স্কুলের জন্য বাকি কেনাকাটা সেরে ফেললাম
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আর মাত্র ১০ /১২ দিন বাকি রয়েছে বাচ্চাদের স্কুল খোলার। স্কুলের ব্যাগ জুতা সহ টুকিটাকি যেগুলো বাকি ছিল সেগুলো কিনে ফেললাম।নতুন ক্লাস তাই সবকিছুই নতুন লাগে।স্কুলের ড্রেস, জুতো, ব্যাগ, লাঞ্চ ব্যাগ, পানির বোতলসহ যাবতীয় সবকিছুই কিনতে হয় তখন।এই দুইদিন ওয়েদারের অবস্থা খুবই খারাপ, একটানা বৃষ্টিপাত হয়েই যাচ্ছে।আমরা আমাদের কেনাকাটা বৃষ্টিপাত হওয়ার আগেই শেষ করে ফেলেছি, তাই এখন আর কোন ঝামেলা নেই।এখন শুধু অপেক্ষায় রয়েছে কখন তাদের স্কুল খুলবে।নতুন ক্লাস, নতুন টিচার অন্যরকম এক এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে তাদের মধ্যে। তবে আমার বেশি ভালো লাগতো বাংলাদেশে যখন নতুন ক্লাসে গেলে নতুন নতুন বই হাতে তুলে দিত খুবই আনন্দের ছিল সেই দিনগুলো।বারবার শুধু বইয়ের ঘ্রান নিতাম, খুবই ভালো লাগতো তখন।এই দেশে বাচ্চাদের নতুন কোন বই দেওয়া হয় না।এমন কি তাদের নির্দিষ্ট কোন বইও নেই তাদের ক্লাসে।এদেশের লেখাপড়া আর বাংলাদেশের লেখাপড়ার মধ্যে রাত-দিন পার্থক্য। যাইহোক চলুন তাহলে এক নজরে আমাদের কেনাকাটা গুলো দেখে নেওয়া যাক।
শপিং মলের ভেতরের দৃশ্য।
প্রথমেই চলে যাই ক্লার্ক সু শপে।এখানকার জুতাগুলো যেমন এক্সপেন্সিভ, তেমনই টেকসই। কিছুই হয় না এক বছর পড়ার পরও। ।স্কুলে যেতে হলে দু’রকমের জুতার প্রয়োজন হয়।একটি নরমাল জুতা, আরেকটি শরীরচর্চার জন্য ট্রেইনার।যাই হোক ক্লার্ক থেকে দুই জনের জন্য ২ জোড়া নরমাল জুতা কিনে নিলাম। আর জুতার দাম ফিফটি পাউন্ড করে নিয়েছে, দুজনের টোটাল 100 পাউন্ড লেগেছে যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ১৫ হাজারের মতো।এখন সব কিছুরই দাম আকাশ ছোঁয়া। আগে যেখানে ৩৫ পাউন্ড করে কিনতাম এখন সেগুলো প্রাইজ প্রায় ৫০ পাউন্ড এর মত।
এরপর চলে গেলাম ট্রেইনারের শপে। সেখানেও দাম আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু দাম ডিপেন্ড করে কোম্পানির উপর। বড় মেয়ের জন্য কিনলাম নাইক কোম্পানির জুতা। তাই দাম নিয়েছে ৫০ পাউন্ড। আর ছোট মেয়ের জুতার কোম্পানি একটু ডিফারেন্ট ছিল এজন্য ওর দাম পড়েছে একটু কম, ২৬ পাউন্ড।বেশ ভালোই কম পড়েছে ছোট মেয়ের জুতা।ছোট মেয়ে ওই জুতাই পছন্দ করেছিল, অন্য গুলো তার ভালো লাগেনি তাই তাকে তার পছন্দ মতই কিনে দিলাম।
এরপর ট্রেইনারের শপ থেকে চলে গেলাম স্কুট ব্যাগের শপে। বড় মেয়ের ২-৩ মাস আগে একটি ব্যাগ কিনে দিয়েছিলাম তাই তার আর লাগেনি। ছোট মেয়ের জন্য একটি কিনে দিলাম। কিন্তু এখানেও দেখি একই অবস্থা।৫০ পাউন্ডের নিচে কোন ব্যাগই পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু কি আর করা? মেয়ে যেটি পছন্দ করেছে সেটাই তো কিনে দিতে হবে।অবশেষে তাদের আরো কিছু টুকিটাকি জিনিসপত্র কেনার পর ঘরে ফিরে এলাম।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
নতুন ক্লাসের আনন্দ অন্যরকমই থাকে। ভালো করেছেন আগে থেকে সব কেনাকাটা শেষ করে ফেলে। না হলে তো এই বৃষ্টির ওয়েদার এর মধ্যেও কষ্ট করে কিনতে হত। ঠিকই বলেছেন আপু আমাদের সময় নতুন ক্লাসের আনন্দটা অন্যরকম ছিল। যাইহোক বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর জুতা কিনেছেন। চমৎকার হয়েছে জুতাগুলো। ভালো লাগলো দেখে।
নতুন ক্লাস যখন শুরু হয় তখন সবকিছুই নতুন নতুন লাগে বাচ্চাদের জন্য। দুই মেয়েকে অনেক কিছুই কিনে দিয়েছেন স্কুলের জন্য যেটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। তবে সবকিছুর দাম তো দেখছি একেবারে আকাশ ছোঁয়া। এত বেশি দাম, তবুও তাদের পছন্দমত কিনে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। তাদের পছন্দ হলে না কিনে দিলে তো আর হয় না। জুতাগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। আর ব্যাগটাও অনেক সুন্দর।
আসলেই ছোটবেলা নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে ভীষণ ভালো লাগতো। যাইহোক আপনার দুই মেয়েকে তো দেখছি অনেক কিছুই কিনে দিয়েছেন। আসলে নতুন ক্লাস বলে কথা,সবকিছু নতুন না হলে হয় নাকি। যাইহোক পৃথিবীর সব জায়গায় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। নাইক কোম্পানির জুতা আমার খুব পছন্দ। আমি নিজেও নাইক কোম্পানির জুতা ব্যবহার করি। সাউথ কোরিয়া থেকে আসার সময় নাইক,রিবোক এবং এডিডাস কোম্পানির ৪/৫ জোড়া জুতা নিয়ে এসেছিলাম। যাইহোক আপনার ছোট মেয়ের ব্যাগটা খুবই সুন্দর লাগছে। তাছাড়া বাকি সবকিছুই খুব সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।