ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হলো (শেষ পর্ব)
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
হাজির হয়ে গেলাম ভাশুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব নিয়ে। গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বাসা থেকে শুরু করে সেন্টার পর্যন্ত বিয়ের কিছু ফটোগ্রাফি।আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বর আশা থেকে কনের বিদায় পর্যন্ত কিছু ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
ফাস্ট ফ্লোর ছিল কনের আত্মীয়-স্বজনের, আর গ্রাউন্ড ফ্লোর ছিল বরের আত্মীয়-স্বজনের। ফাস্ট ফ্লোর থেকে আমরা গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে এলাম বরকে বরণ করার জন্য। পথে দেখলাম সুন্দর বড় একটি আয়না।আয়নার সামনে আমাদের দুজনের একটি সেলফি তুলে নিলাম।
বর ও তার সাথে থাকা আত্মীয়-স্বজন ঢুকছে গেট দিয়ে।এদেশে কিন্তু বাংলাদেশের মত এত সুন্দর করে গেট সাজানো হয়না। জাস্ট একটি ফিতা গেটের সামনে ধরা হয়। তবে গেটে কিন্তু টাকা দেওয়ার সিস্টেম আছে।টাকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রবেশ নিষেধ। বার্গেইনিং চলছিল দুই পক্ষের যা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।অবশেষে তারা গেটে টাকা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। যাই হোক আমার মেয়ে দুজন ভাগে টুয়েন্টি পাউন্ড করে মোট পেয়েছে ৪০ পাউন্ড।
গেটের মানি।
গ্রাউন্ড ফ্লোর এর ডেকোরেশনটিও অনেক চমৎকার ছিল।
বর আংটি পরিয়ে দিচ্ছে।
এরপর এক এক করে বর ও কনের সাথে ফ্যামিলির সকলেরই ফটো ও ভিডিও করা সম্পূন্ন হলো। এরই মাঝে সকলের খাওয়া-দাওয়াও সম্পন্ন হল।
স্টারটারস দিয়ে খাবার শুরু হয়েছিল যার মধ্যে ছিল চাপ, ফিস ফ্রাই, আরও ২/৩ টি আইটেম। এরপর দেয়া হয় পোলাও, রাইস, চিকেন,শীপ কারি, ডাল ও মাছ।আমার কিন্তু এ দেশের বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার মজা লাগেনা।খুব মিস করি বাংলাদেশের বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবারগুলো।
বিয়ের কেক।
কনে কেক কাটছে।
এরপর সবচেয়ে কষ্টের সময় বিদায় বেলা।নিজে কেঁদে ও সকলকে কাঁদিয়ে অবশেষে শ্বশুরবাড়ির পথে রওনা হলো। যদিও শ্বশুরবাড়ি খুব বেশি দূরে নয়, তাদের বাসা থেকে যেতে প্রায় ২০/২৫ মিনিটের মতো সময় লাগে গাড়িতে। বন্ধুরা আজ তাহলে এতটুকুই।সাথে সাথে সাথেই পর্ব দুটি শেষ করে ফেললাম তা না হলে বাসি হয়ে যাবে।আশা করছি আমার এই পর্ব দুটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।
যারা প্রথম পর্ব দেখেননি তাঁদের জন্যঃ
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই বাংলাদেশের বিয়েতে যে খাবার গুলো দেয় সেরকম টেস্টি খাবার অন্য কোথাও আমার মনে হয় পাওয়া যায় না। তবে আপনার এই পোষ্টের যে ফটোগ্রাফি গুলো আর সেখানকার ডেকোরেশন গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যদিও কেকটা বেশ বড় সাইজের তবে কেকের সৌন্দর্যটাও দারুন ছিল।
বিয়েটা অনেক জাকজমকপূর্ণ ও খুবই সুন্দর হয়েছে তা বলতেই হয়। ডিকোরেশন বেশ সুন্দর হয়েছে। যাই হোক মেয়ের শ্বশুর বাড়ি বেশি দূরে নয়। তবে আমার থেকে বেশি কাছে নয়, আমার মাত্র পাঁচ সেকেন্ড লাগে 😄। আসলে নিজের দেশে অনুষ্ঠান একটু বেশি ভালো লাগে তাই তো মিস করছেন।
বিয়ে মানে আনন্দ। যেকোনো বিয়েতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এর আনন্দ শেষ নেই। এইতো গতকালকে আমি উনি একটি বেখে আসলাম আপু আসলে অনেক আনন্দ করেছি। আপনার ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ হয়েছে এটা যেন বেশ ভালো লাগলো। তাদের দম্পতির জন্য দোয়া রইল। তারা যেন সারা জীবন একসাথে সুখে সংসার করতে পারে আমিন।
প্রথম পর্বটি আমার পড়ারন সৌভাগ্য হয়েছিল। আজ দ্বিতীয় পর্বটিও পড়ে নিলাম। কিন্তু কথা হলো এত সুন্দর ডেকোরেশন করা হয়েছে যে যা দেখে চোখ ফেরানো মুশকিল। গেইট ধরার টাকা দেখলাম কিন্তু পরিমান বুঝলাম না। তবে এদেশে কিন্তু গেইট বেশ ঝমকালো করে সাজানো হয় যা আপনাদের ঐখানে করা হয় না। আর বিদায় বেলার কথা নাই বা বললাম। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই উপস্থাপনা ছিল আপু।
আপু আপনার ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এরকম বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে বেশ ভালই লাগে ।প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার ছিল । বড় আয়নার সামনে আপনাদের সেলফিটিও চমৎকার হয়েছে। আর কেক বেশ চমৎকার দেখতে ,খেতে নিশ্চয়ই বেশ মজার ছিল ।আর আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশের বিয়ের খাবার গুলো কিন্তু সত্যিই ভীষণ মজার হয়ে থাকে । যাইহোক বেশ ভালই বিয়ে তে সময় কাটিয়েছেন ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার ভাসুরের মেয়ের বিয়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবাইকে খুব সুন্দর লাগলো।খাবার দাবার অনেক হলেও, আপনি বাংলাদেশের বিয়ে বাড়ির খাবার মিস করছেন।এটা ঠিক আমাদের খাবার -দাবারের স্বাদই অন্য রকম। মেয়ের বিয়ের কষ্টের সময়ই হলো বিদায় বেলা।যতই কাছে হোক তারপরেও মেয়েকে বিদায় দিতে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন সকলেরই কাঁদতে হয়।ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বিদায় মুহূর্তটা সত্যি অনেক কষ্টের। আমার তো কারো বিয়ের বিদায় মুহূর্তটি দেখলেই কান্না চলে আসে। বিয়ের কেক গুলো কিন্তু খুবই সুন্দর। আর ডেকোরেশন গুলো অসাধারণ লাগছে। তবে বাংলাদেশের বিয়ে বাড়ির খাবার সত্যি অনেক মজার। কি আর করার যেহেতু দেশের বাহিরে থাকেন তাইতো সেই খাবার গুলো মিস করতে হয়। যাইহোক বিয়েতে গেট না থাকলেও গেট ধরার সিস্টেম আছে জেনে ভালো লাগলো আপু। মামনিরা ৪০ পাউন্ড পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু।
ইংল্যান্ডে বিয়ে হলেও বাংলাদেশের অনেক নিয়ম পালন করা হয়েছে বিয়ের মধ্যে, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ডেকোরেশন এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। আপু আমাদের দেশের বাবুর্চিদের মতো রান্না, বিশ্বের কোনো দেশেই পাওয়া যাবে না। তবে খাবারের আইটেম বেশ ভালোই ছিলো। গেইট মানি আপনার মেয়েরা ভাগে ৪০ পাউন্ড পেয়েছে, বেশ ভালোই তো পেয়েছে। বিদায়ের মুহূর্তটা আসলেই খুব কষ্টের। যাইহোক পর্ব দুটি আসলেই বেশ উপভোগ করেছি। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে একটা জিনিস সব থেকে ভালো লাগলো, সেটা হলো বাংলাদেশের বিয়ের মতো লন্ডনের বিয়েতেও গেটে টাকা নেওয়ার নিয়ম প্রচলন আছে। আমার কাছে এই দিকটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আর আপনার ফটোগ্রাফী গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।