নিজ বাগানের ডাঁটাশাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি (10% beneficiary to @shy-fox)
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ডাটা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি নিয়ে। নিজের বাগানের শাকসবজি খেতে মজাই আলাদা, দারুণ তৃপ্তি পাওয়া যায়। হ্যাঁ বন্ধুরা ডাঁটাশাক আমার বাগানের। পূর্বে আমার পোস্টে ডাঁটাশাক এর ফটোগ্রাফি আপনাদের দেখিয়েছিলাম। বাগান থেকে ফ্রেশ ডাঁটাশাক এনে রান্না করেছি। আর এই শাক চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে দারুন মজা হয়। আশা করি আমার এই রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক মূল পর্বে।
চলুন দেখা যাক খাবারটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ লাগবে?
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শাক | হাতের তিন মুষ্টি |
চিংড়ি মাছ | ২৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
রসুন কুচি | ২ চাঃচাঃ |
টমেটো কুচি | চা কাপের এক-চতুর্থাংশ |
হলুদ গুড়া | হাফ চাঃচাঃ |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | ১ টেবিল চামচ |
ধনে পাতা কুচি | চা কাপের এক-চতুর্থাংশ |
কার্যপ্রণালী : ধাপ ১
প্রথমেই বাগান থেকে শাকগুলো তুলে এনেছি । এরপর ভালভাবে ধুয়ে পানি ঝরার জন্য রেখে দিয়েছি ।পানি ঝরার পরে পেঁয়াজ ,টমেটো ,কাঁচা মরিচ , রসুন এবং ধনেপাতা কাটার পর শাকগুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
কার্যপ্রণালী : ধাপ ২
প্রথমে একটি হাড়িতে পেঁয়াজ, টমেটো , কাঁচা মরিচ ও লবণ নিয়ে হালকা একটু পানি দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। এই ফাঁকে চিংড়ি মাছের বরফ ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর শাকগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
কার্যপ্রণালী : শেষধাপ
এবার একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে রসুন দিয়ে বাদামি করে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি ।এরপর হলুদ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে সিদ্ধ করা শাকগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে তিন চার মিনিটের জন্য ফুল আঁচে রেখে দিয়েছি। ৩/৪ মিনিট পরে ধনেপাতা দিয়ে আমার রান্না শেষ করেছি। হয়ে গেল আমার মজাদার চিংড়ি দিয়ে ডাটা শাকের রেসিপি।
ধাপগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
পরিবেশনের জন্য এনেছি, এটি গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন মজা।
ডিভাইস | আইফোন টেন এক্স ম্যাক্স |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tangera |
আশা করি আমার এই আজকের আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
ডাটাশাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি সত্যি অনেক ভালো হয়েছে আপু। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর রেসিপি তৈরী করেছেন। ডাটা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না আমার ও খুব প্রিয় খাবার। প্রবাসে থেকেও বাঙালী রেসিপি স্যালুট বস।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের।
আপু, এই শাক খুবই উপকারী।অসময়ে খেতে ভালো লাগে।খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু তোমার মন্তব্যের জন্য কিন্তু আমি জানিনা কোনটি এর সময় কোনটি অসময়।
ডাটা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখতে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ একদিন নিজে ট্রাই করে দেখব। আপনার রেসিপি উপস্থাপনাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালো ছিল রেসিপি টা আপু। চিংড়ি আমার খুব পছন্দের একটি মাছে। ওখানেও এই শাকের বাগান করেছেন এটা সত্যি অভাবনীয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
ডাঁটাশাক চিংড়ি মাছ দিয়ে বেশ লাগে, এটা আমি জানি। কারন আমাদের বাড়ীতে প্রায় চিংড়ি দিয়ে ভাজি করা হয়। অবশ্য সেগুলোও আমাদের নিজেদের বাগানের। কারন আমি গ্রামের বাড়ীতে গেলেই আম্মু ব্যাগ ভরে দিয়ে দেন, নানা জাতের সবজি ও শাক। খুব সুন্দর রান্না করেছেন আপনি, অবশ্য প্রতিবারই দেখে লোভ লেগে যায় আমার, হি হি হি হি
ভাইয়া এতো দিন কোথায় ছিলেন? অনেকদিন মিস করেছি আপনাকে, এই কয়েকদিনে অনেক আনকমন রেসিপি বানিয়েছি, লাই শাক দিয়ে মাছ ভর্তা, টমেটো আর জলপাই দিয়ে মাছের টক আর মনে মনে আপনাকে খুঁজেছি।
ডাটা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি টা খুবই সুন্দর হয়েছে, ডাটার শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও একটি স্বাস্থকর খাবার। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সবসময়ই ভালো রেসিপি বানান। এই রেসিপিটি খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার দেবার জন্য আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ডাটাশাক আমার খুব বেশি পছন্দ, খুব বেশি। আম্মু তাই প্রায় রান্না করে আমার জন্য,একদম এভাবেই রান্না করে। আপনি খুব ভালো রান্না করেন আর আপনার বাগানের গল্প শুনতে আমার কিন্তু বেশ লাগে। মানে এই যে বাগান থেকে শাক তুলেন।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য ।