আমার পছন্দের বাংলাদেশি কিছু সবজি ও ফল কেনাকাটা
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমাদের এখানে ঠান্ডা একটু কম ছিল, আবার শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডা। আজকে সকালবেলায় -2 ডিগ্রি ছিল তাপমাত্রা। ঠান্ডা থাকলেও কিন্তু অনেক সুন্দর রোদ উঠেছিল বেলা বাড়ার সাথে সাথে। এমন থান্ডা আবহাওয়া আরও প্রায় এক সপ্তাহের মতো থাকবে । যাইহোক এখন চলে যাচ্ছি মূলপর্বে। আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার পছন্দের কিছু শাকসবজি ও ফলমূল কেনাকাটা নিয়ে। সাধারণত আমরা মাছ- মাংস, শাকসবজি সবকিছু অর্ডার দিয়ে বাসায় আনিয়ে থাকি।নিজে গিয়ে খুব কমই আনা হয়।গতকাল হাজব্যান্ড গিয়েছিল হোয়াইটচ্যাপেল, যাকে বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। এটি লন্ডন সিটির মধ্যে অবস্থিত, আমাদের বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে, তাই বেশি যাওয়া আসা হয় না। বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কারণ এখানে বেশিরভাগ বাঙালি বসবাস করে এবং বাংলাদেশের যাবতীয় ফলমূল, শাকসবজি সবকিছুই এখানে পাওয়া যায়। এখান থেকে হাজব্যান্ড আমার পছন্দের কিছু শাকসবজি ও ফলমূল কিনে এনেছে যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
একনজরে আমার পছন্দের সব শাকসবজি ও ফলমূল
প্রথমেই ফলমূল দিয়ে শুরু করলাম, যার শুরুটা করলাম আমার পছন্দের লিচু দিয়ে।
লিচু আমার আর ছোট মেয়ের অতি পছন্দের।
বড়ই। জানিনা এখন বাংলাদেশে বড়ই এর সিজন কি না?কোথা থেকে আসলো বড়ই গুলো।
জলপাই, আচার বানানোর জন্য প্লান করেছি।
কাঁচা আম কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়ার জন্য রেডি।
পেয়ারা ও লেবু।
এবার আসছি পছন্দের কিছু ভেজিটেবলস নিয়ে।
টাটকা শিমের বিচি, ফ্রজেন নয়।
শিম
পুঁই শাক
লাল শাক। শাকের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের হচ্ছে লাল শাক আর পুঁইশাক।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাংলাদেশে মোটামুটি ভালোই ঠান্ডা পরেছে ২ দিন যাবত।আসলে দেশীয় খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।লিচু আমারো বেশ পছন্দের ফল।সামনে আসছে লিচুর সিজন।আপু বাংলাদেশে এখন বরই সিজন চলছে,বরই গুলো দেখে মনে হচ্ছে টকবরই।শিমের বিচি আমার ছেলের বেশ পছন্দের সবজি।ভালো লাগলো দেশীয় ফল এবং সবজির ছবি দেখে।ধন্যবাদ
আপু ঢাকাতে ঠান্ডা একটু কম ছিল, এখন আবার কিছুটা বেড়েছে।তবে সহনীয়। হোয়াইটচ্যাপেল বাংলাদেশীদের প্রানকেন্দ্র।এখানে বাংলাদেশী যেমন বেশি আবার বাংলাদেশী সব ফল ও সবজি পাওয়া যায়।সেখান থেকে আপনার আর ছোট মেয়ের পছন্দের লিচু আনা হলো খুব ভাল।আর আপু এখন বরই এর সিজন। তবে দিন ছাড়া আম দেখে বেশ ভাল লাগলো। এখন এই শীতে লাল শাক খুব মজা হয় খেতে।আপনার পছন্দসই জিনিস আনা হয়েছে দেখে খুব ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
বেশ দারুন আর পাকা বড়ই কিনে এনেছে ভাইয়া। বাংলাদেশে এখন বড়ই এর সিজন গাছে গাছে প্রচুর বড়ই ধরে আছে। তবে আম গাছে এখনো আমের মুকুল পড়েছে। কিছু কিছু গাছে আম ধরেছে, তবে বড় হয়নি। কিন্তু শাকসবজি যেগুলো দেখলাম সবগুলো কিন্তু একদম সিজনাল সবজি। বাংলাদেশের টাটকা শাকসবজি ফলমূল সেখানেও পেয়েছেন। বাংলাদেশের খাবারের স্বাদ নিতে পেরেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।
আপু বাংলাদেশের গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভালো রকম ঠান্ডা পড়ছে। তবে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস শুনে অবাক হলাম। এ ধরে তাপমাত্রা বাংলাদেশে পড়লে বাংলাদেশের মানুষ সবটাই মারাই যাবে। আপনি যেসব দেশীয় ফল গুলো পছন্দ করেন তার অধিকাংশ গুলোই আমার অনেক পছন্দ। লিচু ফল বরাবরই আমার অনেক পছন্দের একটি ফল। আর শীতের সময় তো বাংলাদেশের সবজি সমরহ। এই সময় সবজি বেশি পাওয়া যায়।অনেকটা শীতের সময় সবজির মাস বলা হয়ে থাকে। ওখানে দেশেও কিছু সবজি দেখে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
আপু বাংলাদেশে দুই দিন ধরে আবার ঠান্ডা পড়েছে তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এখানেও খুব সুন্দর রোদ ওঠেছে। আপু এখন বাংলাদেশে আম, লিচু আর জলপাইয়ের সিজন চলে গিয়েছে তবে বরই, শিম বিচি সহ বাকি সবজি ও ফল পাওয়া যায়। আমিও লালশাক খেতে খুবই পছন্দ করি। গতকালও লালশাক রান্না করেছিলাম। আপনি বিদেশে থেকেও বাংলাদেশের এত ফলমূল ও সবজি পেয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঢাকায় ও শীত মাঝখান দিয়ে একটু কমে ছিল। এখন আবার একটু শীত পড়ছে। আমাদের দেশীয় ফল এবং সবজিগুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আমাদের এখানে এখন প্রচুর পরিমাণ বড়ই পাওয়া যায়। কিন্তু আম এবং লিচুর সিজন এখনো আসেনি আমের মাত্র মুকুল এসেছে। কাঁচা আম কাসুন্দি দিয়ে খাওয়ার মজাটাই আলাদা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। সিমের বিচি আমার খুবই পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফল ও সবজির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠান্ডা যতই পড়ুক তার মধ্যে রোদ উঠলে খুবই ভালো লাগে কিছুটা ঠান্ডা কম লাগে তখন। বিদেশে থাকলে বাংলাদেশের খাবারের প্রতি অনেক বেশি চাহিদা তৈরি হয় মনে হয় মানুষের। ভাইয়া তো আপনার পছন্দের বেশ কিছু ফল নিয়ে এসেছে। এখন বাংলাদেশে বড়ই এর সিজনই চলছে। এজন্যই বড়ই পেয়েছেন। আর এই সময়ে লিচু এবং কাঁচা আম কোথায় পেলেন? এগুলো কি ফ্রোজেন? দেখেইতো লিচুগুলো খেতে ইচ্ছা করছে। যাই হোক সবজিগুলো বেশ টাটকা মনে হচ্ছে। জলপাইয়ের আচারের রেসিপি নিশ্চয়ই শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু।
বাংলাদেশে এখন বড়ই পাওয়া যাচ্ছে আপু। গাছে গাছে বড়ই পাকতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ফল, শাকসবজি দেখে ভালো লাগলো। বিদেশের মাটিতে থেকেও খুব সহজেই এগুলো পাওয়া যাচ্ছে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। শীত এখন সব জায়গাতেই। -2 ডিগ্রি তাপমাত্রা ভাবতেই অবাক লাগছে আপু। তবে আমাদের এখানে ঠান্ডা আগের তুলনায় অনেকটা কম।
আপু আপনার দেশীয় ফলের কেনাকাটা দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আর আপনি ঠিকই ধরেছেন এখন বাংলাদেশে বড়ই এর সিজন। যদিও এখনো আমাদের খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনাদের ওখানে ঠিকই চলে গিয়েছে। লিচুগুলো দেখেই এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। আমাদের এখানে লিচুর সিজন এখন না। আপনাদের তো দেখছি সিজন ছাড়া ও সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ।বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ।