্রিয়। শীতের সময় খেজুরের গুড় দিয়ে এই হাতে কাটা সেমাই রেসিপি রান্নার পর সকালবেলায় যখন ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসে রেসিপিটা খাই তখন খুবই মজা লাগে। আপনার এই রেসিপি পোস্ট দেখে সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল। যাইহোক কিভাবে রেসিপিটা তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই আপু দেশে সবাই এক সাথে মিলেমিশে করে সব।তার জন্য তেমন একটা কষ্ট হয় না।আর আপনি একা হাতে করেছেন সব।তার থেকে বড় কথা হলো সব গুলো পিঠা ঠিক ঠাক ছিলও।আপনার পিঠা তৈরি করা সার্থক।আজকে দেখছি সুস্বাদু মজাদার সেমাই পিঠা তৈরি করেছেন। আমাদের এখানে এই পিঠা গুলো কে চুটকি পিঠা বা সেওয়াই পিঠা বলে।খেতে অসম্ভব মজাদার হয় আর আপনার টা বেশ মজাদার হয়েছে নিশ্চিত।
আপু বেশ দারুনএকটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু লাগে।এই পিঠাটি আমিও সেদিন বানিয়েছিলাম খেতে অনেক ভালো লাগছিল।
সেমাই পিঠা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে ।
এই প্রথম পিঠাটি তৈরি করেছেন এবং একা করেছেন নিশ্চয়ই আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে।
কারণ এই পিঠা সবাই মিলে করলে অতি দ্রুত করা যায়। অনেক লোভনীয় লাগছে পিঠাটি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার প্রিয় সেমাই পিঠার রেসিপি। আপনার তৈরি পিঠা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। আসলে সেমাই রেসিপি খেতে আমিও বেশ পছন্দ করি। তবে সেই ক্ষেত্রে লাচ্ছা সেমাই হলে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে স্টেপ বাই স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই পিঠাটা খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সেমাই পিঠা রান্না করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এস এই সেমাই পিঠার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে যে কেউটে তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ই আপু এই সেমাই পিঠা গুলো কয়েকজন মিলে বানালে তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। আপনি একা একা বানিয়ে রান্না করলেন।আশাকরি পছন্দের এই পিঠা খুব মজা করে খেয়েছেন।রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি পিঠা তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই পিঠাগুলো খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। তবে নিজে কখনো ট্রাই করে দেখিনি। সত্যি আপু বিদেশের মাটিতে একা একাই সবকিছু করতে হচ্ছে। তবে প্রথমবারেই কিন্তু একেবারে পারফেক্ট পিঠা তৈরি করেছেন আপু।