শীতে মজাদার ক্যারামেল টি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে প্রচন্ড মাথা ধরা, একটুও ভালো লাগছিল না।আর আজকে অন্যান্য দিনের তুলনায় ঠান্ডা একটু বেশি।ঘরে ঠান্ডা এত বোঝা যায়না, বাইরে বের হলে বোঝা যায়।বাংলাদেশেও শুনেছি অনেক ঠান্ডা। গতবার এই সময় যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলাম তখন এত বেশি ঠান্ডা ছিল না।এ বছর একটু বেশি ঠান্ডা পরছে।যাই হোক মাথা ব্যাথার কারণে একটু অন্যরকমের চা বানিয়ে খেলাম।খেতে দারুন মজা হয়েছিল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
টি প্যাক | ৬ টি |
দুধ | ৪ কাপ |
চিনি | ৪ টেবিল চামচ |
এলাচ | ৪ টি |
পানি | সামান্য |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই একটি হাড়িতে চিনি নিয়েছি।
এরপর মিডিয়াম আঁচে রেখে সামান্য একটু পানি যোগ করেছি।
এরপর অল্প আঁচে কয়েক মিনিট নেড়ে বাদামী বর্নের করে ক্যারামেল তৈরি নিয়েছি।
এরপর ক্যারামেলের মাঝে তরল দুধ দিয়ে দিয়েছি।
এরপর বলক আসলে এলাচগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর টি প্যাকগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ৩/৪ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রেখে আমার ক্যারামেল চা শেষ করেছি।হয়ে গেল আমার মজাদার ক্যারামেল চা।
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এতো সহজে একটা সুস্বাদু চায়ের রেসিপি শিখতে পারবো ভাবতেও পারিনি। বানানোর পদ্ধতি দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে কতটা সুস্বাদু হতে পারে। দুধ চা আমার কাছে এমনিও ভালো লাগে। আশা করি শিগ্রই এই ইউনিক রেসিপিটি আমি বাসায় চেস্টা করবো।
অবশ্যই ভাইয়া ট্রাই করে দেখবেন এবং জানাতে ভুলবেন না যেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সকাল বেলায় এরকম এক কাপ চা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন গত বছরের তুলনায় এ বছর ঠান্ডা টা একটু বেশি পরেছে। আজ দুদিন অবশ্য বেশ ভালো রোদ উঠেছে। ক্যারামেল চা অনেক দেখেছি এবং বাইরে খেয়েছি। কিন্তু কখনো নিজে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। কারণ আমি যাতে চিনি খাই না। কিন্তু এরকম ক্যারামেল চা খেতে খুবই মজাদার হয়। চায়ের কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে একদম পারফেক্ট চা হয়েছে।
সত্যি একদম পারফেক্ট ছিল, খেতে অনেক টেস্টি ছিল, আর তোমার চা তৈরীর কথাও মনে পড়ে গেল।
হ্যাঁ আপু গত কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশেও প্রচন্ড শীত পড়েছে । আজ দুই দিন যাবত শীত একটু কমেছে । যাইহোক, আপনার মাথাব্যথা যেন তাড়াতাড়ি সেরে যায় সেটাই কামনা করি। ক্যারামেল টি যেটা কখনো খাওয়া হয়নি খুব সুন্দর দুধ চায়ের মত লাগছে।
দেখতে চায়ের মতো এবং খেতেও একটু ভিন্ন স্বাদের।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
তার মানে শীত সব দেশে ভালোই পড়ছে।
শীতের সময় চা খেতে ভালো লাগে, তবে কখনো ক্যারামেল চা খাওয়া হয়নি। তবে কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আজকে দেখে নিলাম। শীতের প্রকোপ একটু কমলে পরে একদিন ট্রাই করে দেখব।
কেন ভাইয়া এই বেশি শীতের সময় তো খেতে বেশি মজা। ট্রাই করে দেখুন খুবই ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ গতবার এই সময় এতটা শীত ছিল না তবে এবার প্রথম দিকে শীত না থাকলেও এখন অনেক ঠান্ডা পরেছে। তবে গতকালের ঝলমলে রৌদ ঠান্ডা একটু কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশে তো এখনো অনেক ঠান্ডা। যাই হোক আমি চা পান করতে খুব পছন্দ করি। তারজন্য আপনার চা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। এভাবে ক্যারামেল তৈরি করে কখনো চা বানানো হয়নি। আমি আজই এই পদ্ধতিতে চা বানানোর চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপু ইউনিক চা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু খুব জানতে ইচ্ছে করছে আপনি কি বানিয়ে খেয়ে দেখেছিলেন? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসসালামু আলাইকুম আপু। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশাকরি ভাল আছেন।বাংলাদেশে শৈত্য প্রবাহের কারনে ঠান্ডা এ কদিন খুব বেশি ছিল। আর রোদ ও ছিল না।তবে কাল থেকে ঠান্ডা কমেছে রোদ উঠেছে। আপনাদের ওখানেও খুব ঠান্ডা পরেছে।এই ঠান্ডায় মাথা ব্যথা, আরো নানান সমস্যা আসলে তৈরি হয়। আপনি মাথা ব্যথা কমাতে দারুন একটা চা এর রেসিপি আজ শেয়ার করলেন আপু। 🥰 চা আমার প্রান। সেই চা এর মজার রেসিপিটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার।😍আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে চা বানানোর প্রসেস তুলে ধরেছেন, শিখে নিলাম। বাসায় অবশ্যই একদিন করে পান করব।ধন্যবাদ আপু মজার এই ক্যারামেল টি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভাল থাকবেন আপু। 💕💞
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ও মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন।
সত্যি বলতে আমার মনে হচ্ছে গত বছরে তুলনায় এ বছর শীতের পরিমাণটা অনেক বেশি শুধু আমি না এই কথাটা যেখানে যাচ্ছি সেখানে কার মানুষই বলছে। আর আপনাদের ওখানে তো আরো বেশি শীত। যাই হোক শীতের মৌসুমে নিজের শরীরের যত্ন নেবেন বলে আশা রাখি। খুবই সুস্বাদু একটি ক্যারামেল চা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু ছিল।
জ্বী ভাইয়া অনেক মজার, একবার ট্রাই করে দেখবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
জি কয়েকদিন যাবৎ বেশ ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডায় যেন জমে গিছি। পা আর চলে না। আর এই শীতের মধ্যে আপনি অত্যান্ত সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের জন্য শেয়ার করলেন। আপনার পিঠা দেখে তো জিবে জল চলে আসছে। অনেক সুন্দর করে শীতে মজাদার ক্যারামেল টি রেসিপিটি উপস্থাপন করলেন আপু।
আপু এটাতো পিঠা নয়, এটা তো চায়ের রেসিপি।
এই শীতে এমন ক্যারামেল চা ই প্রয়োজন সবার জন্য। ক্যারামেল চা আগে কখনো বাড়িতে করে খাইনি, এগুলো বাইরে থেকে কিনেই খাই সবসময়। সত্যি কথা বলতে গেলে কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটাই জানতাম না, সেই জন্য কখনো বাড়ি করে খাওয়া হয়নি। যেহেতু আজ শিখতে পারলাম তাই কোন একদিন সুযোগ পেলে বাড়িতে অবশ্যই করে খাব।
জ্বী ভাইয়া একবার ট্রাই করে দেখবেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।