বাচ্চাদের প্রথম ইয়ার রিং পরার মুহূর্ত, 10% beneficiary to @shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম ,

সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। গতকাল সারাদিন লন্ডনে কাটিয়েছি, আজকেও জরুরি কিছু কাজে বের হয়েছিলাম, সাথে শপিং ও ছিল।আপনারা অনেকেই জানেন আমার দুটি মেয়ে , তাদের এখনো কান ছিদ্র করা হয়নি, এখনো কানের দুল পরাতে পারিনি। আজকে শপিং এ যাওয়ার মেইন উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাদের কান ছিদ্র করা, কারন লম্বা সময়ের জন্য তাদের স্কুল বন্ধ আছে , তাই সুজোগটি কাজে লাগিয়ে ফেললাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি তাদের কান ছিদ্র করার সিস্টেম এবং তাদের ফিলিংসগুলো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।

63D62487-7D4F-40F1-9EDE-9C8A522E1D55.jpeg

Ear piercing দোকানে যাওয়ার পর তারা বলল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট করতে হবে, আজকে তিনটার সময় অ্যাপোয়েন্টমেন্ট দিয়েছিল।মাঝে আমাদের একঘন্টা সময় ছিল, তাই সবাই মিলে টুকটাক কিছু খাবার খেয়ে নিলাম, এরপর টাইম মতো ফিরে এলাম। বড় মেয়েটা একেবারেই ভীতু, ভয় পাচ্ছিল।এদিকে আমার ছোট মেয়ে খুবই সাহসী সে মোটেও ভয় পাচ্ছিল না।এ জন্য ছোট মেয়েকে দিয়েই শুরু করলাম।তারা খুব যত্ন সহকারে কাজটি করছিল দেখে ভালই লাগছিল।হাল্কা একটু ব্যাথা পেয়েছিল। প্রথমেই তারা কানে একটি চিহ্ন এঁকে নেয়, তারপর ওই চিহ্ন বরাবর একই সাথে দুজনে দুই কান ছিদ্র করে ।কান ছিদ্র করার সাথে সাথে তারা ইয়ার রিংস কানে পরিয়ে দেয়। এ কারণে আমাদেরকে চয়েস করতে হয়েছিল কোন ইয়ার রিংস তাদেরকে পরাবো। বিভিন্ন ধরনের ইয়ার রিংস সেখানে ছিল । গোল্ড ছিল,ডায়মন্ড ছিল, আমি আমার মেয়েদের জন্য দু'জোড়া ডায়মন্ড এর ইয়াররিং সিলেক্ট করেছিলাম। বলেছে ছয় সপ্তাহ এই কানের টপ পরিয়ে রাখতে হবে। এরপর সাথে কিছু মলম ও দিয়েছে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করার জন্য। এরপর বড় মেয়ের পালা, একটু ভয় পেয়েছিল এবং ছোট মেয়েকে জিজ্ঞাসা করছে কোনো ব্যথা আছে কিনা? ছোট মেয়ে বলেছিল হালকা একটু ব্যথা পেয়ছি। তারপর একটু সাহস পায়। তারা বড় মেয়েকে নিজের মোবাইলটা পর্যন্ত হাতে দিয়েছে যেন তার কনসেনট্রেট মোবাইলের উপরে থাকে। অনেক ভুলিয়ে-ভালিয়ে তারা কাজটি সম্পন্ন করেছে। যাই হোক অবশেষে তারা দুজনেই সাকসেসফুল।

414AAE41-FE9E-47A6-A68E-0B68CEFDBDB2.jpeg

CEF43956-226E-49B9-B53F-B70F518C2EDE.jpeg

D104E40F-0075-4E09-804F-122D9CD8D40A.jpeg

798726F5-F18B-411A-9CA5-B4631C4FC032.jpeg

53B07B46-5B68-4BD0-9A23-D05B8AEECCF8.jpeg

3F7D86F5-D68C-463F-AEA1-3B2614452B53.jpeg

E4F64B77-C95B-42D3-9EAD-CAE512A61BBD.jpeg

what3words address

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
Sort:  
 2 years ago 

বেশ দারুন তো।শুভ কামনা রইল আপু মেয়েদের জন্য।আমি শুনেছিলাম সরিষার তেল দিলে নাকি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।ভালো থাকুক এই প্রত্যাশায়।ধন্যবাদ

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু ওরা একটি মেডিসিন দিয়েছে, ওটি ইউজ করছি, কোন প্রবলেম হয়নি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপনার ছোট মেয়ে অনেক সাহসী যে কারণে সে এয়ার ফুটো করতে কোন ভয় পায়নি এবং পাশাপাশি তার থেকে আপনার বড় মেয়ে অনেক সাহস পেয়েছে যে কারণে সে প্রথমে ভয় পেলেও পরে তা কেটে গেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার দুই মেয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

 2 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

বেশ দারুন ছিল ইয়ার রিং পরার মুহূর্ত। বাচ্চা দুটি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার বড় মেয়ে যে ভীতু শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো। কারন আমার বড় আপু খুব ভীতু। আপনার ছোট মেয়েটিকে দিয়ে কাজটি শুরু করেছিলেন দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

জি ভাইয়া বড়রা একটু ভীতু হয়, আমিও ঠিক তাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

কান কি অবস ছাড়াই ছিদ্র করলো? তাহলে তো বেশ ব্যথা পাওয়ার কথা। মানহার মুখ দেখেই মনে হচ্ছে বেশ ব্যথা পেয়েছে। আর আমাদের সাহসী রিহা খুব খুশি। যাক অবশেষে দুজনের কান ছিদ্র সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ভালোবাসা রইলো বাচ্চাদের জন্য।

 2 years ago 

মনে হয় অবশ করে নিয়েছে, কারণ অনেক কিছু দেখলাম ইউজ করছে, অনেক ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

মানহার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সে খুবই ভয় পেয়েছিল। ওদের দেখে আমার প্রথম ইয়ার রিং পরার মুহূর্তর কথা মনে পড়ে গেল। আমিতো এক কানে ইয়ার রিং পরে অন্য কানে হাত দিয়ে বসে ছিলাম ইয়ার রিং পড়বো না বলে🤭। অনেক কান্নাকাটিও করেছিলাম। অবশেষে অনেক জোর করে ইয়ার রিং পড়ানো হয়েছিল🤭। মনে পড়লে এখনও হাসি পায়। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাদের সবার জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা 🥰

 2 years ago 

আমারও আপু ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। কারণ ছোট বেলায় আমার এক কান একজন ছিদ্র করেছিল, পরের দিন আরেকজন ছিদ্র করেছিল। অনেক ভয় পেয়েছিলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপু আজকে আপনার এই পোস্ট পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমি যেদিন প্রথম কানে রিং পড়েছিলাম সেদিন খুবই ভয় পেয়েছিলাম। আজকে আপনার মেয়েদের কানে রিং পরানোর গল্প পড়ে সেই দিনগুলোর মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। আপনার মেয়েদের জন্য শুভকামনা রইল আপু।♥️♥️

 2 years ago (edited)

জি আপু আমারও একই কেস, খুবই ভয় পেয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আমার মনে হয়, আমি মেয়ে হলে এই কাজ কখনই করতে পারতাম না ভয়ে।অথচ পিচ্চি কত সাহসিকতার সাথে করে ফেলেছে।তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।

 2 years ago 

আপনি দেখি আমার মেয়ের থেকেও আরো বেশি ভীতু। ছেলেমানুষ এত ভীতু হলে চলে? ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

পরিবারের ছোট মেয়ে গুলা আসলে একটু বেশি সাহসী হয় আপু 🤭 । আপনার ছোট মেয়ে খুব সহজেই কান ছিদ্র করিয়ে নিল । যাই হোক আপু আপনার দুই মেয়ের জন্য দোয়া রইল ।

 2 years ago 

ছোট মেয়ে বলেছিল হালকা একটু ব্যথা পেয়ছি। তারপর একটু সাহস পায়।

আপনার বড় মেয়ের থেকে দেখছি আপনার ছোট মেয়েই অনেক সাহসী।

আসলে কানে এই ধরনের ইয়ারিং পড়ানোর কারণে মেয়েদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়ে যায়। খুবই ভাল কাজ করেছেন স্কুল বন্ধের মধ্যে এই ধরনের কাজগুলো সম্পন্ন করে ফেলে।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66705.81
ETH 3626.46
USDT 1.00
SBD 2.93