আমার আজকের দিন লিপি (10% beneficiary to @shy-fox)
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আজকের সারাদিনের কার্য লিপি নিয়ে। মোটামুটি প্রতিদিনই আমার কাটে অতি ব্যস্ততার সাথে , সারাদিন কাজকর্ম করতে করতে দিন চলে যায়, রাতে একটু সময় পাই আর সেই সময়টুকু কাজে লাগাই স্টিমিট এ। আজকে আমার কার্য লিপিকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে যাচ্ছি আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে।
আমার বাগানের জেরালিয়াম ফুল।
প্রতিদিনের মতো ভোর সাড়ে ৪ টায় ঘুম থেকে উঠি ফজর নামাজ পড়ার জন্য, এরপর নামাজ পড়ে আবার সোয়া পাঁচটার দিকে ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে সকাল সাড়ে আটটা থেকে নটার মধ্যে উঠে যায়। আজকের বাচ্চাদের স্কুল ছিল না তাই একটু দেরি করে উঠেছি কিন্তু অন্যান্য দিন সকাল সাড়ে ৬ টায় ঘুম থেকে উঠি। শনি আর রবিবার এ দুটি দিন একটু আরাম করেই ঘুমাই, কারণ এ দুটি দিন বাচ্চাদের স্কুল থাকে না। সোয়া পাঁচটার সময় ঘুমিয়ে সাড়ে ছয় টার সময় উঠা সত্যিই খুবই কষ্টকর ব্যাপার, তারপরও কি আর করা বাচ্চাদের স্কুলের জন্য তো উঠতেই হবে। এরপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাচ্চাদেরকে নাস্তা দেওয়া, তারপর আমরা নিজেরাও নাস্তা করে ফেলি। প্রতি শনি ও রবিবার এ স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে মসজিদে পাঠাই আরবি শিক্ষার জন্য। এ সপ্তাহে ওদের মসজিদ বন্ধ, কারণ মসজিদে কয়েকজনের করণা পজিটিভ হয়েছে।
এরপর সকাল ১১ টার মধ্যে চলে যাই আমার রান্নাবান্নার কাজে। আসলে রান্নাবান্না কাজটি আমার কাছে খুবই কঠিন লাগে। আমার রান্না করতে অনেক সময় লাগে, সারাদিন চলে যায় রান্না করতে। বাংলাদেশের প্রায় সকলের বাড়িতে কাজের লোক থাকে হেল্প করার জন্য, কিন্তু আমাদের এখানে কোন কাজের লোক নেই, নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। যাইহোক দুইটার মধ্যে রান্না শেষ করে ফেলি এবং বাচ্চাদেরকে গোসল করিয়ে ভাত খেতে দিয়ে যোহরের নামাজ পড়ে নেই।এরপর আমরাও খাবার শেষ করি, শেষ করতে করতে প্রায় তিনটা সাড়ে তিনটা বেজে যায়। এরপর আধা ঘন্টা রেস্ট নিয়ে বাচ্চাদের হোমওয়ার্কে একটু হেল্প করি।
এগুলো আমার বাগানের ফুল আগের ফুলগুলো সব ঝরে পড়ে আবার নতুন করে এই ফুলগুলো ফুটেছে।
এরপর বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাগানে গিয়ে বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করি। ইতিমধ্যেই আপনাদের সাথে আমার বাগানের কিছু ফলমূল ও শাকসবজির ছবি শেয়ার করেছি আজকেও কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন উপভোগ করা যাক।
এই ফলের গাছ কি আপনারা চিনতে পেরেছেন ?এটি হচ্ছে তীন ফল গাছ ইংরেজিতে বলে fig, পবিত্র কুরআনে এই ফলের নামে একটি সূরা রয়েছে,সেটির নাম হচ্ছে সূরা তীন। এই ফলের অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে এবং এই ফলটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল ও বটে। অনেক মূল্য দিয়ে এ ফলটি কিনতে হয় ।
এই গাছটি কি আপনারা চিনতে পেরেছেন ?এটি আমাদের অতি পরিচিত লেবু গাছ।এই গাছটির চারা বাংলাদেশ থেকে লাগেজে করে এনেছিলাম। প্রথমে টবে লাগিয়েছিলাম, প্রচণ্ড শীতে গাছটি মরে যায় কিন্তু শিকর তাজা ছিল তাই আমার হাজব্যান্ড টব থেকে মাটিতে লাগিয়ে দেয়। পড়ে অলৌকিকভাবে আমার এই পছন্দের গাছটি ধীরে ধীরে আবার বড় হচ্ছে। আবার শীত আসছে, জানিনা গাছটি আবার বেঁচে থাকবে না মরে যাবে?
বাগান থেকে একটু ঘোরাঘুরি করে রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করলাম, আর এই ফটোগ্রাফি গুলো ক্যামেরাবন্দি করলাম।
what3words address.
https://w3w.co/advice.deputy.smiled
পরে বাসায় এসে আসরের নামাজ পড়ে ঘরের কিছু কাজ গোছগাছ করে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাচ্চাদের খাবার দেই। খাবার খেয়ে ওরা বিছানায় শুয়ে পড়ে কারণ আগামীকাল স্কুল, সকালে উঠতে হবে ।আমি এই ফাঁকে এশার নামাজ পড়ে নেই। এরপর শুরু হয়ে যায় আমার আজকের এই পোস্ট টি লেখা। রাত সোয়া এগারটার মধ্যে আমার পোস্টটি কমপ্লিট করি, এরপর সাড়ে এগারোটার সময় বিছানায় যাই। এটি ছিল আমার সারাদিনের কাজ কর্ম।
ডিভাইস | আইফোন টেন এক্স ম্যাক্স |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tangera |
আশা করি আমার এই আজকের আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
দিদি আপনার বাগানে অনেক ফলের গাছ তো। আপেল ও আছে মনে হলো। এগুলোর পরিচর্যায় অনেকটা সময় দেন নিশ্চই।
যা বুঝছি তীন আর আমাদের ডুমুর এক জিনিস। আপনি যে গাছের চারা নিয়ে গেলেন আপনি কি Seed Certification নিয়েছিলেন, নিয়মটা কি আছে?
দাদা আমি বাংলাদেশের একটি নার্সারি থেকে চারা কিনেছিলাম যা প্রায় দেড় হাত ছিল, আমি আসলে আপনার প্রশ্নটা বুঝতে পারিনি আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন? অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এক দেশ থেকে অন্য দেশে চারা গাছ বা বীজ নিয়ে গেলে একটা Certification করতে হয়, সেটাই জিজ্ঞেস করেছিলাম
না দাদা কোন সার্টিফিকেশনের দরকার হয়নি, কারণ এয়ারপোর্টে তারা যখন চেক করে আমরা বলেছিলাম এটি আমাদের বাগানের জন্য নিয়ে যাচ্ছি তখন তারা কিছু বলেনি।
আচ্ছা তাহলে তো ভালোই
খুব সুন্দর হয়েছে। ছবি গুলি মনের মাধুরী মিশিয়ে ক্যামেরা বন্দি করেছেন ।অনেক ভালো লেগেছে ।অনেক অনেক শুভ কামনা আপু
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার সকলের কার্যক্রম টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আপনি অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়েছেন।আবার পরিবারের জন্য রান্নাবান্না বাচ্চাদের হোমওয়ার্কে সাহায্য করা, সব মিলিয়ে আপনার কার্যক্রম আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার বাগানের সৌন্দর্যটা অনেক মুগ্ধকর😍
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার দিনটা অন্যসকল গৃহিনীর মতোই কেটেছে। সারাদিন খুব ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনার বাগানের ফুলগুলো খুবই সুন্দর। আপনার জন্য শুভকামনা। সবমিলিয়ে মোটামুটি ব্যস্ততম একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
🙂🙂
আপনার দিনলিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার ফুল এবং ফল গাছগুলো দারুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল 🥀
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার দিনটা ভালো কেটেছে আমরা সাধুবাদ জানাই যে এরকম দিন যেন সামনে আরো অনেক আসে।
আপনার পোস্টের ফটোগুলো খুব সুন্দর ছিল।সব মিলিয়ে অভিন্দন আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার আজকের দিনটা তো ভালোই কেটেছে।বাগানের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আর রাস্তাটা কি সুন্দর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেখে খুব ভালো লাগলো।আহারে আমাদের দেশের রাস্তাগুলো যদি এমন হতো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হুম, সবই ঠিক আছে কিন্তু কৌশলে আপেল গাছগুলোর কথা এড়িয়ে গেছেন, ভাবছিলাম এগুলোও হয়তো আপনার বাগানের গাছ, দাওয়াত খেতে গেলে কিছু আপেল ছিড়ে নিয়ে আসতাম, হি হি হি
ফটোগ্রাফিগুলো সত্যি সুন্দর হয়েছে, তবে প্রথম ফুলের গঠনশৈলী খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ
কি বলেন হাফিজ ভাই বড় কষ্ট পেলাম! এগুলি সবই তো আমার বাগানের, কতবার আমি এই আপেলের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, তাই আজকে আর কিছুই বলিনি, মনে হয় খেয়াল করেননি।
যাহ! দেখছেন আমার স্মৃতিশক্তি কত দুর্বল!
বেমালুম সব ভুলে গেছি, যাক তাহলে আপেল খেতে পারবো এইডা নিশ্চিত হলাম।
ছবিগুলো দারুণ।আপনার বাগানের ফলগুলো সত্যিই অনেক আকর্ষণীয় এবং লোভনীয়।অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু তোমাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।